‘ড. ইউনূসের পক্ষে বিশ্বনেতাদের বিবৃতি তদন্তে প্রভাব ফেলবে না’

Dhaka Post

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

২৯ আগস্ট ২০২৩, ০৮:২৮ পিএম

 

‘ড. ইউনূসের পক্ষে বিশ্বনেতাদের বিবৃতি তদন্তে প্রভাব ফেলবে না’

মো. মাহবুব হোসেন

‘ড. ইউনূসের পক্ষে বিশ্বনেতাদের বিবৃতি দুদকের তদন্তে প্রভাব ফেলবে না, দুদক তার আইন দ্বারা চলে’ বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মো. মাহবুব হোসেন। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মো. মাহবুব হোসেন বলেন, ‘দুদক আইন-২০০৪ এ যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে তার আলোকে অনুসন্ধান ও তদন্ত হবে। আইন অনুযায়ী তার (ড. ইউনূসের) মামলা চলবে। এসময় কোনো চাপ বা পক্ষ বিপক্ষ নেওয়ারও সুযোগ নেই। মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। শেষ হলেই জানানো হবে।’

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

সোমবার (২৮ আগস্ট) নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর খোলা চিঠি পাঠিয়েছেন ১৭৫ জন বিশ্বনেতা

ওই চিঠিতে ১০০ জনেরও বেশি নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতি, কূটনীতিক, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যক্তিরা রয়েছেন।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকারের প্রতি যে হুমকি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তা হলো- নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা। আমরা উদ্বিগ্ন, সম্প্রতি তাকে টার্গেট করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস।’

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা সসম্মানে অনুরোধ করছি, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন, তারপরে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণসহ আপনার দেশের মধ্যে থেকে নিরপেক্ষ বিচারকদের একটি প্যানেল দ্বারা অভিযোগ পর্যালোচনা করা হবে। আমরা নিশ্চিত, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী ও শ্রম আইনের মামলাগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করা হলে তিনি খালাস পাবেন।’

এর আগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি লিখেছিলেন রাজনীতি, কূটনীতি, ব্যবসা, শিল্পকলা ও শিক্ষাক্ষেত্রের ৪০ জন বিশ্বনেতা। তাদের মধ্যে ছিলেন- যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট মেরি রবিনসন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো ব্যক্তিত্বরা।