- জসিম উদ্দিন
- ৩১ মার্চ ২০২১
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিবাদ করেছে। ওই প্রতিবাদের গ্রাউন্ড হিসেবে আয়োজকরা ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক নারকীয়তাকে হাজির করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ২০০২ সালে গুজরাট রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর ঘটনা। আগুনে পুড়িয়ে বর্বর কায়দায় হত্যা ও গণধর্ষণের বহু ঘটনা ঘটে তখন। থেমে থেমে কয়েক বছর মুসলিম নিধনের রেশ ছিল ওই রাজ্যে। ওই সময় উগ্র হিন্দুরা দুই হাজার মুসলিমকে হত্যা করে। গুজরাটের পুলিশ কোথাও নীরবতা পালন করেছে; কোথাও হয়েছে উগ্র হিন্দুদের সহযোগী। কেন্দ্র থেকে পাঠানো সামরিক বাহিনীও এই ভয়াবহ নিধন রোধে কার্যকর হতে পারেনি রাজ্য প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে। ওই সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
এর বাইরে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে সেখানে প্রবল বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চলে। প্রায়ই তাদের দায়িত্বশীল নেতারা বাংলাদেশীদের তাড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ২০১৯ (সিএএ) করে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে তটস্থ করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশী ধুয়া তুলে মানুষকে বিভক্ত করা হয়েছে। এমনভাবে সেখানে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যাতে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর সাথে সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশকে বারবার আশ্বাস দেয়া হয়, আর মারা হবে না। দেখা যায় এতবড় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলেও তাদের কাছে অঙ্গীকার প্রতিশ্রুতির কোনো মূল্য নেই। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ভারতের একচেটিয়া প্রাপ্তি ঘটছে। বাংলাদেশীরা বরাবর থেকে যাচ্ছে বঞ্চিত। একটা হচ্ছে বিজেপির নেতা হিসেবে মোদির ব্যক্তিগত ভাবমর্যাদা। অন্যটি হচ্ছে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আবহের অসঙ্গতি। দুটোর অবস্থা বাংলাদেশের জনগণের কাছে নেতিবাচক।
সমাজের একেবারে বাম প্রান্তিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীও মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। মোদির আগমনের আগের দিন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তাদের মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। বামদের কর্মসূচিগুলো বড় ধরনের প্রভাব না রাখতে পারলেও সংবাদমাধ্যমে ভালো কাভারেজ পায়। একই দিন ডাকসুর বিগত ভিপি নুরুল হকের ছাত্র সংগঠনের পাশাপাশি ইসলামী দলগুলোর ওপর পুলিশ চড়াও হলেও সেই খবর একই গুরুত্ব দিয়ে সংবাদমাধ্যম কাভার করেনি। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের এই পক্ষপাত দৃষ্টিকটু এবং সবসময় দেখা যায়।
এবার মোদির আগমনে দেখা গেল, বাম রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বড় দাগের বিভক্তি। একটা অংশ নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করেছে। আরেকটা অংশ তার আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। আবার বাম রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদকারীদের একটা অংশ একই ঘটনায় হেফাজত ও ইসলামী দলগুলোর প্রতিবাদ বিক্ষোভকে, ‘উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন’ বলে বিবৃতি দিয়েছে। একই বিবৃতিতে তারা মোদির সফরকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় দমন পীড়নের নিন্দা জানিয়েছেন। মোদির আগমনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে হেফাজত ও ইসলামী দলগুলোর সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারানোর পরও তাদের কার্যক্রম ‘সাম্প্রদায়িক আস্ফালন’। কেবল বিশ্বাস ও আদর্শ ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের মতো একই প্রতিবাদ করেও তারা অন্যদের মানদণ্ডে ‘সাম্প্রদায়িক আস্ফালনকারী’। অন্য দিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ধাওয়া ও শুধু কিলঘুষি খেলেও বামরা ‘বিপ্লবী’।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের মিল রয়েছে বাম দলগুলোর সাথে। বিগত কয়েক দশকে গড়ে ওঠা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের চোখে অরাজনৈতিক হেফাজত ও রাজনৈতিক ইসলামী দলগুলো ‘সাম্প্রদায়িক’। ‘অন্ধের হাতি দেখা’র মতো তারাও বামদের চোখেই এই বৃহৎ গোষ্ঠীকে দেখে যাচ্ছেন। বড় বড় ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে মিডিয়া নিজস্ব বয়ান তৈরি করেছে। জাতি সেই বয়ান হজম করতে বাধ্য হয়। মোদির আগমনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথম দিন হেফাজতের পাঁচজন প্রাণ হারালেন। তবে বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যম খবরটি আড়াল করেছে। কেউ কেউ এমন দায়সারাভাবে দিয়েছেন, মানুষ হত্যার ঘটনা ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়’। বেশির ভাগ খবরে দেখা গেছে, হেফাজতের লোকেরা সংঘর্ষে নিহত হয়েছে। সংঘর্ষ হলে বিবদমান পক্ষগুলো সমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কিছুটা কমবেশি হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা। যেখানে লাশ পড়েছে কেবল হেফাজতের লোকদের।
বাংলাদেশের প্রধান একটি ইংরেজি দৈনিক প্রথম দিন খবরটিকে প্রথম পাতায় দেয়নি। পরের দিন প্রথম পাতায় এসেছে, ‘হেফাজত মেইহেম’ শিরোনামে। ইংরেজি ‘মেইহেম’ শব্দটি গুরুতর বিশৃঙ্খলা বা দাঙ্গাহাঙ্গামা বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। তাদের শিরোনাম অনুযায়ী মোদির আগমনের প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছিল হেফাজতের বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গাহাঙ্গামা। পত্রিকাটির খবর অনুযায়ী, হেফাজত ও ইসলামী দলগুলো সুশৃঙ্খল প্রতিবাদের সংস্কৃতি আয়ত্ত করতে পারেনি। তাই তারা প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গাহাঙ্গামা করেছে। হিসাব মতে, নির্বিচারে গুলি চালানো ছাড়া তাদের ‘বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গাহাঙ্গামা’ দমানোর জন্য পুলিশের কাছে অন্য কোনো পথ ছিল না। পাঁচটি লাশ পড়ার নিশ্চিত ঘটনার চেয়ে হেফাজতের অপ্রমাণিত ‘দাঙ্গাহাঙ্গামা’র ঘটনা দৈনিকটির কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ।
পরের দিন পত্রিকাটির ফলোআপ রিপোর্টে একই ঘটনা দিনের প্রধান শিরোনাম হয়েছে। এবার শিরোনাম করা হয়েছে ‘হেফাজত ফিউরি’। ‘ফিউরি’ শব্দটি সীমাহীন উত্তেজনা, ক্রোধ, রোষ, অসংযত আবেগের বিস্ফোরণ, ক্ষিপ্ত হওয়া বোঝাতে ব্যবহার করা হয়। ওই দিন হেফাজতের আরো ছয়জন হত্যার খবর ছিল। সেটি এই সংবাদের শিরোনাম, শোল্ডার কিংবা হাইলাইট করা কোনো অংশে পরিবেশিত হয়নি। তবে এ দিন প্রথম পাতার ওপরে বড় করে ছবি ছাপানো হয়েছে যে, সব পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। আর লাঠিসোটা নিয়ে হেফাজত কর্মীদের সাঁড়াশি আক্রমণের ছবি। এগুলো হেফাজতের ‘মেইহোম’ ও ‘ফিউরি’। খুন হয়ে যাওয়া মানুষের ওপর গুলি চালানোর কোনো ছবি দেখা গেল না। আমরা একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের উদাহরণ দিলাম। বাস্তবে হেফাজত ও ইসলামী দলগুলোর ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধান সংবাদমাধ্যমের প্রায় একই মনোভাব। একই অবস্থা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও। কোথাও হেফাজতের ওপর হামলা ও হরতালের খবর সংবাদ মূল্যের নিক্তিতে নিরপেক্ষভাবে প্রকাশ পায়নি। ২৮ মার্চ বাংলাদেশ থেকে রুমা পালের পাঠানো রয়টার্সের প্রতিবেদনের শিরোনাম হয়েছে, ‘মোদির সফরের পর সন্ত্রাস ছড়িয়েছে, হিন্দু মন্দির ও ট্রেনে হামলা হয়েছে।’ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর পক্ষ থেকে যারা বাংলাদেশ কাভার করেন তারাও দেশের মেইনস্ট্রিম সাংবাদিকতার মনোভাব পোষণ করেন। সংবাদ ক্ষেত্রে এরা যখন এই গোষ্ঠীটিকে পান সংবাদ প্রচারের চেয়ে নিজেদের অ্যাক্টিভিজম প্রদর্শন করেন বেশি।
একটা হচ্ছে খবর পরিবেশন। আর একটা হচ্ছে অ্যাক্টিভিজম। রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য দলের মুখপাত্র থাকেন। সাধারণত ছাপা কাগজের মাধ্যমে তাদের নিজ বক্তব্য প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকা চালান দলীয় লোকেরা। তারা নিজেদের পক্ষে পত্রিকার মাধ্যমে প্রচার প্রসারের কাজ করে থাকেন। এখানে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন করেন। তবে তারা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেন না। তারা দলের পরিচয় বহন করেন। কোনো আদর্শবান সম্প্রদায়ের সাংবাদিকতার মাধ্যমে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের কাজটি অপরাধ নয়। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। অবশ্য এই কাজ করতে গিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েছেন বহু আদর্শবান। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন আদর্শবানের খোঁজ পাওয়া যাবে যারা এই মহান কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন।
এখন পৃথিবীর বাস্তবতা অনেকটাই ভিন্ন। স্বাধীন দেশগুলোর বেশির ভাগই গণতান্ত্রিক। তাই উন্নত আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য এই ধরনের দলীয় মুখপাত্র প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। তারপরেও বিশ্বব্যাপী অসংখ্যা দলীয় মুখপাত্র রয়েছে। কেউ ঘোষণা দিয়ে দলের জন্য কাজ করেন। আবার কেউ ঘোষণা দিয়ে কাজ না করলেও সমাজে দলের মুখপত্র হিসেবে পরিচিত। তবে তারা সাংবাদিকতার কাজটি পেশাদারিত্বের সাথে করে থাকেন। দল বা আদর্শকে সমর্থন করেন সাংবাদিকতার নিয়মকানুন মেনে। ব্যতিক্রমও বহু রয়েছে। তবে ‘গণতন্ত্র’ বলতে যেসব মূল্যবোধ ধারণ করাকে বোঝায় সেগুলোর অভাব বহু গণতান্ত্রিক দেশেই দেখা যাচ্ছে। ক্ষমতাবানরা কুকুরছানাকে পাঠা বলে চালিয়ে দিতে চান। এ অবস্থায় কুকুরের পরিচয় প্রকাশ করার জন্য সাংবাদিকদের সাহসিকতার প্রয়োজন হয়।
হেফাজত ও ইসলামী দলগুলোর বিরুদ্ধে যে ধরনের অ্যাক্টিভিজম চলছে তার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর মতো কোনো অস্ত্র হেফাজতিদের কাছে নেই। তারা বহুকাল ধরে ‘বলির পাঁঠা’ হয়ে রয়েছেন। অনাগতকালেও তাদের এমনটাই হয়ে থাকতে হতে পারে। এক গোষ্ঠী যেমন কৌশলে নিজেদের আখের গোছাচ্ছে, অন্য গোষ্ঠী সেখানে নিজের রক্ত ঝরিয়ে প্রাণ দিয়েও নিজের লাশের খবর প্রকাশ করতে পারছে না। তাদের কোনো ভয়েস নেই। মানে তাদের কাছে মিডিয়া নেই। মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা ও সেটা চালানোর জন বুদ্ধিবৃত্তির প্রয়োজন। সেই বুদ্ধিবৃত্তিতে পিছিয়ে থাকলে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলোও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
মোদি একজন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদ। তিনি তার লক্ষ্যভেদে অটুট। সব জায়গায় নিজের ব্যবসা করে নেয়ার জন্য তিনি এক পায়ে খাড়া। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে নিজের দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগও নিয়ে নিলেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে মতুয়া সম্প্রদায় বড় ফ্যাক্টর। তিনি তাদের ভোট টানতে ওড়াকান্দি গেলেন। সফরের বড় একটা সময় কেটেছে মন্দিরে। সংখ্যালঘুরা ভারতে নানাভাবে পীড়নের শিকার হলেও দেশটিতে কথা বলার যে উন্মুক্ত সুযোগ রয়েছে, সেটাও সত্য। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মোদি বলে বসলেন, তিনি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সুবাদে বিশ-বাইশ বছর বয়সে জেলযাত্রার সুযোগ হয়েছিল তার।
ইতিহাসের এ গোপন খবর নিয়ে ভারতে তুমুল আলোচনা চলছে। অনেকে এ নিয়ে করছেন হাসাহাসি। মোদির সাথে ঠিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গটি বেমানান বলে এমন হাস্যরসের জোয়ার বইছে সেখানে। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একটি কার্টুন দিয়ে টুইট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ১৯৭১ সালের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজির সাথে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিত সিং অরোরার বদলে বসে আছেন নরেন্দ্র মোদি। কার্টুনের নিচে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদির সমগ্র রাষ্ট্র্রবিজ্ঞান’। তবে ভারতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এ জন্য ধন্যবাদ দিতে হয়। তারা নিজেদের প্রধানমন্ত্রীকে এখনো অবলীলায় কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর একচেটিয়া মিথ্যা বয়ানকে সে দেশে চ্যালেঞ্জ করা যায়।