ডিফেন্স রিসার্চ, খবর এবং তথ্যের সমাহার
সম্প্রতি খুলনায় ডা.রাকিবকে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়
বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ডাক্তার মৃত্যুর হার বর্তমানে ৪ শতাংশ যা বর্তমান সময়ে বিশ্বে সর্বোচ্চ সংখ্যা।অন্তত বিগত ২ সপ্তাহ যাবত প্রায় প্রতিদিনই ডাক্তার মৃত্যুর খবর বেরিয়েছে।যার অনলাইন নিউজগুলোতে জনতার বিকৃত উল্লাস দেখবার মত ছিল।এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫০ জনের মত ডাক্তার, ৮ জন নার্স কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন।একই সাথে ৩,৩০১ জন হেলথ ওয়ার্কার,৯০১ জন নার্স,১৩৬০ জনের মত মেডিকেল টেকনোলোজিস্ট,অগনিত আয়া-ওয়ার্ডবয় করোনায় আক্রান্ত।এরপরেও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেমে নেই।সরকারী হাসপাতালগুলো এখনো তাদের ক্যাপাসিটির চাইতে বেশী লোডেই চলমান রয়েছে।
সরাসরি রোগী নিয়ে কাজ করা ডাক্তারদের বিরুদ্ধে”ভুল চিকিৎসার অভিযোগ” পুরাতন নয়
বর্তমান সময়ে অপরাধের সাইকোলজি পর্যালোচনা করলে জানতে পারা যায়,মানুষের বলা,জানা এবং তা কার্যকর করার পরিকল্পনার মাঝেও তফাৎ আছে।অনলাইন কিংবা অফলাইন প্লাটফর্মে অন্যের মৃত্যু সমর্থন করা মানুষেরাও কারো ভাই,কারো বাবা।এমনকি কারো রোগী।কিন্তু সাইকোলজির ভাষায়,অন্যের মৃত্যুতে খুশী হয়ে প্রকাশ্য সমর্থন করা মানুষেরা ভবিষ্যতে যে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায়?
চিকিৎসা নিয়ে রোগী পক্ষে অভিযোগ করা হলেও কোথায়, কিভাবে,কখন ভুল চিকিৎসা হয়েছে তা আরেকজন ডাক্তার ব্যতীত কোন ভাবেই কি জানা সম্ভব?
গত ১৫ ই জুন মংগলবার খুলনা নগরীর বাগেরহাট ম্যাটস এর অধ্যক্ষ এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রিটায়ার্ড চিকিৎসক ডা.রাকিবকে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয় যার পূর্ণাংগ সিসিটিভি ফুটেজ বিদ্যমান।
ডাক্তার তুই পালিয়ে যা…
করোনা বাংলাদেশে আসবার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেশ কয়েকবার পর্যাপ্ত পিপিই এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা বললেও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।এর মাঝেও ডাক্তার,নার্স কিংবা হেলথ ওয়ার্কাররা দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে আসেননি।অথচ এখনো দেশে পর্যাপ্ত আই.সি.ইউ এবং ভেন্টিলেটর এর সংকেত।পিপিই এবং মাস্ক কেনার নামে দুর্নীতি।১০-২০ টির মত তথ্যচিত্র বানিয়ে কোটি টাকা লুটপাটের দুর্নীতি কারো অজানা নয়।ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন ভুয়া এন.জি.ও এর স্যাম্পল কালেকশনের নামে মিথ্যে রিপোর্ট এবং একই সাথে দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ দেশের বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।প্রাইভেট হসপিটালগুলোর স্বেচ্ছাচারের মত ৩০ মিনিট অক্সিজেন দিয়ে ভুতুড়ে বিল দিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে..অথচ এদের নিয়ন্ত্রণের ভার ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের।
-
ডা রকিব হত্যার দ্রুত বিচার আবশ্যক
করোনা কালীন সময়ে ডাক্তার এবং নার্সেরা ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে সবার আগেই সেবা দিয়েছেন।কিছুক্ষেত্রে প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ থাকায় ডাক্তারদের বিরুদ্ধে রোগী না দেখবার অভিযোগ উঠে।তারপরেও গত ১৪ জুন খুলনার গল্লামারীর মুহাম্মদপুর এলাকায় রাইসা ক্লিনিকে “প্রসবকালীন জটিলতা ” নিয়ে একজন অন্ত:স্বত্বা নারীকে ভর্তি করা হয়।বাচ্চা এবং মা সুস্থ থাকলেও রাতে মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।১৫ জুন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে ঢাকায় রেফার করা হয়।যার প্রতিমধ্যেই রোগীনি মারা যায়।অথচ প্রসব পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে মার্তৃমৃত্যুর অন্যতম বড় কারন “Post Partam Hemorrhage”..প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের চাইতেও আরো বেশী প্রয়োজন মার্তৃত্বকালীন সময়ে নিয়মমাফিক ভাবে রোগীর চেকাপ করানো।যা বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকাঠামোতে কমিউনিটি ক্লিনিক,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সদর হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও একই সাথে বিনামুল্যেই করা হয়।এসব ক্ষেত্রে যেমন রোগীদের সচেতনতা জরুরী তেমনি অকাট্য প্রমাণ ছাড়া ভুল চিকিৎসা দেবার অভিযোগে ডাক্তার হত্যা কি “ক্রিমিনাল অফেন্স” এর পর্যায়ে পড়ে না?
