নতুন করে রিজার্ভ চুরির খবর সত্য নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক

নতুন করে রিজার্ভ চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ভারতের একটি ইংরেজি অনলাইনে নতুন করে কয়েক বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির প্রকাশিত খবর সত্য নয়। বর্তমানে নিউইয়র্ক ফেডের সঙ্গে তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু আছে। ফেডের সঙ্গে বাংলাদেশের নিয়মিত লেনদেন হচ্ছে।

ভারতীয় নর্থইস্ট নিউজের খবরে বলা হয়, ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগের এ ঘটনা ভারত সরকার অনুসন্ধান করছে।

নতুন করে চুরির খবর এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমায় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ানো রিজার্ভ এখন নেমেছে ১৮ বিলিয়নে। আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী, এখন প্রকৃত রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সমকালকে বলেন, রিজার্ভ চুরির এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে অনলাইনে ঘটনাটি হয়েছে, আগেও তারা এমন চটকদার খবর দিয়েছে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এক মাসের বেশি এ তথ্য গোপন রাখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই বছরের ৭ মার্চ সমকালসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা জানাজানি হয়। এ ঘটনায় তৎকালীন গভর্নর ড. আতিউর রহমান পদত্যাগে বাধ্য হন। দু’জন ডেপুটি গভর্নরের চুক্তি বাতিল করে সরকার।

চুরি হওয়া অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ। ফিলিপাইনে নেওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে দেশটির আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালের নভেম্বরে প্রায় দেড় কোটি ডলার ফেরত আসে। বাকি ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধারে ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রে মামলা চলমান।

samakal