সেখানে দেখা যায়, বিমানের ড্রেসকোড অনুযায়ী পার্পল রঙের শাড়ি পরে বিমানের ক্যাটারিং রুমে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছেন তিনি। যদিও নিরাপত্তা বিধান অনুযায়ী উড়োজাহাজের ভেতর ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বিমানের যাত্রীদেরও ঘোষণা দিয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়ে থাকে।
বিতর্কিত এ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া ওই নারী বিমানের জুনিয়র পার্সার হিসেবে কর্মরত।
বিমানের প্রশাসন পরিদপ্তর থেকে জারি করা সাম্প্রতিক এক আদেশে বলা হয়, বিমান একটি সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে উড়োজাহাজে ধূমপান আন্তর্জাতিকভাবেই নিষিদ্ধ। এছাড়া ধূমপান জাতীয় কার্যক্রম ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ ধারা-০৭ এর পরিপন্থী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বিমানের একটি ফ্লাইটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, এটি একটি ছোট বিষয়। এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করবে।
বিমানের একটি সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৩০ এপ্রিল) এ ঘটনায় বিমান ওই নারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। তাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৯৬ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে এবং ব্যাখ্যাটি সন্তোষজনক না হলে বিমান তার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কর্মীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এমকে/এসআই