দ্রব্যমূল্য নিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে মজুতদার ও সিন্ডিকেটদের বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা ও মদত দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, বিএনপি সরকার ছিল ব্যবসায়ী সরকার। আওয়ামী লীগ ব্যবসা করতে আসেনি। এখানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার হাল ছেড়ে দিয়েছে- এ কথা মনে করার কোনো কারণ নেই। যে অশুভ চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে জন- অসন্তোষের কারণ সৃষ্টি করছে, তাদের কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই জোরালোভাবে সেটি বলেছেন। গতকাল রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অর্থনীতির সংকট আছে। এজন্য আমরা দায়ী নই। বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ যেভাবে প্রসারিত হচ্ছে তাতে অর্থনীতির উপর প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এক মন্ত্রীর বিপুল অর্থ-সম্পদ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কাদের বলেন, দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবে না। তিনি মন্ত্রী হন আর যেই হোন। বিদ্যুৎ সুবিধা বজায় রাখতে সমন্বয় জরুরি বলে জানান তিনি। বলেন, বিদ্যুতে যথেষ্ট ভর্তুকি দিতে হচ্ছে সরকারকে। এই ভর্তুকি ধীরে ধীরে কমাতে চাই। সে কারণে সমন্বয় করাটা জরুরি। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দিনে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডি হয়েছে এবং সেখানে বিদ্যুতের দাম পাঁচ বছরে তারা ৯ বার বাড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৯ হাজার সাতশ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিয়েছে।
আগুন সন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে বিএনপি কতো ভয়ঙ্কর ভূমিকায় যেতে পারে সেটা তারা করে দেখিয়েছে বারে বারে। তারা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না বলে অতীতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, ভুল ও নেতিবাচক রাজনীতি করে যাচ্ছে বিএনপি। তারা একসময় নিশ্চয়ই স্বীকার করবে আন্দোলনে তাদের ভুল আছে। নির্বাচনে না আসাটা বিএনপি’র সবচেয়ে বড় ভুল। এখন তারা উপলব্ধি করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে দলটির মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে। বিএনপি দলগতভাবে অংশ না নিলেও তৃণমূলে নেতারা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় নির্বাচন করবে। আমরা দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন করছি না। এমন অবস্থায় স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপি’র অনেকে নির্বাচন করবে। দলীয়ভাবে যাই করুক যারা তৃণমূলে আছেন তাদের অস্তিত্বের বিষয় আছে। তৃণমূলে অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকার প্রশ্ন আছে। আমার ধারণা বিএনপি’র অনেকেই অংশ নিবে। দলগতভাবে তারা যাই বলুক না কেন? সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
manabzamin
