দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলা হামাসের ।। এরদোয়ান- খালেদ মিশালের আহবান

 

বাংলাদেশ ক্রনিক্যাল ডেস্ক :  হামাস- ইসরাইল যুদ্ধ এখন নতুন রুপে অনেকগুলো ফ্রন্টে শুরু হয়েছে। বাড়ছে দুরপাল্লার অস্ত্রের ব্যবহার। অপরদিকে গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করতে ইসরাইলের হামলা অব্যাহত আছে। ইসরাইলে গঠন করা হয়েছে যুদ্ধকালীন জরুরি সরকার। হামাসের সাথে মধ্যপ্রাচ্যর অন্য সশস্ত্র গোষ্টীগুলো যুদ্ধে যোগ দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। লেবানন থেকে আকাশ পথে হিজবুল্লাহ গেরিলারা ইসরাইলে ঢুকছে বলে ইসরাইলের সংবাদপত্রে খবর বেড়িয়েছে।

১.
ইসরাইলের বন্দরনগরী হাইফায় দূর পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করেছে হামাস। ইসরাইল সংবাদপত্র হারেৎজ ও আলজাজিরা অ্যারাবিকের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার পরপরই নগরীর বাসিন্দাদেরকে আন্ডারগ্রাউন্ড শেল্টারে চলে যাওয়ার আহবান জানানো হয়। হামাসের ক্ষেপনাস্ত্রগুলোর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি রেঞ্জের বলে আল জাজিরার খবরে উল্লেখ করা হয়।

ইসরাইলি সেনাপ্রধান লে. জেনারেল হারজি হালেভি হামাস নেতাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরাইলের বিরসেবা এলাকায় রিজার্ভ সেনাদের সাউদার্ন কমান্ডের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এই নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকার যে কোন এলাকায় অভিযান চালানোর সময় হামাস নেতা ও সদস্যদেরকে হত্যা করার টার্গেটকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।
লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ যেদ্ধারা দফায় দফায় ইসরাইলে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় হিজবুল্লাহ ড্রোনও ব্যবহার করেছে। এর জবাবে লেবাননে ক্ষেপনাস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান দিয়ে বোমাবর্ষন করেছে। ইসরাইলের সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইলি গোয়েন্দারা ধারনা করছেন প্যরাগ্লাইডারের মাধ্যমে বেশ কিছু হিজবুল্লাহ যোদ্ধা ইসরাইলে ঢুকে পড়েছে। এরপর লেবাননের সীমান্ত থেকে সাধারন মানুষকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

২.
হামাসের মুবার-১ কামানের হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইসরাইলি সেনারা। গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো ইসরাইলি বাহিনীকে এই অস্ত্র দিয়ে অবাক করে দিয়েছে হামাস। ডিফেন্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ নতুন একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরাইলের ৪টি অত্যাধুনিক এএইচ-৬৪ অ্যাপাচি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করে ইসরাইলকে চমকে দিয়েছে হামাসের প্রতিরোধ যোদ্ধারা। ফলে পুরো ইসরাইলের সামরিক-বেসামরিক নেতৃত্বের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

মুবার-১ একটি মিসাইল যা আকাশে স্বল্প দূরত্বের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে। এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রোগ্রামেবল ইলেকট্রনিক ফিউজ দিয়ে সাজানো রকেট রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই সমরাস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কুবই উন্নত যা নির্ভূল আঘাতের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হামাসের এই উদ্ভাবন ইসরাইলি বিমান চলাচলের জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

হামাসের এ ধরনের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এর আগে কখনোই দেখা যায়নি। হামাসের সামরিক প্রকৌশলীরাই এই অস্ত্রটি তৈরি করা করেছেন। তিন ধাপে ব্যবহার করা হয় এ মিসাইলটি। সম্প্রতি এর ব্যবহার নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস। এটি ৬ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। অনেকের দাবি, মুবার-১ ইরানি প্রযুক্তি। তবে হামাসের দাবি, এটি ফিলিস্তিনের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড তৈরি করেছে।

৩.
গাজা উপত্যকা এখন ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। অঞ্চলটি খাদ্য, জ্বালানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব সুবিধার বাইরে। এরমধ্যেই এবার হামাসের টানেলগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। আল জাজিরা এর খবর দিয়েছে। টানেলগুলো হামাসের সংরক্ষাণাগার ও প্রয়োজনীয় পোর্টাল হিসাবে কাজ করে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বাঙ্কার বাস্টার নামে পরিচিত একটি শক্তিশালী ধরনের বোমা ব্যবহার করে উত্তর-পশ্চিম গাজার টানেলগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।

