স্টাফ রিপোর্টার
১২ অক্টোবর ২০২২, বুধবার
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের এক দফা, এক দাবি। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আজকে চট্টগ্রাম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হবে। আন্দোলনে পতন হবে সরকারের। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের পলো গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনি মানুষকে বলেছেন কম খান। কম বিদ্যুৎ জ্বালান। সামনে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। তাহলে আপনি আছেন কেন। এখনই ক্ষমতা ছাড়েন। নইলে পালানোর পথ পাবেন না।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের হত্যা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে বিএনপি’র বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশকে ঘিরে নানা বাধা উপেক্ষা করে সকাল থেকে জনতার ঢল নামে চট্টগ্রামের পলো গ্রাউন্ডে। দুপুর নাগাদ নগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দান জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিকে গণসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের উপর সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হামলা ও বিভিন্ন পয়েন্ট বাধা দেয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, গতরাত থেকে চট্টগাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা কর্মীদের উপর বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন।
চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, বিভাগীয় সমাবেশে দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগদান করতে আসার পথে হামলার শিকার হয়েছেন। নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগদান না করে সেজন্য ভয় দেখাতে, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে মঙ্গলবার রাতে তাদের বাসাবাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে যত বাধাই আসুক না কেন বিএনপি নেতাকর্মীদের থামানো যাবে না, বরং চলমান আন্দোলন আরও গতিশীল হবে। বিএনপির নেতারা জানায়, নোয়াখালীর কবির হাট থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে মিরসরাইয়ের নিজামপুর কলেজ এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে কবিরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমানসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। এভাবে আরও বিভিন্ন এলাকায় বাধাগ্রস্ত হন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বিভাগের আওতাধীন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছে।