ঢাকা
ডলারের দাম আরও এক টাকা বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য হবে ৯৬ টাকা। গতকালও এ দাম ছিল ৯৫ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক যে দামে ডলার বিক্রি করে, সেটিকে আন্তব্যাংক লেনদেনমূল্য বলা হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া এ দামে বর্তমানে কোনো ব্যাংকে ডলার মিলছে না।
এর আগে আজ সোমবার প্রবাসী আয়, আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে নতুন দাম ঠিক করেন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা। সংগঠন দুটির নেতারা মিলে প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা, আমদানি দায় নিষ্পত্তিতে ১০৪ টাকা ৫০ পয়সা ও রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে ৯৯ টাকা। একই দিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকও আন্তব্যাংক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের দাম এক টাকা বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে আজ ৯৬ টাকা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
ডলারের দর নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পরীক্ষা চালাচ্ছে। একের পর এক সিদ্ধান্ত নিলেও তাতে সংকট কাটছে না, বরং জটিলতা বেড়েছে। ফলে আগের অবস্থান থেকে সরে এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ডলারের দাম নির্ধারিত হবে চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আজ নতুন দামে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দামও বাড়ছে। গত মে মাসে ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। সেখান থেকে ধীরে ধীরে তা বাড়িয়ে আজ ৯৬ টাকায় উন্নীত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ কমে হয়েছে ৩ হাজার ৭১৩ কোটি ডলার, যা গত বছর ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল।