ঠগদের হাতে পড়েছে দেশ ,লেফ-রাইটেই কারবার শেষ

ঠগদের হাতে পড়েছে দেশ ,লেফ-রাইটেই কারবার শেষ
=========================
বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলে গেছেন , দেশটি পড়ে গেছে বাজিকরদের হাতে । একই কথা এবিএম মুসা একটু ঘুরিয়ে বলেছেন , চোরদের হাতে পড়েছে দেশ। এই দুজন প্রয়াত গুণী লোকের মধ্যে একজন আওয়ামীলীগের এমপি ও আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীদের সর্দার ছিলেন । অন্যজন সরাসরি আওয়ামীলীগের সাথে জড়িত না থাকলেও সেই বলয়ের সুশীল মানুষ ছিলেন । জীবন সায়াহ্নে এসে দুজনই দেখে গেছেন যে পুরো জীবন সাধনা করে কেমন বাজিকর ও ঠগদের হাতে দেশটি অর্পন করে গেছেন ।
গ্রাম দেশে আগে ঠগ উপাধি প্রাপ্ত কিছু মানুষ ছিল । এদের মূল সম্বল ছিল মুখের চাপা । এরা কথার মারপ্যাচে মানুষকে আটকিয়ে ফেলত । মানুষকে ঠকিয়ে এরা বিশেষ আনন্দ পেত । সুন্দর সুন্দর কথা বলে মানুষকে নেমন্তন করত এবং খালি পেটে বা আধা পেটে সবাইকে বিদায় করত । কিছুটা লজ্জায় এবং বাকিটা ভয়ে মানুষ কিছুই বলতে পারতো না।

এই অভাগা দেশটির মানুষ ভয়ংকর ঠগদের হাতে পড়ে গেছে । দেশের মানুষকে মিঠাই মন্ডাই খাওয়ানোর বহুত বহুত স্বপ্ন দেখানো হয় । কিন্তু বিদায় করা হয় সেই কচু খাইয়ে । কচু খেলেও কিন্তু ঢেঁকুর তুলে বলতে হবে যে মিঠাই -মন্ডাই -কোর্মা -পোলাও খাচ্ছি । যারা উল্টা বলবেন , তাদের বিভিন্ন কায়দায় সোজা করে ফেলা হবে । এরকম একটা পরিস্থিতির দিকেই এগিয়ে চলছে প্রিয় স্বদেশ ।

রকিবদের মেরুদন্ড দেখে এরশাদও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন । কাজেই সরকার পণ করল যে এবার এমন কমিশন করা হবে যে তাদের মেরুদন্ড দেখে সারা বিশ্ব টাস্কি খেয়ে যাবে । এদের কথা শুনে দেশের মানুষ আশান্বিত হয়ে পড়েছিল ।

দেশের জন্যে একজন টিএন সেসন ধরে আনার জন্যে মহামান্য প্রেসিডেন্ট দেশের ৩১ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপে বসলেন । তারপর অনেক হুলস্থূল এবং ঢাকঢোল পিটিয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠণ করলেন । অবশ্য সেই সার্চ কমিটির চেহারা দেখে জাতি প্রথম ধাক্কাটি খেয়েছে । তারপরেও আশা ছাড়ে নি ।

সেই সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশনের জন্যে ৩১টি দলের কাছ থেকে ৫টি করে নাম আহ্বান করলেন । ৩১টি দলের মধ্যে বিএনপি সহ ২৫টি দল ৫জন করে নাম দিলেন । সেখান থেকে ২০ জনের তালিকা করা হলো । সেই তালিকা থেকে আবার দশ জনের নাম সুপারিশ করে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হলো । প্রেসিডেন্ট তারপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ আরো চারজন কমিশনারের নাম ঘোষণা করলেন ।
এতকিছুর পরে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে যেই লাউ সেই কদুই পাওয়া গেল । যেই রকিব গেল , সেই হুদাই ফিরে এলো । তাহলে পুরো জাতি ও কুমিরের বাচ্চা তুল্য কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে এই বিশেষ লেফ্ট -রাইট টুকু কেন করা হলো ?
ঐ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যদি সত্যিকারের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মানুষ হতেন , তবে সরকারকে কিছু প্রশ্ন অবশ্যই করতেন , ” এমন কিছিমের নির্বাচন কমিশন বানাতেই যখন মনস্থ করেছেন , তখন আমাদেরকে নিয়ে এই মশকরাগুলি কেন করলেন ? কেন ?? কেন ??? ”
একজন “তোফায়েল ক্যাডার ” কে খুঁজতে এই ধরণের সার্চ কমিটি ও এত কিছিমের লেফ্ট রাইটের কেন দরকার পড়লো ?
দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি বলে পরিচিত জাতির এই “কুমির ছানা” রা সরকার ডাকিবা মাত্র ( কোনরূপ শর্ত না দিয়েই) আবারও দৌড়িয়ে যাবেন ।
শুধু নির্বাচন কমিশন নয় , জাতির এই কুমির ছানাদেরও ঘেন্না-পিত্তি -লজ্জা-শরম কিংবা ঘিলা-কলিজা-মেরুদন্ড বলে কিচ্ছু নেই । কিচ্ছু নেই ।