দেশপ্রেম, স্বাধীনতার কথা বললে নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ হবে: ফখরুল

logo

অনলাইন ডেস্ক

(১২ ঘন্টা আগে) ৭ মে ২০২৩, রবিবার, ৮:১৪ অপরাহ্ন

 

mzamin

 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকেরা আটকে গেছেন উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এখন মন খুলে লিখতে পারেন না। এখন কেউ যদি দেশপ্রেমের কথা বলেন, স্বাধীনতার কথা বলেন, অধিকারের কথা বলেন, তাহলে এখন নাকি রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রদ্রোহ নয়। সরকার খারাপ কাজ করলে, তার সমালোচনা করাই গণতন্ত্রের নিয়ম। এই সরকার সেটাও করতে দিতে চায় না। যখন সাংবাদিক নেতারা বলছেন, যখন জাতিসংঘ থেকে বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করো, বাতিল করো। তখন আইনমন্ত্রী জোর গলায় চিৎকার করে বলছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না। কারণ তিনি জানেন, এই সব আইন বাতিল হয়ে গেলে তারা জনগণের সামনে দাঁড়াতেও পারবেন না।

আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তখন তারা (আওয়ামী লীগ) বলছে, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে? এই নির্বাচনে কি মানুষের মতের প্রতিফলন ঘটবে? আগে থেকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা এমন একটা অবস্থার সৃষ্টি করবে যে বিরোধী দল যাতে নির্বাচনে দাঁড়াতেই না পারে। এ কারণে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে কোনো মতেই এই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।

বিজ্ঞাপন

আমরা চাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক, যে নির্বাচনে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। কিন্তু এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে, তবে সেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সারা দেশের মানুষকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। একটা অসহনীয়-শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে নিয়ে গেছে। এই সরকার পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সহসভাপতি নুর করিম, ইউনূস আলী, আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।