ঢাকা
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এবং তাঁদের সম্পদ জব্দের আদেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে যুবদল। আজ শুক্রবার নয়াপল্টনে এই কর্মসূচি পালন করেন।
এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দার বিরুদ্ধে গত ১ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন এসেছে, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী পলাতক। এ নিয়ে ৫ জানুয়ারি আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী পলাতক আসামি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
বর্তমান সরকারকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে অভিযুক্ত করে মামুন হাসান বলেন, এই সরকারের কাছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কিংবা সম্পদ জব্দের আদেশ প্রত্যাহার চাই না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতা–কর্মীদের মুক্তি দাবি করছি না। তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে গণতন্ত্র উত্তরণের আন্দোলন চলছে, সেই আনোলনের সারথিরাই এই সরকারের বন্দিশালা ভেঙে অচিরেই সবাইকে মুক্ত করবে।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, জনগণের যৌক্তিক আন্দোলনের মুখে পলায়নপর দিশেহারা এ সরকার, অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার লক্ষ্যে এখন পোড়ামাটি নীতি অবলম্বন করছে। তারা নির্বিচার বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীদের ওপর জুলুম–নির্যাতন চালাচ্ছে। তাদের পেটোয়া বাহিনী দিয়ে খুন, গুম করছে। কয়েক লাখ মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতা–কর্মীদের জেলে ভরছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই তারা জনজোয়ার রুখতে পারছে না।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন যুবদলের সহসভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব মোস্তফা জগলুল, দক্ষিণের সদস্যসচিব খন্দকার এনামুল হক এনাম প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন যুবদলের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা ও দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত তারেক রহমান এক যুগের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। অপর দিকে বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে তাদের নেতা তারেক রহমানকে ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।