ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোটার কম

ধান কাটার মৌসুমের কারণে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোট কম পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, নির্বাচন ভালোভাবে হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কিছু সংঘর্ষ ও আহতের ঘটনা ঘটেছে, কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত পর্যায়ে অনিয়ম হয়েছে। যার কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সতর্ক ও তৎপর ছিল। তাদের পেশাদারিত্বের কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। মোটামুটিভাবে নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, বিক্ষিপ্ত দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া। বলা যাবে না-কোথাও কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলের তথ্য অনুযায়ী ৩৪টি ঘটনায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের এসব ঘটনা ঘটেছে, ভেতরে ঘটেনি। প্রার্থীদের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ২৫ জন আহত রয়েছে।

সিইসি বলেন, গড়ে ৩০-৪০% এর মাঝামাঝি ভোটের হার থাকতে পারে। এর একটি কারণ হতে পারে বর্ষণ। সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি ছিল। আবার ধান কাটার মৌসুম ছিল। আমরা জানার চেষ্টা করেছি। আমাদের বলা হয়েছে, অনেকেই ধান কাটতে থাকায় ওরা ভোট দিতে আসেনি। এ ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় ঝড় বৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে সর্বশেষ ২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা ভোটে গড়ে ৪১% এর বেশি ভোট পড়ে। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা ভোটে ৬১% এবং তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭.৬৯% ভোট পড়ে। ভোটের হার আগের তুলনায় কম হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিইসি। তিনি বলেছেন, ভোটার বেশি এলে এটা উৎসাহব্যঞ্জক, আরও (ভোটার উপস্থিতি) বেশি হলে আরও ভালো হতো। বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা গণনা করি কে বেশি ভোট পেয়েছেন তাকে জয়ী ঘোষণা করা হবে।

manabzamin