মিনার রশিদ
চেতনা মিশ্রিত তিনটি আবিষ্কার নিয়ে যৎকিঞ্চিত আলোচনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এক, স্বাধীনতার ঘোষক তদানীন্তন মেজর জিয়া আসলে পাকিস্তানের দালাল হিসাবেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন! দুই, মাহমুদুর রহমান জামায়াতের প্রোডাক্ট! জামায়াত-শিবিরের ট্যাগটি অনেকের গায়ে আঁটলেও সকলের মুরব্বি হিসাবে মাহমুদ ভাইকে নিয়েই আলোচনাটি সারবো। আর তিন নম্বর আবিষ্কারটি হলো, পিনাকী ভট্টাচার্য্য আসলে ‘র’ এর এজেন্ট! উপরোক্ত তিনটি আবিষ্কারের মূল আবিষ্কারক একই পক্ষ! শেষের দুটিতে চেতনার বিপরীত দিক থেকেও কেউ কেউ তাতে বাতাস দিয়েছেন। আশা করি, বিষয়টি নিয়ে পর পর তিনটি পর্বে একটি নির্মোহ আলোচনা করতে সক্ষম হবো।
নেত্রী হিসাবে শেখ হাসিনা বাবা রজনীশ থেকেও ভাগ্যবান! শেখ হাসিনা যদি লেখেন, ‘গুড় খেতে খুব মজা’ এবং তাতে গুড়ের ‘ড়’-টি যদি অগত্যা বাদ পড়ে যায় তখন তার সাগরেদরা বলতে থাকবে, সত্যিই তো, গু খেতে খুবই মজা। চেতনার উচ্চ স্তরে যারা উঠে গেছেন তাদের দুয়েকজন জয় বাংলা বলে চিৎকার মেরে টেস্টও করে ফেলতে পারেন! কেন এটি বললো, সাগরেদদের কেউ কস্মিনকালেও সেই প্রশ্ন করবে না। জিল্লুর রহমান তো বলেই ছিলেন, আমার নেত্রী ভুল করতে পারে না। পর্যবেক্ষণটি আমার নিজের না, এই তুলনাটি ফাহাম আব্দুস সালামের কোনও একটি পোষ্টে সম্ভবত পড়েছিলাম। সেই শেখ হাসিনা যখন বলেছেন, জিয়া পাকিস্তানের চর হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তখন তার লেসপেন্সাররা এটি প্রতিষ্ঠিত করতে উঠে পড়ে লেগে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক!
মেজর জিয়ার মত একজন ‘দালাল’-কে এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসিয়েও পাকিস্তানকে এমন শোচনীয় পরাজয় বরন করতে হয়েছিল, সেটা এক বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন! এই প্রশ্নের পরও চেতনাধারীরা অত্যন্ত ঈমানদারির সাথে এটা বিশ্বাস করে থাকে।
শেখ হাসিনা এবং তদীয় কাউয়ারা জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক না বলে ঘোষণার পাঠক হিসাবে তুলে ধরতে প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। আরেক খচ্চর জিয়ার মাজারে তার লাশ আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের ভাবনামত আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামটি ছিল যেন মায়াবী সন্ধ্যার এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যে অনুষ্ঠানটি তৎকালীন এক অজ্ঞাত/অখ্যাত মেজর উপস্থাপন করেছিলেন! আর এত শত সুললিত কন্ঠের নেতা-পাতি নেতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী থাকতে কাঠখোট্টা একজন মেজরকে কেন সেই স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করতে হয়েছিল? আর সেই ঘোষণাটি কে-ই বা লিখে দিয়েছিলেন? তাজউদ্দীন সাহেবতো ২৫শে মার্চ তারিখে সারাদিন চেষ্টা করেও সেই ঘোষণাটি তাঁর নেতার মুখ থেকে রেকর্ড করে আনতে পারেন নাই। জবাবে সেইদিন উনি কী বলেছিলেন সেই কথা, সেই দৃশ্য পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখে গেছেন তাজউদ্দিন কন্যা এবং বর্তমান মন্ত্রী সভার এক প্রতিমন্ত্রীর ভগিনী! সেদিন তাজউদ্দীন সাহেবের সেই কিশোরী কন্যা তার কাকীমাকে মুজিব কাকুর পায়জামার ফিতা লাগানো সহ স্যুটকেস গোছানোর অমলিন স্মৃতিটুকুও তুলে ধরেছেন। কাজেই একটা উৎসবমুখর পরিবেশেই যে আত্মসমর্পণের এই পর্বটি সংগঠিত হয়েছিল তা সহজেই অনুমেয়। সেই আত্মসমর্পণের আগে ৩২ নম্বরে সামরিক অভিযান তো দূরের কথা সামান্য (বর্তমান র্যাবের স্টাইলে) সিনেমাটিক একশনও সংঘটিত হয় নাই।
