নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে লুট চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, আর লুট করে দেশ থেকে ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে তারা [আওয়ামী লীগ]।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদের এক সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার পুলিশের সোর্স অব ইনকাম বাড়াতে চায় বলে বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতার করছে। পৃথিবীর কোনো দেশে সরকার তার কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয় না, কিন্তু তারা দিয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে যে হামলা হয়েছে তা রাজনৈতিক। এটা কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নয়। বাংলাদেশে কোনো উগ্রবাদ বা মৌলবাদ নেই। সব নাটক করা হয়। আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে সব করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিষ্ঠার সাথে যে যার ধর্ম পালন করে। মৌলবাদের তকমা দিয়ে জাতিকে অপমান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বুলু বা বিএনপির কোনো নেতা হামলা করেনি। এটা সরকার, পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ জানে। ১৮ কোটি মানুষ জানে। এসব নাটক মানুষ বিশ্বাস করে না। এবার ক্ষমতা হারালে ৪২ বছর আওয়ামী লীগের নাম নেয়ার লোক থাকবে না। তাই বলি, শুটিং নাটক বন্ধ করুন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া সমাজকল্যাণ পরিষদ আয়োজিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।
‘খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ রেখে গণতন্ত্র হয় না’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিশ্বের মানুষ ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাকে অন্তরীণ রেখে গণতন্ত্র উন্মুক্ত হয় না।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের দায়িত্ববোধ আছে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার। তার ছেলে তারেক রহমান ১২ বছর ধরে বিদেশের মাটিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ তার বাবার ডাকে মানুষ যুদ্ধ করেছে। তার মায়ের ডাকে মানুষ স্বৈরাচারের হাত থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে। কিন্তু দেশের মাটিতে সেই নেতা এবং নেত্রীর ছেলের ঠাঁই হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব অনেক। তাই পরিবর্তনের জন্য যুব সমাজকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যুব সমাজই পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
রোববার সন্ধ্যায় সেরদাং যুবদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় ও মালয়েশিয়া যুবদল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম ফজলুল হক মিলন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল মালয়েশিয়া বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আলম শাহ, যুবদল মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী টিপু সুলতান, সিমুনিয়া যুবদল সভাপতি খালিদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: সেলিম, জোহর প্রদেশের সাধারণ সম্পাদক জালাল হাসান ও যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল রোমান প্রমুখ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- মালয়েশিয়া বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহ জাহিদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ মোল্লা, ঝালকাঠি-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইসলামী ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সাবেক ভিপি ড. ফয়জুল হক।
বক্তব্য রাখেন- রাওয়াং বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, বিএনপি নেতা আব্দুর রহিম, মালয়েশিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আবু কাউছার ভূঁইয়া, মালয়েশিয়া বিএনপির সদস্য ও মালয়েশিয়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী টিপু সুলতান, মালয়েশিয়া যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, কুয়ালালামপুর মহানগর যুবদল সভাপতি শামীম রেজা, সিমুনিয়া যুবদলের সভাপতি খালিদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: সেলিম, জোহর প্রদেশ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন হাসান শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সভাপতি বাদল আহমেদ, আম্পাং যুবদলের সভাপতি তুহিন শেখ, মাসজিদ ইন্ডিয়া যুবদল সভাপতি মেহেদী হাসান, কুয়ালালামপুর মহানগর যুবদলের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, আম্পাং পয়েন্ট যুবদল সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন
এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, হেল্প সেলের সভাপতি রানা মাসুম, যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, কুয়লালামপুর মহানগর যুবদলের নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলম, শাহ আলম, এস এস টু সভাপতি সবুজ হাওলাদার যুবদল সভাপতি বাদশাহসহ আরো অনেকে।