২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন জিবিইউ-৭২ মডেলের অনুরোধ করেছিল ইসরাইল। এটি বাঙ্কার বাস্টারের সবচেয়ে উন্নত মডেল। আর এই অস্ত্র মাটির ৩০ মিটার অথবা ৬ মিটার কংক্রিট ভেদ করতে সক্ষম। আর এ সময় এটি আশপাশের যেকোনো কিছুকে ধ্বংস করে ফেলতে পারে। এই অস্ত্র ব্যবহারে বেসামরিক লোকজনের হতাহতের আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

বাঙ্কার বাস্টার শহুরের কোনো জনবহুল জায়গায় ব্যবহার করলে বেসামরিক হতাহতের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, এ ধরনের অস্ত্র শুধু ‘আত্মরক্ষার চরম পরিস্থিতি’তে ব্যবহার করা যেতে পারে। অতিরিক্ত জনসংখ্যাসমৃদ্ধ অঞ্চলে এর ব্যবহার উচিত নয়। যদিও ইসরাইল এটি ব্যবহারের ক্ষতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বলে মনে করছেন অনেকে।

ইসলাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের সদস্য রেভিটাল গটলিভ গাজা উপত্যকায় পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য নেতানিয়াহুর সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ নিজের একাউন্টে দেয়া এক পোষ্টে তিনি এই আহবান জানান। ইসরাইল জনগণের কাছে ‘জেরিকো মিসাইল’ নামে পরিচিতি এই ব্যালিষ্টিক মিসাইলের রেঞ্জ হচ্ছে ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার থেকে ৬ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি মধ্যম পাল্লার একটি আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র। ইসরাইল নিজেদের প্রযুক্তি ও ডিজাইনে এই পারমানবিক ক্ষেপনাস্ত্রটি তৈরি করেছে। এটি ৭৫০ কেজি ওজনের পরমানু বোমা বহন করতে সক্ষম।

৪.
এদিকে হামাস-ইসরাইল সংঘর্ষের পঞ্চম দিন এ পর্যন্ত ১১০০ ফিলিস্তিনি নিহতের সংবাদ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কয়েকশ শিশু রয়েছে। এছাড়া অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনাদের গুলিতে ২৮ জন নিহত ও আহত হয়েছেন ১৫০ জন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলের চলমান হামলার কারণে আড়াই লাখের বেশি ফিলিস্তিনি তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অপরদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাসের হামলায় তাদের ১২০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং বিরোধী দলীয় নেতা বেনি গ্যান্টজ বুধবার যুদ্ধকালীন জরুরি ঐক্য সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজের সমন্বয়ে একটি যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

ইসরাইল সফররত ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি হামলার সাইরেন বাজার শব্দ শুনে দৌড়ে নিকটবর্তী একটি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা গেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ ইসরাইলের ওফাকিম এলাকায় সফরে যাওয়ার পর সেখানে হামাসের রকেট ছোড়ার সতর্কবার্তা হিসেবে সাইরেন বেজে ওঠে। সাইরেনের শব্দ শুনে সাথে সাথেই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী দৌড় দেন। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলের প্রতি জোরালো সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। তারা হামাসের আক্রমণের নিন্দা জানাচ্ছে।

এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল ও পশ্চিমা গনমাধ্যমে প্রকাশিত অনেক খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে নারী ও শিশু হত্যা নিয়ে নানা ধরনের প্রচারনা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে একটি খবর ছিলো শিশুর মাথা আলাদা করা। এ নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরে হোয়াইট হাউস থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেয়া হয়েছে। হামাস যোদ্ধরাই যে ইসরাইলি শিশুদের গলা কেটে হত্যার পর তাদের মাথা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন প্রমান হোয়াইট হাউস এখনো পায়নি। এ ধরণের কাজ হামাসই যে করেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও।

ইসরাইলি সংবাদপত্র টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে গতকাল একথা বলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে ইহুদি নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেয়ার সময় ইসরাইলি শিশুদের হত্যাকান্ড নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হোয়াইট হাউস একথা বলেন।

