টেকনাফের জেলেরা আতঙ্কে, আটক ৫৮ জেলেকে ফেরত আনল কোস্টগার্ড

টেকনাফের জেলেরা আতঙ্কে, আটক ৫৮ জেলেকে ফেরত আনল কোস্টগার্ড

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে মো. ওসমান (৬০) নিহতের ঘটনায় টেকনাফের জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বঙ্গোপসাগর থেকে মাঝিমাল্লার অনেকে শুক্রবার ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে এসেছেন। এদিকে বাংলাদেশি জেলে হত্যার ঘটনায় মিয়ানমারকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।

ঢাকার মিয়ানমার দূতাবাসে পাঠানো বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ জানায়। একই সঙ্গে দেশটিকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানায়।

টেকনাফ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন জহিরুল হক এক ব্রিফিংয়ে বলেন, জেলে নিহতের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি সুপ্রতিবেশী দেশের আচরণের পরিপন্থি। তিনি বলেন, আমরা টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলেদের মিয়ানমার সীমান্ত অতিক্রম না করার বিষয়ে সতর্ক করেছি।

টেকনাফের স্থানীয় জেলে জাফর আলম জানান, মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে ওসমান নিহতের ঘটনায় তারা ভয়ে আছেন। অনেকে মাছ ধরা রেখে ফিরে এসেছেন। যারা পেটের দায়ে সাগরে আছেন, তারাও ঝুঁকিতে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যরা উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।

টেকনাফ নৌপুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক কাশেম জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। শুক্রবার রাতেই স্থানীয় কবরস্থানে ওসমানকে দাফন করা হয়।

৫৮ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড: এ ছাড়া মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক ৬টি ট্রলারসহ ৫৮ জেলেকে ফেরত এনেছে কোস্টগার্ড। বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ অক্টোবর মিয়ানমার জলসীমায় প্রবেশ করলে, দেশটির নৌবাহিনীর টহল স্পিডবোট থেকে গুলি করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ওসমান নিহত ও দু’জন আহত হন। পরে মিয়ানমারের বাহিনী ট্রলারসহ ৫৮ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায়। কোস্টগার্ড বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দু’দফায় সবাইকে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

samakal