ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রসঙ্গ

  • ড. মো: কামরুজ্জামান
  •  ১৮ অক্টোবর ২০২২, ২০:০৭, আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ২০:১৭
ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ প্রসঙ্গ – প্রতীকী ছবি

খ্রিষ্টপূর্ব যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের নেতৃত্ব ছিল গ্রিকদের হাতে। ৫৭১ সালে আরবে জ্ঞানের ঝাণ্ডা নিয়ে আগমন করেন মুহাম্মদ সা:। ৬১০ সালে তিনি নবুয়াতপ্রাপ্ত হন। দিশেহারা আরববাসী নবী সা:-এর আগমনে ধন্য হয়। তাঁর প্রদত্ত জ্ঞান পেয়ে আরবরা পথের দিশা লাভ করে। ওহিভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ এ জ্ঞান তাদের জীবন পরিবর্তন করে দেয়। উদ্ধত ও উন্মত্ত এক বেসামাল জাতি বিশ্বের সেরা ভদ্র জাতিতে পরিণত হয়। সময়ের ব্যবধানে তারা জ্ঞান-বিজ্ঞানের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হয়। সে জ্ঞান ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকা ও ইউরোপে। ইউরোপ তখন অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল।

সপ্তম শতাব্দীতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সব শাখায় মুসলিমদের প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সময়টিকে ঐতিহাসিকরা মধ্যযুগ বলে অভিহিত করেন। এ সময় মুসলিমরা আধুনিক বিজ্ঞানের অনেক বিভাগই সৃষ্টি করেন। তারা ইউরোপের অলিগলি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করেন। খ্রিষ্টানদের উন্নতি ও প্রগতির পেছনে মুসলিমদের চিন্তাভাবনার অবদান ছিল। ইসলামের ধর্মভিত্তিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে ইউরোপীয় খ্রিষ্টানদের প্রথম হাতেখড়ি হয়। মুসলিমদের জ্ঞানের পরশে ধীরে ধীরে তারা সমৃদ্ধ হতে থাকে। আরবদের কাছ থেকে তারা সাধ্যমতো জ্ঞানার্জন করে। মুসলমানদের কাছ থেকে অর্জিত জ্ঞানের ভিত্তিতে তারা নতুন জ্ঞান সাধনায় ক্রমেই উন্নতি করতে থাকে।

