ত্রাণের চাল লুট ও আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জামায়াতের

ত্রাণের চাল লুট ও আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জামায়াতের – নয়া দিগন্ত

ত্রাণের চাল লুট ও আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের এই দুঃসময়েও সরকারি দলের লোকজন ত্রাণের চাল লুটপাট ও আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের চাল লুটের হিড়িক পড়ে গেছে।

তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকে ত্রাণের চাল লুট ও আত্মসাতের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রহণের কথা ঘোষণা করা হলেও বাস্তবে তা কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বরং চাল আত্মসাতের খবর প্রচার করার কারণে সাংবাদিকরা আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। সারাদেশে চাল লুট করতে গিয়ে যারা গ্রেফতার হচ্ছেন, তাদের সংখ্যা খুবই কম। বহু লোক ধরা-ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। যে পরিমাণ চাল উদ্ধার করা হচ্ছে তার চাইতে বেশি পরিমাণ চাল লুটপাট হচ্ছে এবং উদ্ধারের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে। বিশেষজ্ঞগণ আরো সংকটজনক পরিস্থিতির আশঙ্কা করছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে লকডাউন চালু থাকায় প্রতিদিন ৩,৩০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সঞ্চয় ভেঙ্গে খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সারা দেশে মানুষ খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে। পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯- তে খাবার চেয়ে প্রায় দুই লাখ ফোন এসেছে। দেশের মহাবিপর্যয়ের সময় যারা চাল লুট ও আত্মসাৎ করছেন, তারা মানবতার দুশমন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনই দুর্নীতিবাজ লোকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ আরো দীর্ঘ হবে ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা মনে করি সরকারের উচিত অবিলম্বে ত্রাণের চাল লুট ও আত্মসাতের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করা। সেই সাথে দলীয় পরিচয়ের ঊর্দ্ধে উঠে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণের চাল বিক্রি ও বিতরণ নিশ্চিত করা দরকার; যাতে অসহায় নিম্নআয়ের মানুষজন দেশের এই কঠিন সময়ে অন্তত বেঁচে থাকার সুযোগ পায়।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তি