অন্যদিকে কথিত এই ‘ঘোষণার পাঠক’ নিজের স্ত্রী ও দুটি ছোট্ট বাচ্চাকে বাঘের খাঁচায় রেখে এই ভয়ংকর ঘোষণাটি পাঠ করেছিলেন! আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ব্যর্থ হলে যে প্রথম মানুষটির কোর্ট মার্শালে ফাঁসি হত তিনি এই ‘অভাগা ঘোষণার পাঠক’। তাজউদ্দীনের নেতা ও মুজিব ভাই যে ভয়ে অনেক পীড়াপীড়ির পরেও এই ঘোষণাটি রেকর্ড করে যান নি। সেদিন যিনি ভয়ে নিজের ভয়েজটি দেন নি তিনি হলেন ঘোষক, আর যিনি শুধু নিজের ভয়েজটিই দেন নি, ইথারে নিজের নাম ও পদবীটিও জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি হলেন স্রেফ এর পাঠক! হায়রে সেলুকাস! কী আজব এই ইতিহাস!
ইন্ডিয়ার তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ই নভেম্বর ১৯৭১ সালে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করেছিলেন, “The cry for independence arose after Sheikh Mujib was arrested and not before. He himself, so far as I know, has not asked for independence even now.” অর্থাৎ তিনি বলেছিলেন, স্বাধীনতার জন্যে এই আওয়াজটি শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার পরে উঠেছে, আগে নয়। তাছাড়া আমি যতদূর জানি এখন পর্যন্ত তিনি স্বাধীনতা চান নি। কাজেই প্রিয় পাঠক, এক মিনিট নীরবে চিন্তা করুন! কথিত স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক (?) কী ঝুঁকিটিই না নিয়েছিলেন!
তাছাড়া আমরা জানি, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করি এবং ১০ই এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়। তাহলে ২৬শে মার্চ থেকে ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত এই ভূখণ্ডটি কার কমান্ডে ছিল? আমরা আরও জানি, একটি আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা এক মুহূর্তের জন্যেও কমান্ডবিহীন থাকতে পারে না। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কেনেডি যখন আততায়ীর হাতে নিহত হন তখন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসনকে নিরাপত্তার স্বার্থে এয়ারফোর্স ওয়ানের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে করে উপরে উঠিয়ে নেয়া হয় এবং সেখানেই শপথ পাঠ করানো হয়। তাহলে আমাদের এই বিশাল গ্যাপটি কীভাবে পূরণ করা হবে? শেখ মুজিব তো কোর্ট মার্শালের ভয়ে এ ঘোষণা দিয়ে যান নি। ওয়ারলেসে ঘোষণাটিকে সত্য বলে ধরে নিলেও তার অবর্তমানে কে নেতৃত্ব দিবেন তা বলে যান নি। চাক্ষুষ ও সকল বিশ্বাসযোগ্য বর্ণনার বিপরীতে ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণার যে গল্প পাতা হয়েছে, সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। কে সেই ওয়ারলেস অপারেটর? এমন বিশাল কৃতিত্বের জন্যে এখন পর্যন্ত সেই দাবিটি নিয়ে কেউ বা সেই ভাগ্যবানের কোনও আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এলো না, তা এই বঙ্গভূমিতে বিস্ময়কর ঘটনা!
