সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে দায়ের করা মামলায় দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকমের গুলশান কার্যালয় থেকে বৃস্পতিবার নথিপত্র জব্দ করেছে পুলিশ। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা বলছেন, মামলার তদন্ত এগিয়ে নিতে জব্দ নথিপত্র বিশ্লেষণ করা হবে। তবে কী ধরনের নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে এ ব্যাপারে পিবিআই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সমকালকে বলেন, ট্রান্সকমের গুলশান কার্যালয়ে আমাদের টিম গিয়েছিল। সেখান থেকে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুল রহমানের মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় তিনটি পৃথক মামলা করেন। ট্রান্সকম গ্রুপের ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল এবং অবৈধভাবে কোম্পানির শেয়ার হস্তান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
শাযরেহ হক তার মামলায় মা শাহনাজ রহমান, বোন সিমিন রহমান ও ভাগ্নে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করেন।
গুলশান থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে তদন্ত হস্তান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানের আইন উপদেষ্টা ফখরুজ্জামান ভুইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আব্দুল্লাহ আল মামুন, ম্যানেজার আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক এবং সহকারি কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ মোসাদ্দেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
দেশের অন্যতম বড় ব্যবসায়িক গ্রুপ ট্রান্সকম। গ্রুপটির অধীনে পরিচালিত কোম্পানির মধ্যে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, ট্রান্সকম বেভারেজেস, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রান্সকম কনজিউমার প্রোডাক্টস, ট্রান্সকম ফুডস, ট্রান্সকম ইলেকট্রনিকস ও মিডিয়াস্টার অন্যতম।
samakal