মুসলিমদের ধর্মের নাম হলো ইসলাম। এটি প্রচলিত কোনো রীতি-রেওয়াজভিত্তিক অভ্যাসের নাম নয়। এটি হলো সব কালের, সব যুগের ও সব মানুষের জন্য প্রণীত এক শাশ্বত জীবনদর্শন। এর প্রতিটি বিধানই স্রষ্টা কর্তৃক প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ নির্দেশসূচক। এ বিধানের মৌলিক ভাষ্য আরবিতে রচিত। তাই আরব গবেষকদের ব্যবহৃত শব্দকোষ ইউরোপীয় সমাজে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করে। আরবদের ব্যবহৃত ভাষা, সংস্কৃতি ও চিন্তাধারা দ্রুতই ইউরোপের মাটিতে গ্রথিত হয়ে যায়। আরবিতে লেখা সাহিত্য আধুনিক ইংরেজি ভাষার ওপরও ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। উদাহরণ হিসেবে ইংরেজির ওপর প্রভাব সৃষ্টিকারী কয়েকটি আরবি শব্দ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে- ১. ইংরেজি ভাষায় বহুল প্রচলিত একটি শব্দের নাম ‘সিরাপ’। আরবি ‘শরাব’ শব্দ থেকে এর উৎপত্তি। শব্দটি ইংরেজিতে বিকৃত হয়ে ‘সিরাপ’ নাম ধারণ করেছে। ২. ইংরেজিতে ব্যবহৃত একটি প্রসিদ্ধ শব্দের নাম ‘সুগার’-এর বাংলা অর্থ চিনি। এ শব্দটি আরবি ‘সুক্কার’ শব্দ থেকে উৎপত্তি। ৩. ইংরেজি আর্থ শব্দের অর্থ হলো, পৃথিবী। এটি আরবি ‘আরদ’ শব্দ থেকে এসেছে। আরবি শব্দ পরিবর্তিত হয়ে ইংরেজিতে এটি আরদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ৪. আরবি ‘কিনদি’ শব্দের বাংলা অর্থ মিছরি তথা জমাটবাঁধা মিষ্টান্ন। এটি পরিবর্তন হয়ে ইংরেজিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘ক্যান্ডি’। ৫. আরবি ‘আলজাবার’ শব্দের বাংলা অর্থ বীজগণিত। এটি পরিবর্তন হয়ে ইংরেজিতে ব্যবহৃত হয় ‘অ্যালজেবরা’। ৬. আরবি ‘কাহওয়া’ শব্দের বাংলা অর্থ কফি। এটিকে পরিবর্তন করে ইংরেজিতে ব্যবহৃত হচ্ছে ‘কফি’। ৭. আরবি ‘ইয়াসমিন’ শব্দটির বাংলা অর্থ এক জাতীয় ফুল। এটি বিকৃত হয়ে ইংরেজিতে ব্যবহৃত হয় ‘জেসমিন’। ৮. আরবি ‘লেমু’ থেকে ইংরেজিতে গিয়ে ব্যবহৃত হয় ‘লেমন’। এটির বাংলা অর্থ লেবু। ৯. আরবি ‘আমিরুল বাহার’ শব্দটির বাংলা অর্থ সমুদ্রপতি বা নৌকমান্ডার। ইংরেজিতে পরিবর্তিত রূপ হলো ‘অ্যাডমিরাল’। ১০. আরবি ‘কিমি আ’ শব্দটির বাংলা অর্থ কালো মাটি। ইংরেজিতে গিয়ে ব্যবহৃত হয় ‘কেমিস্ট্রি’। এ জাতীয় আরো অসংখ্য শব্দ পাওয়া যাবে যা মূলত আরবি; কিন্তু ইউরোপীয়রা কখনো উদ্দেশ্যমূলকভাবে, কখনো না জেনে সেগুলোকে পরিবর্তন করেছে। এটি অতীত মুসলিমদের জ্ঞানচর্চার প্রকৃত ইতিহাসের অতি সামান্য একটি অংশ।

কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো- বারো শতাব্দীর পর থেকে মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ছেড়ে দেয়। জ্ঞান-বিজ্ঞান, নেতৃত্ব আর সম্পদের প্রাচুর্যে তারা বিলাসিতায় গা ভাসিয়ে দিতে থাকে। পূর্বপুরুষের সাধনালব্ধ জ্ঞান ও সম্পদের ওপর নির্ভর করে তাদের জীবন গতানুতিক ধারায় চলতে থাকে। তারা ধর্ম পালন ও প্রচারের বিষয়ে অমনোযোগী হয়ে পড়ে। অপর দিকে, ইউরোপ যেটুকু জ্ঞানের আলো মুসলমানদের কাছ থেকে লাভ করেছিল তার ভিত্তিতে নতুন জ্ঞান সাধনায় তারা ক্রমেই অগ্রসর হতে থাকে।