আসলে ২৬শে মার্চ জিয়াউর রহমান সেদিন প্রথম যে ঘোষণাটি দিয়েছিলেন যেখানে তিনি নিজেকে এক্টিং প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন এবং পরে সংশোধন করে বঙ্গবন্ধুর নামে ঘোষণা করেছিলেন। তার মধ্যে প্রথম ঘোষণাটিই এই জটিল প্রশ্নের সমাধানটি টানতে পারে! আপাত: ভুল সেই ঘোষণাটিই ছিল মূলত আমাদের ইতিহাসের প্রথম প্রেসিডেন্টের একমাত্র এভেইলেবল সাপোর্টিং ডকুমেন্ট। এটি না মানলে আমাদের স্বাধীনতা দিবস সংশোধন করে কমপক্ষে ১০ই এপ্রিল রাখতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নানা মনীষীর (যার মধ্যে আওয়ামী ঘরানারই বেশি) উক্তি ঘেঁটে এই যুক্তিটিই তুলে ধরেছিলেন। তাতে আওয়ামী বলয় স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতেই ছ্যাৎ করে উঠেন। অবাক করা বিষয় হলো বিএনপির অনেক প্রবীণ ব্যক্তিত্ব বিশেষ করে সুশীল বুদ্ধিজীবীদের একটা অংশ সশব্দে কিংবা নিঃশব্দে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। বিশেষ করে মরহুম ডাঃ জাফরউল্লাহ ভাই বিষয়টিকে জটিল করে ফেলেন।
ডাঃ জাফর উল্লার সরলতা কিংবা অন্য কোনও জটিল মনস্তাত্ত্বিকতার কারণেই বোধহয় বিএনপির ট্যাগ নিয়ে অনেক আওয়ামী বয়ান বিএনপি বলয়ে ছড়িয়ে গেছেন। তারপরেও দেশের ও মানুষের অনেক মহৎ কাজের জন্যে এই রোজা রমজানের দিনে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
এসব কারসাজির কারণেই আওয়ামীলীগ বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা বয়ান প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। বিপরীত দিকে আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অনেক সত্য কথা বিএনপি প্রকাশ করতে পারে নাই। বিশেষ করে “পাছে লোকে রাজাকার বলে” এই আতংকটি অত্যন্ত মারাত্মকভাবে বিশেষ করে বুদ্ধিবৃত্তিক মহলে ছড়ানো হয়েছে। ফলে অনেক সত্য কথার ডাইরেক্ট পরিণাম, তুই রাজাকার!
এই ভয়কে যদি বিএনপি সম্যক জয় করতে পারত তবে এই দেশের ইতিহাস ভিন্ন দিকে মোড় নিতে পারত। আওয়ামী বলয় যখন বিএনপির দিকে আঙুল উঁচিয়ে বলে, তুই রাজাকার। বিএনপির সগর্বে বলা উচিত, হ্যাঁ আমি রাজাকার। এই কথাটি বলতে পারলে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আওয়ামীলীগের ব্যবসাটি বন্ধ হয়ে যেত। পাকিস্তান জুজুর এই ভয় দেখিয়ে দেশটিকে দিল্লির হাতে সোপর্দ করে দিয়েছে।
এগুলো মোকাবেলায় বিএনপিকে ‘টিট-ফর-ট্যাট’ মেডিসিন নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। আওয়ামীলীগ নামক দানবকে মোকাবেলা করতে এর আত্মা যে কৌটায় রাখা আছে সেই কৌটাকে জব্দ করতে হবে। ছোটবেলার রাক্ষস খোক্ষষের গল্পে হাউ-মাউ খাও, মানুষের গন্ধ পাও এসব শুনেছি। সেসব রাক্ষসদের আত্মা একটা বোতলের ভেতর রাখা থাকতো। সেই বোতলটি ভাঙতে পারলে বা ধরতে পারলেই কেল্লা ফতেহ করা যেত। বর্তমানে হাসিনা নামক যে দানব বা রাক্ষস জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে এর আত্মা সংরক্ষণের বোতলটি দিল্লির হাতে রয়েছে। সেই বোতলটিকে ঠিকভাবে ঝাঁকি দিতে পারলেই এই দানবটিকে ধ্বংস করা সম্ভব। ইন্ডিয়ান প্রডাক্ট বয়কট আন্দোলন সেই কাজটিই করছে।এই ঝাঁকিটি কেমন লাগছে তা শেখ হাসিনা এবং কাউয়া কাদেরদের সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ আপনি একটি ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট করছেন মানে সেই বোতলটিতে একটি ঝাঁকি দিচ্ছেন।
