চলতি মাসে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ফুড সিকিউরটি আপডেট প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে পাকিস্তানে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাংলাদেশে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। আর ভারতে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভুটান ও মালদ্বীপ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন তৈরির সময় পর্যন্ত দেশ দুটির ডিসেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির হিসাব প্রকাশিত হয়নি। নভেম্বরে দুই দেশেই ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হারে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের শেষ দিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানে। গত বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বছরের শেষ দিকে গিয়ে এটি অনেক বেড়েছে। ভারতে গত বছরের জানুয়ারিতে এ হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ ছিল। বছরের শেষ দিকে তা প্রায় ৯ শতাংশ ছুঁইছুঁই। ভুটানে জানুয়ারিতে ছিল দেড় শতাংশ। ডিসেম্বরে ৫ শতাংশের বেশি।
মূল্যস্ফীতি কমানোর ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে শ্রীলঙ্কা। গত বছরের শুরুর মাসে সাড়ে ৫৩ শতাংশ খাদ্য মূল্যস্ফীতি বছরের শেষ দিকে নেমেছে শূন্য শতাংশের প্রায় কাছাকাছি পর্যায়ে। পাকিস্তানেও আগের চেয়ে কমেছে। গত বছরের শুরুর মাসে সেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৪৩ শতাংশ। বছরের শেষ মাসে যা ২৮ শতাংশের নিচে নেমেছে।
আফগানিস্তানে খাদ্যপণ্যের দাম কমে এলেও দেশটির খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরের খরা ও কর্মসংস্থানের সমস্যার কারণে দেশটির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের জরুরি খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা প্রয়োজন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাবিশ্বে গত ডিসেম্বর মাসে আগের মাসের তুলনায় কৃষিপণ্যের দাম ২ শতাংশ ও খাদ্যশস্যের দাম ৪ শতাংশ কমেছে। এর মধ্যে ভুট্টার দাম ৮ শতাংশ ও গমের দাম ৬ শতাংশ কমেছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এসব পণ্যের দাম আরও অনেক বেশি কমেছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। তবে কিছু ঝুঁকিও রয়েছে। যেমন– মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, সুদের হার বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
সমকাল