Prothom Alo
কুড়িগ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যেতে পরিবহনের টিকিট সংগ্রহ করেন। তাঁর কাছ থেকে টিকিটের দাম নেওয়া হয় ৮০০ টাকা। আগে এই ভাড়া ছিল ৫৫০ টাকা। গাবতলীর নাবিল কাউন্টারে নজরুলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বাসমালিকেরা ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছেন। বাসে চলাফেরা করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া কেন নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে নাবিল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার আবু সাঈদ বললেন, এখনো হিসাব–নিকাশ করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। আনুমানিক হিসাবে নেওয়া হচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ থেকে কাজ করে ফিরছিলেন কৃষিশ্রমিক আজগর, নুরনবী ও বাদশা। তাঁরাও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে যাবেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়ার খবরে তাঁরা হতভম্ব। আজগর বলেন, তাঁরা এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে গেছেন। সবাই ইচ্ছেমতো ভাড়া চাচ্ছেন।
হানিফ পরিবহনে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যেতে আগে ভাড়া লেগেছিল ৫৬০ টাকা। কিন্তু সোমবার সে ভাড়া নেওয়া হয় ৭০০ টাকা। ঢাকা থেকে খুলনা যেতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬০০ টাকা। আগে ছিল ৫৫০ টাকা।
রাজধানীর কলাবাগানে রাসেল স্কয়ার মোড়ে শ্যামলী পরিবহনেন কাউন্টার থেকে জানা গেল, ঢাকা–সিলেট রুটে আগে ভাড়া ছিল ৪৭০ টাকা। এখন হয়েছে ৬০০ টাকা। ঢাকা–চট্টগ্রামের ভাড়া হয়েছে ৬০০ টাকা। আগে ছিল ৪৮০ টাকা।
ঢাকা থেকে ঢাকা–চট্টগ্রাম, ঢাকা–কক্সবাজার ও ঢাকা–টেকনাফ রুটে চলাচল করে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত সেন্ট মার্টিন হুন্দাই রবি এক্সপ্রেস। এই রুটের ভাড়া যথাক্রমে ছিল ১ হাজার, ১ হাজার ৬০০ ও ২ হাজার টাকা। সোমবার থেকে প্রতিটি রুটে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে বেড়েছে।
অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে সেন্ট মার্টিন হুন্দাই রবি এক্সপ্রেসের সেলস এক্সিকিউটিভ মুহাম্মদ শাকিল বলেন, এটি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। মালিকপক্ষের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা এখনো পাওয়া যায়নি। পাওয়া গেল সমন্বয় করা হবে।