বর্তমানে করোনাকালীন সময়ে ৩৩৩ তে ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবার পাশাপাশি,অনলাইন এবং অফলাইনে ২৪ ঘন্টা ৭ দিন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করা হচ্ছে।খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা এবং চিকিৎসা এই ৫ টি মৌলিক চাহিদা বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত।সে হিসেবে আপনি কি ১ কেজি আলু,১ গজ জামা,প্রাইভেট বিদ্যালয়ে ফ্রি পড়াশোনা,১ মাস বাসা ভাড়া না দিয়ে বিনামুল্যে থাকতে পারবেন?যদি এসবের উত্তর “না” হয় তবে কেন ডাক্তারদের নিয়ে এতটা বিদ্বেষ।
বাংলাদেশের ডাক্তার,নার্স এবং মেডিকেল স্টাফদের বেতন কমেছে ২০%-৫০% শতাংশ পর্যন্ত
বর্তমান সময়ে ডাক্তারদের “সরকারী খরচে” ফ্রি তে পড়ার জন্য ফ্রি সেবা দিতে বলা হলেও,সরকারী কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা ব্যক্তিবর্গদের কখনো “ট্যাক্সের সার্ভিস” দেবার “নির্দেশ” দেয়া হয়না।ডাক্তার রাকিব হত্যার পর হত্যা মামলা গ্রহণ করতে পুলিশ প্রশাসনের গড়িমসি এবং ডা রাকিবের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে ‘Cardiac Arrest’ এ রোগীর মারা যাওয়ার রিপোর্ট ডা রাকিবের বিচার পাওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।এর মাঝে ডাক্তারদের পদোন্নতি নিয়ে রাজনীতি এ মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।অথচ,এ পেশাটি কি রাজনীতির জন্য নিবেদিত হবার দরকার ছিল?
হাসপাতালে রোগী নেই,ডাক্তাররা রোগী নিতে চায়না!-স্বজনদের অভিযোগ
বর্তমান সময়ে হাসপাতালে আইসিইউ নেই,ডাক্তার রোগী ভর্তি নেয়না অভিযোগের পূর্বে জানা উচিত,আইসিইউ,অক্সিজেন দেবার দায়িত্ব কার?কোভিড-১৯ কিংবা অন্যান্য চিকিৎসার জন্য প্রাইভেট হসপিটালে রোগীদের থেকে নেয়া ফির কত শতাংশ ডাক্তারেরা পেয়ে থাকে।জুনিয়র লেভেলে কাজ করা ডাক্তারদের প্রাইভেট হসপিটালে বর্তমান বেতন ১৩,০০০-১৭,০০০।তার মাঝে বেতন কর্তন,প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম না দেওয়া,বেতন না দেয়া,ঈদের বোনাস বন্ধের মত বিষয়গুলো কতটা দৃষ্টিগোচর হয় সবার?স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেশে ১ লক্ষের মত রেজিস্টার্ড ডক্টর আছেন।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে যদি ১৪ লাখ পিপিই কেনা হয়ে থাকে তবে প্রতি ডাক্তারের ১ টি সরকারি পিপিই পাবার কথা।একই ভাবে প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী না নেওয়া এবং রোগীদের এক হাসপাতাল হতে অন্য হাসপাতালের নেয়ার ভোগান্তির দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এড়াতে পারেনা।এছাড়া,করোনা রোগী দেখায় বাসা ভাড়া না দেয়া,হসপিটাল যেতে না দেওয়া,বাসায় ভাংচুর এমন অভিযোগের বিচার আজ অবধি হয়নি।
রোগীদের ভোগান্তির সব দায় কি ডাক্তারের একার?
