- by নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার তথা সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। পাঁচ বছর আগে অবসরে যান ৬৬ বছর বয়সী সাবেক এই আমলা। চাকরি বিধি অনুযায়ী ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সরকার পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ২০১৬ সালে এক বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তা আরো এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৭ সালে একই মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে অবসরে যান হাবিবুল আউয়াল।
১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি জন্ম গ্রহণ করা কাজী হাবিবুল আউয়াল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি এবং ১৯৭৮ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯৮০ সালে বার কাউন্সিল সনদ পান। ওই বছরই লাভ করেন ঢাকা জেলা বার এসোসিয়েশনের সদস্য পদ। এরপর ১৯৮১ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জুড়িশিয়াল সার্ভিস তথা মুনসেফ বা সহকারী জজ হিসেবে যোগ দেন তিনি। পদোন্নতির ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে জেলা জজ হন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
জানা যায়, হাবিবুল আউয়াল যখন আইন সচিব ছিলেন তখন বিধি বহির্ভূতভাবে দুই বিচারককে অবসরে পাঠানোর ক্ষেত্রে তার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য তাকে তলবও করে সংসদীয় কমিটি। এতে ওই ঘটনার দায় মাথায় নিয়ে ক্ষমাও চান তিনি। এরপর ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে হাবিবুল আউয়ালকে ধর্ম সচিব করা হয়। মাঝে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব থেকে ২০১৪ সালে হন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব। একই বছর পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হন এই আমলা।
এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তার অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তার পিআরএল বাতিল করে তাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়। ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষ হলে তা আরো এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। এরপর ২০১৭ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব থাকা অবস্থায় অবসরে যান হাবিবুল আউয়াল।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থায় রিসোর্স পারসন হিসেবে কাজ করেছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর মধ্যে পুলিশ স্টাফ কলেজ, ফরেন সার্ভিস একাডেমি, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে হাবিবুল আউয়াল তিন মেয়ের জনক। তার স্ত্রীর নাম সাহানা আক্তার খানম। তার একাধিক আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।