মার্কিন ডলারের বিপরীতে আজ শুক্রবার ভারতীয় রুপির বিনিময় হার আরও ৫ পয়সা কমেছে। তাতে ভারতে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য বেড়ে ৮৪ দশমিক ৩৭ রুপিতে উঠেছে। এটি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির সর্বকালের সর্বনিম্ন দাম। খবর এনডিটিভির
ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ গত মাসে নীতি সুদহার শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট কমানোর ঘোষণার মাধ্যমে বৈশ্বিক আর্থিক ল্যান্ডস্কেপে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক–কর ও বাণিজ্যনীতি বিশ্বাবাজারকে প্রভাবিত করবে। এ কারণে রুপির দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে আন্তব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৪ দশমিক ৩২ রুপি। পরে তা ৫ পয়সা বেড়ে ৮৪ দশমিক ৩৭ রুপি হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ডলারের বিপরীতে রুপি ১ পয়সা দর হারিয়েছিল। তার আগে গত মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দাম ছিল ৮৪ দশমিক ১২ রুপি।
সিআর ফরেক্স অ্যাডভাইজারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিত পবারি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) ওপর সবার নজর থাকবে। এমন বাজারে যাঁরা নিজেদের দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবেন, তাঁরাই উন্নতি করবেন।
ভারতীয় মুদ্রার ধারাবাহিক দরপতনের কারণে ভারতীয় নীতিনির্ধারক ও আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ভারতের শেয়ারবাজার থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে নেওয়ার জেরেই মূলত রুপির দরপতন ঘটছে বলে মনে করেন তাঁরা। পাশাপাশি মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা অব্যাহত থাকার কারণে ডলারের বিপরীতে রুপির আরও দরপতন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে ভারতীয় মুদ্রার মান সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গিয়েছিল। গত ১১ অক্টোবর ডলারের বিপরীতে রুপির দর প্রথমবারের মতো ৮৪ রুপি ছাড়িয়ে যায়।
তার আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর ডলারের বিপরীতে ৮৩ দশমিক ৯৯ রুপিতে নেমেছিল ভারতীয় মুদ্রা। এরপর রুপির দরপতনের ধারা থেমে যায় এবং ডলারের বিপরীতে রুপি কিছুটা শক্তিশালী হয়। কিন্তু ভারতের শেয়ারবাজারের সূচকের পতন শুরু হলে আবার রুপির দরপতন শুরু হয়।
prothom alo