রাজনৈতিক সমঝোতা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের আগে তপলিশ ঘোষণা থেকে বিরত থাকতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি দাবি জানিয়েছেন চরমোনাইয়ের পীর তথা ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, ‘দাবি উপেক্ষা করে যেদিন তপশিল ঘোষণা করা হবে, সেদিনই ইসি অভিমুখে গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন। পরের দিন সারাদেশে তপশিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করবে।’
শনিবার পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন চরমোনাইয়ের পীর। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনরত অন্যান্য বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সব কর্মসূচির পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন। এ ছাড়াও সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক এবং বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের প্রতিনিধিগণকে নিয়ে আগামী ২০ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় সংলাপে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’ এ সময় তিনি আবারও বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের আমির বলেন, ‘একজন নেতা এবং একটি দলের গোয়ার্তুমির কারণে দেশ আক্ষরিক অর্থেই যুদ্ধাবস্থায় নিপতিত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতার প্রয়োগ অর্থে স্বাধীনতার যে তাৎপর্য তা হারিয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ও কর্যকর করা যায়নি। যার ফলে নির্বাচনকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সার্বজনীন রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তার সুফলও জাতি পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সার্বজনীন সমর্থিত এই ব্যবস্থাকে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে হত্যা করেছে।’
সমকাল