অথচ স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় চাইলে নীতিমালা প্রনোয়ন,প্রাইভেট হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ,ডাক্তারদের প্রনোদনা প্রদান,সুষ্ঠু কাঠামোর মাধ্যমে রোগীদের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে পারত।
ডাক্তারেরা দেবতা নয়,মানুষ
ডাক্তারদের ভুল নেই কথাটি এমন না।মানুষ মাত্রই ভুল।বর্তমান করোনায় পুলিশ সদস্যদের কষ্টের অন্ত নেই।রোটেশন ডিউটি,উৎসুক জনতা সামাল দেয়া,আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশ,সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।ডাক্তারদের সকলেই মাঠে আছেন,তাও কিন্তু নয়।একথা অনস্বীকার্য যে ডাক্তারেরাও ভুল করেন।একজন মুসলিম,কিংবা সনাতন যে ধর্মেরই হউন না কেন আপনি,,জন্ম কিংবা মৃত্যু এর পুরো ভার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের।তাই বলে রোগ হলে কি চিকিৎসা নেবেন না?কিছু দুষ্টলোকের জন্য,তাদের কমার্শিয়াল চিন্তাভাবনার জন্য পুরো ডাক্তার কিংবা পুলিশ কমিউনিটি কেই গালি দেবেন?
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এ ব্যয় এখনো সীমিত।সে সীমিত বাজেটের এ খাতের নিয়ন্ত্রণ ডাক্তারদের হাতে নয়।দুর্নীতির অভিযোগ পুরনো নয়।মাস্ক,পিপিই সরবরাহে অনিয়মের দায় ডাক্তারের না।সরকারি হাসপাতালে মেডিসিন নেই,এক্সরে যন্ত্র নেই তার জন্য ডাক্তার,নার্স লভ্যাংশ পান না।কমিশন বাণিজ্যের দায় সব ডাক্তারের নয়।ডাক্তার আপনার একজন সেবক,তবে মনে রাখতে হবে ডাক্তার আপনার চাকর নন।কোভিড-১৯ এর টেস্ট এর সংখ্যা বাড়ার সাথে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।প্রশাসনিক লেভেলে হাসপাতালের পানি পাইপ ভাংগা,কিংবা ফ্যান চলেনা তা সমাধানের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।ডাক্তার হতে ৬ বছর নুন্যতম এবং বিশেষজ্ঞ হতে দরকার পড়ে আরো ১০ বছর।কিছু ক্ষেত্রে সময় লাগে আরো বেশী।যে হাত আপনার সেবায় গড়া সেই হাত ভেংগে দিলে ক্ষতি কার?ক্ষোভের জন্য যে জীবন আপনার জীবনের জন্য লড়াই করে তাকেই কি খুন করবেন?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ২০০০ জন ডাক্তার,৫০০০ নার্স,১৫০০ এর মত মেডিকেল টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছেন এবং দিয়েছেন।দরকারে আরো ২০০০ ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে।কিন্তু উপজেলা লেভেলে কি সে পরিমাণ ইনফ্রাস্টাকচার আছে?ডাক্তার আছে বলার সাথে প্রয়োজনীয় জনবল, জিনিসপত্র থাকাও জরুরী।ডাক্তার চিকিৎসা দেয় না এমন মতোবাদ ডাক্তার-রোগী সম্পর্কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সেবার মান বাড়াবার পাশাপাশি ডাক্তারদের রোগীদের ও সময় দেয়া জরুরী।একই সাথে রোগীদের নিজেদের সচেতন হতে হবে।আস্থা রাখতে হবে।আপনারা পছন্দ না হলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বয়কট করতে পারেন।বিচার চাইতে পারেন।কিন্তু পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারেন কি?