এটি ঠিক সে সময়ের কথা, যখন সমগ্র ইউরোপজুড়ে খ্রিষ্টান পাদ্রিদের শাসন প্রথার প্রচলন ছিল। পাদ্রিরা ধর্মের নামে মানবজীবনের সব ক্ষেত্রে প্রভুত্ব কায়েম করে নিয়েছিল। তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে রাজত্ব চালু করেছিল। অথচ তাদের কাছে বিশুদ্ধ ঐশী বাণীর কোনো অস্তিত্বই ছিল না। পাদ্রিরা মানুষের ওপর ধর্মের নামে অধর্ম চাপিয়ে দিয়েছিল। জীবনের প্রত্যেক দিক ও বিভাগে তারা প্রভাব বিস্তার করেছিল; কিন্তু ইউরোপে নতুন জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্মেষ হওয়ায় পাদ্রিদের সব মনগড়া আইন ধরা পড়ে যায়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার মাধ্যমে সৃষ্টিজগতের রহস্য যতই উদঘাটিত হতে থাকে, পাদ্রিদের সাথে জ্ঞান সাধকদের মতবৈষম্য ততই প্রকট হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীদের প্রত্যেকটি নতুন গবেষণা ক্ষমতাসীন পাদ্রিদের ধান্দাবাজি প্রকাশ করে দেয়। পাদ্রিরা তখন গবেষকদের নির্দয়ভাবে শায়েস্তা করতে লাগল। বেত্রাঘাত থেকে শুরু করে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত কার্যকর করতে লাগল। পাদ্রিদের নির্দেশ অমান্য করায় গ্যালিলিওসহ শত শত জ্ঞানপিপাসু ব্যক্তিকে চরম দণ্ড ভোগ করতে হয়।

পাদ্রিদের এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে চিন্তাশীলদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। চিন্তক, গবেষক ও সুশীল সমাজের লোকজন পাদ্রিদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করল। গবেষক ও বুদ্ধিজীবীদের পক্ষ থেকে ধর্মের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ দানা বেঁধে উঠল। পাদ্রিদের নিজস্ব মনগড়া মতামতের অসারতা যতই প্রমাণিত হলো, ততই এ বিদ্রোহ অধিকতর বেগবান হতে লাগল। ফলে চিন্তাশীল ও সুশীল সমাজের মনে তীব্র ধর্মবিদ্বেষ সৃষ্টি হলো। তারা ধর্মের সব বিধান বর্জনের ঘোষণা দিলো। তারা ঘোষণা দিলো, ‘ধর্ম হলো ধার্মিকদের ব্যবসায়, এটি প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়’।

বিদ্রোহীরা বেপরোয়াভাবে পাদ্রিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ ঘোষণা করল। পাদ্রিরা ধর্মের দোহাই দিয়ে ধর্মান্ধ জনতাকে সাথে নিয়ে এ বিদ্রোহ মোকাবেলা করল। রাজশক্তির সহায়তায় পাদ্রিরা দৃঢ়ভাবে বিদ্রোহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল। অন্য দিকে, জীবনের সব বিভাগ থেকে পাদ্রিদের উৎখাত করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে বিদ্রোহীরা অগ্রসর হলো। দুই পক্ষের প্রবল এ প্রতিরোধ ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরিণত হলো। রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধের সময়সীমা অতি দীর্ঘ হলো। ষোল ও সতের শতাব্দী- দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকল। দীর্ঘ এ সংগ্রাম ইতিহাসে ‘গির্জা বনাম রাষ্ট্রের’ যুদ্ধ নামে পরিচিতি পায়। যুদ্ধের ভয়াবহতায় দু’পক্ষই বিব্রত ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় সংস্কারবাদী নামক একটি শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটে। সংস্কারবাদীরা দু’পক্ষের মধ্যে আপস ও সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসেন।

এ সংস্কারবাদীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মার্টিন লুথার। তিনি ছিলেন জার্মান ধর্মযাজক ও ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক। তার নেতৃত্বেই গঠিত হলো সমঝোতা আন্দোলন, যা ইতিহাসে ‘আপস আন্দোলন’ নামে পরিচিত। এ আন্দোলনের প্রস্তাব হলো যে, ‘ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকুক। মানুষের ধর্মীয় দিকের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা চার্চের হাতেই ন্যস্ত থাকুক। কিন্তু সমাজের পার্থিব জীবনের সব দিকের কর্তৃত্ব ও নেতৃত্ব রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত থাকবে। পার্থিব কোনো বিষয়েই চার্চের কোনো প্রাধান্য থাকবে না। অবশ্য রাষ্ট্রের নেতাদেরকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার শপথ পাদ্রির কাছেই গ্রহণ করতে হবে।’

সব দিক বিবেচনা করে এ প্রস্তাব উভয় পক্ষই গ্রহণ করতে রাজি হয়। এভাবে সমাজজীবন থেকে ধর্ম স্থায়ীভাবে নির্বাসিত হলো। ইতিহাসে এটিই ‘ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ’ নামে পরিচিতি পেল ইংরেজিতে যাকে বলা হয় ‘সেক্যুলারিজম’। ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব হলিয়ক এটিকে সর্বপ্রথম ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ মতবাদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন।

প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের এ সংগ্রাম ধর্মের বিরুদ্ধে ছিল না। এ সংগ্রাম ছিল নীতিহীন ও ধান্দাবাজ পাদ্রিদের বিরুদ্ধে। তবে এটিও সত্য যে, নতুন জ্ঞান সাধকদের সঠিক ধর্ম সম্বন্ধে কোনো ধারণাই ছিল না। তারা ভ্রান্ত ধর্মের বিরুদ্ধেই জিহাদে লিপ্ত হয়েছিল। সুতরাং এ কথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা যায়, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে সত্য ধর্ম ইসলামের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু বর্তমানে সুশীল সমাজের বেশির ভাগ ব্যক্তি ওই উদাহরণ টেনে ধর্মবিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছেন। অজ্ঞতার কারণে ইসলামকে তারা উন্নতি ও অগ্রগতির অন্তরায় মনে করে নিয়েছেন। বিগত ২০০ বছর ধরে এ মতবাদটি বিশ্বে একটি স্বীকৃত মতবাদ হিসেবে স্থান পেয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আধুনিক মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশেই এটি সাংবিধানিক রূপ পেয়েছে। ব্যাপকার্থে এটি ধর্মহীনতা না হলেও সুশীল নেতারা শুধু ইসলাম ধর্মের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করেন। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো- দেশের সব স্থান থেকে ইসলামের নামনিশানা মুছে ফেলা।

এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে। এ দেশের সুশীল সমাজের নেতারা মন্দির বা গির্জায় যেতে কোনো প্রকার দ্বিধাবোধ করেন না। গির্জায় ও মন্দিরে গেলে তখন তারা ওই ধর্মের পক্ষেই কথা বলেন। কোনো সমস্যা হয় না; কিন্তু যত সমস্যা সৃষ্টি হয় মসজিদ ও মাদরাসাগুলোর ক্ষেত্রে। এসব জায়গায় সুশীল সমাজের লোকজন খাঁটি সেক্যুলার মনোভাব পোষণ করেন। দাড়ি, টুপি ও বোরকার ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ করেন। অথচ আধুনিক বিজ্ঞানের বেশির বাগ সূত্রের আবিষ্কারক দাড়ি-টুপিধারী ব্যক্তিরা। জাবির ইবনে হাইয়ান, আল কিন্দি, ওমর খৈয়াম ও ইবনে রুশদের নাম জানেন না, পৃথিবীতে এমন কোনো বিজ্ঞানী নেই। এদের সবাই ছিলেন দাড়ি-টুপিওয়ালা। সবাই ছিলেন ছিলেন মুসলিম সোনালি যুগের একেকজন গবেষক ও আবিষ্কারক। তারা কেউই ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না। তাদের জ্ঞান-গবেষণার সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ তো ছিলই না; বরং এ জ্ঞান-গবেষণার মৌলিক উৎস ছিল আল-কুরআন। এ আল-কুরআন মানুষকে ভাবতে, চিন্তা করতে ও গভীর অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছে।

একজন মুসলিম হিসেবে এক দিকে যেমন এটি দুঃখজনক তেমনি নিন্দাজনকও বটে। ধর্ম নিয়ে এ জাতীয় দ্বিমুখী নীতি প্রদর্শন মোটেই কাম্য নয়।

লেখক : কলামিস্ট ও অধ্যাপক, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
Email : dr.knzaman@gmail.com