ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সিরিজ হারতেই সমালোচনার তীর ছুটেছিল। এমনকি গিলক্রিস্টের মতো সাবেকরা এই নেদারল্যান্ডস, নেপাল নিয়ে সতর্ক করেছিল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিনসেন্টে ডাচদের হারিয়ে বাংলাদেশ এখন শেষ আটের পথে। টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ তুলেছিল ১৫৯ রান। ১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থেমেছে নেদারল্যান্ডস। এতে ২৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে টস জিতে বাতাসের সুবিধা আদায় ও অচেনা উইকেটের ফায়দা লুটতে বোলিং নেয় ডাচরা। রিভার্স সুইপ খেলে শুরুতে উইকেট বিলিয়ে আসেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (১)। এরপর বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফেরেন লিটন দাস (১)। ২৩ রানেই ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপরই জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান ও তানজিদ তামিম। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৮ রান।
তানজিদ ২৬ বলে পাঁচটি চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রান করে আউট হন। সাকিব ৪৬ বলে ৯ চারের শটে হার না মানা ৬৪ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে ২১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস আসে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৫ উইকেটে সেন্ট ভিনসেন্টের সর্বোচ্চ ১৫৯ রান তোলে। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন আরিয়ান দত্ত ও পল ফন মিকেরেন।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান তুলতে পারে ডাচরা। শুরুর ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৮ রান করে ভালো মতো ম্যাচে ছিল তারা। কিন্তু পরেই রিশাদ দুই উইকেট তুলে নিয়ে ও মুস্তাফিজ দুর্দান্ত স্পেল করে ডাচদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। কাটার মাস্টার ফিজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রিশাদ ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। তাসকিন নেন ২ উইকেট। ডাচদের হয়ে বিক্রম সিং ১৬ বলে তিন ছক্কায় ২৬, এঙ্গেলব্রেখট ২২ বলে ৩৩ ও এডওয়ার্ড ২৩ বলে ২৫ রান করেন। ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান।
৩ ম্যাচে ২ জয় বাংলাদেশের। আগামী ১৭ জুন সকালে নেপালকে হারালে নিশ্চিত হবে সুপার এইট। সে ম্যাচে হারলেও থাকবে সম্ভাবনা। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নেপালের বিপক্ষে হারতে হবে বিশাল ব্যবধানে অপর দিকে শ্রীলংকাকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে হবে নেদারল্যান্ডসের। কিন্তু দুটোই বেশ কঠিন।
SAMAKAL