বিশ্ব রাজনীতিতে ইন্ডিয়ার দুর্বল জায়গাগুলো প্রয়োজনে ব্যবহারের সুযোগ বিএনপির কাছ থেকে পুরাপুরি সরে যায় নাই। ১৮কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় নব্বই ভাগ জনগণের সমর্থন নিয়ে বিএনপি আদৌ দুর্বল নয়। পশ্চিমা বিশ্বের চক্ষুলজ্জা জাত লিপ সার্ভিস যতটুকু পাওয়া যায় ততটুকুই কাজে লাগাতে হবে। চায়না সহ মুসলিম বিশ্বের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে অর্থাৎ এই ক্রান্তিলগ্নে আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে জিয়াউর রহমানের সেই রাজনীতিতে ফিরে যেতে হবে!
চায়নার সাথে আমেরিকা কখনোই যুদ্ধে জড়াবে না- এটা মোটামুটি নিশ্চিত! দুজনের কেউ এই যুদ্ধ এফোর্ড করতে পারবে না। এতে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। কাজেই পুরো বিশ্বের অস্তিত্বের স্বার্থেই একটা স্ট্যাটাসকো অবস্থায় থাকবে। এমতাবস্থায় বিএনপি জিয়াউর রহমানের ফরেন পলিসিকে সহজেই অনুসরণ করতে পারে।
এরকম একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারলেই ইন্ডিয়ার টনক নড়বে এবং ইন্ডিয়া আমাদের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে বাধ্য হবে। আমি কিছুদিন আগে দুই ভাইয়ের বাপের সম্পত্তি বণ্টন নিয়ে যে গল্প বলেছিলাম হুবহু তা প্রয়োগ করতে হবে। ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি লম্বা হলে আশা করা যায় অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও এটি ছড়িয়ে পড়বে। কারণ প্রতিবেশী সবাই ইন্ডিয়ার উপর খ্যাপা। তাছাড়া এই পণ্য বয়কট মুভমেন্ট আরও একটু লম্বা হলে মুসলিম বিশ্বে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের সাথে ইন্ডিয়ান পণ্য বয়কট যোগ হয়ে যেতে পারে। পণ্য বয়কটের চূড়ান্ত ধাপের এই ঝুঁকিটাও ইন্ডিয়ার সামনে রয়েছে। বৈশ্বিক পরিসরে ইজরাইলের যেমন একটা দুধেল গাভী (ইউএসএ) রয়েছে, ইন্ডিয়ার কিন্তু তেমন কেউ নেই!
মুসলিম বিশ্বের শাসক শ্রেণী বড় বড় বিশ্ব শক্তিগুলোর পাপেট হলেও মুসলিম উম্মাহর ধারণাটি জনগণ থেকে জনগণ লেভেলে এখনও কার্যকর! সেটি ইসরায়েলের সাথে সাথে ইন্ডিয়ার উপর প্রয়োগ হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না! এর সাথে যোগ হবে গণতান্ত্রিক ও মুক্ত বিশ্বের সাধারণ জনগণ। আশেপাশের সকল প্রতিবেশী এবং আড়াই শ কোটি মুসলিম সম্প্রদায়কে (নিজের মধ্যেও আছে কমপক্ষে ২০ কোটি মুসলিম!) এভাবে বৈরী করলে ইন্ডিয়ার পরিস্থিতি খুব একটা সুখকর হবে না! বিশ্ব মানবতার হাতে এই সফট পাওয়ারটি সামনের দুনিয়ায় মানবতার একটা অন্যতম রক্ষা কবজ হয়ে পড়তে পারে।
লেখক: মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, লেখক ও গবেষক
amardesh