৫.
গাজায় যুদ্ধ নয়, ইসরাইল হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আনাদোলু নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয় গতকাল বুধবার ইসরাইলি বাহিনীর তীব্র সমালোচনা করে এরদোয়ান বলেছেন, যুদ্ধেরও কিছু নীতি থাকে। কিন্তু গাজার ক্ষেত্রে তা চরমভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে। খবর

এরদোয়ান বলেন, মানুষকে তাদের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা দেওয়া, বেসামরিক লোকজনের বাসস্থানে বোমা হামলা করাসহ লজ্জাজনক প্রত্যেকটি পদ্ধতি ব্যবহার করে একটি সংঘাত পরিচালনা করা কোন যুদ্ধ নয়, এটি সুস্পষ্টভাবে হত্যাযজ্ঞ। তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বেপরোয়া আক্রমণকে ‘নৈতিকতা বর্জিত’ উল্লেখ করে এর কঠোর সমালোচনা করেন এবং বিশ্বকে ‘অন্ধভাবে’ এক পক্ষ না নেওয়ার আহ্বান জানান।

এরদোয়ান বলেন, ‘ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার কোনো প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেনি। এই ইস্যুতে বিশ্বের সব প্রতিষ্ঠানেরই দায় রয়েছে। ফিলিস্তিনি জনগণকে একা ছেড়ে দিয়েছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা। তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।’

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যেসব নেতা নীরবতার পরিবর্তে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন আমরা দুঃখের সঙ্গে তাদের মনোভাবকে স্বাগত জানাই। আমরা আহ্বান জানাই এই সংঘাতের দুই পক্ষ নিয়ে যেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অন্যান্য অঞ্চলের দেশগুলো ন্যায়, ন্যায্য ও মানবিক মনোভাব গ্রহণ করে। ফিলিস্তিনি জনগণকে শাস্তি দেওয়ার লক্ষ্যে মানবিক সহায়তা বন্ধ করার মতো সা¤্রাজ্যবাদী সিদ্ধান্ত থেকে সবার বিরত থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন এরদোয়ান।

তিনি বলেন, অন্ধভাবে একপক্ষ নিলে বর্তমান সংকট আরও গভীর হবে। এ জন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে আমরা সব পক্ষকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমরা চাই এই অঞ্চলে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ হোক এবং সব পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হোক। তুরস্কের পক্ষ থেকে আমরা সবকিছু করতে প্রস্তুত রয়েছি।

তুরস্কের শিক্ষা উপমন্ত্রী নাজিফ ইলমাজ এক টুইট বার্তায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘হামাস যোদ্ধারা একদিন আপনাকেও হত্যা করবে। আপনিও তাদের হাত থেকে রেহাই পাবেন না।’ নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলার একটি ভিডিও পোষ্ট করার পর তুর্কি উপমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নেতানিয়াহুর তুরস্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

৬.
আগামীকাল শুক্রবার আরব ও মুসলিম বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন হামাসের সাবেক প্রধান খালেদ মিশাল। আরব বিশ্বে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়ে একটি রেকর্ড করা বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমানে হামাসের প্রবাসী অফিসের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মিশাল।

বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমাদের অবশ্যই ‘আল-আকসা ফ্লাড’ এর অংশ হিসেবে শুক্রবার আরব এবং ইসলামি বিশ্বের প্রতিটি রাস্তায় নামতে হবে। শুক্রবার ইসরাইলে বসবাসরত ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেমের আল-আকসা মসজিদে জড়ো হওয়া উচিত। এদিকে, এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আগামীকাল শুক্রবারকে ‘ফাইড্রে অব আল-আকসা ফ্লাড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ‘ইসরাইলি দখলদারিত্বের প্রকাশ্য যুদ্ধের মুখে’ ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে এই ইভেন্টটি খোলা হয়েছে।

ইসরাইলে হামাসের হামলা ও গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর পাল্টা সর্বাত্মক হামলা শুরুর পর মৃত্যুপুরি গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে দেশে দেশে মিছিল-সমাবেশ করছেন হাজার হাজার মানুষ। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউস থেকে শুরু করে ব্রাজিলের সাও পাওলো পর্যন্ত হাজারো মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে সমাবেশ করেছেন। গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর সড়কে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থক মিছিল করেছেন বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।