বিচারের দাবী নির্ভৃতে কাদে
সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশীরা নিহত হলে আমরা প্রতিবাদ করি।অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ হলেও আমরা প্রতিবাদ করি।সরকারের সমালোচনা করি।এই ভেবে,আমাদের সাথে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক কত ভাল?কেন তারা মারবে?পারলে আটক করুক।জেলে রাখুক।
ডাক্তারেরা কি জনগনের শত্রু?
অথচ,এদেশের ডাক্তারেরা তো এ মায়েরই সন্তান।অভিযোগ থাকলে বিচার করুন।তাই বলে কি মেরে ফেলবেন?মেরে উল্লাস করবেন?রক্তমাখা এপ্রনই যদি কাংখিত হয় তবে আপনাদের সন্তানকে ডাক্তার বানাবেন না।ডাক্তারেরা যদি কসাই ই হয়,তবে কি দরকার সন্তানকে ডাক্তার করবার?যদি নিজ দেশেই চিকিৎসাস্থলে নিরাপত্তা না থাকে,তবে ডাক্তারের দরকারই কি বা দেশে?একমাত্র গ্যাস্টোলজি ব্যতিত ডাক্তারদের জন্য ডেডিকেটেড কোভিড হসপিটাল নেই।উলটো,লঞ্চে ডাক্তারদের জন্য আলাদা ইউনিট করার হাস্যকর দাবী ও রয়েছে।ড.মঈন নিজ প্রতিষ্ঠান ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ পাননি।পাননি এয়ার এম্বুলেন্স।রাষ্ট্র দায় নেয়নি।রাষ্ট্রের দোষ নেই।দোষ ড মঈনের।কেন সে ডাক্তার হলো।
বাংলাদেশের জনগন শিক্ষিত।অন্তত দেশে শিক্ষার হার ৭২% ছাড়িয়েছে।ভারতের বিরোধীতা,সীমান্ত হত্যা নিয়ে অভিযোগ,কিংবা দেশ ভারতের কাছে বেচে গেল মতবাদ সত্বেও বাংলাদেশীরা ভারত যাবে।ভারতীয় ডাক্তারেরা ভুল করবেনা,বাংলাদেশীরা ভারতীয় ডাক্তারের গায়ে হাত তোলার সাহস পাবেনা।ভারতের গুনগান করতেও গায়ে বাধবেনা।উলটো দেশে চিকিৎসা নেই,তাই ভারতই ভরসা।এখন করোনাকালীন সময়ে ভারতে যাবার পথ যখন বন্ধ।তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্গতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে ভাবুন,নিজ অবস্থানে থেকে স্বাস্থ্যখাতের উন্নতির জন্য ১ বছর আগেও কি করেছিলেন আপনি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ডাক্তার,কিংবা রোগী কেউ কি দায় এড়াতে পারেন?স্বয়ং চীনা স্বাস্থ্য প্রতিনিধিদের দেশের চিকিৎসক,নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে “পজিটিভ” নিউজের পরেও এদেশে ডাক্তারদের নিরাপত্তা না থাকার দায় কে নিবে?
আমাদের দেশের মানুষ দের আগে বুঝতে বা বুঝাতে হবে একজন বা দেশের সকল ডাক্তাররা মানেই চিকিৎসা ব্যবস্থা না। চিকিৎসা ব্যবস্থা একটা টিম ওয়ার্ক বা অনেক কিছুর সমন্বয়ে একটা সিস্টেম। ডাক্তারেরা হচ্ছে সেই টিম বা সিস্টেমের অন্যতম একটা পার্ট। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা গুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে আমরা স্বাধীনতার এত বছর পরেও কোন প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান আজো দাড়া করাতে পারিনি। আর জবাবদিহিতা নামক যে একটা বিষয় আছে তা মিউজিয়ামে চলে গেছে। তাই মানুষ বিদেশ মুখী হবার পিছনে এই রিজন গুলি খুবি শক্ত এবং পুরো চিকিৎসা সিস্টেমের ব্যর্থতা মানুষ জন ডাক্তারদের ব্যর্থতা ভাবছে তাই এর ফল হিসেবে এই ঘৃণিত ঘটনা গুলো বার বার ঘটে চলছে।এর দুষ্টচক্র ভাংগা জরুরী। বড্ড জরুরী