বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। গতকাল শনিবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শিডিউল অনুযায়ী সব এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছেড়ে গেছে। তবে বিদেশগামী ফ্লাইট ধরতে যাত্রীদের পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নয়া দিগন্তকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্স যথা সময়েই ছাড়ছে এবং বিভিন্ন দেশ থেকে অবতরণ করছে।
এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একাধিক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নয়া দিগন্তকে বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যেও বিমানের ফ্লাইট চলাচলে কোনো ধরনের অ্যাফেক্ট পড়েনি। আগেও কখনো অ্যাফেক্ট হয়নি। তারা বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দূর গন্তব্যের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী পরিপূর্ণ থাকলেও কম দূরত্বের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী তুলনামূলক কিছুটা কম যাচ্ছে। এর মধ্যে মালয়েশিয়া, দুবাই, আবুধাবী, দোহা, কুয়েত, সৌদি আরবের জেদ্দাসহ চার গন্তব্য, লন্ডন, ম্যানচেস্টার, টরেন্টো, নারিতা রুটের ফ্লাইটগুলো অলমোস্ট ঢাকা থেকে ফুল যাত্রী নিয়েই উড়ছে। অপর দিকে কম দূরত্বের মধ্যে ব্যাংকক, দিল্লি, চেন্নাই, ক্যানটন, কাঠমান্ডু রুটে এই মুহূর্তে যাত্রী কম যাচ্ছে বলে জানান তিনি। এক প্রশ্নের উত্তরে তারা বলেন, দেশে আন্দোলন শুরু হলেও বিমানে কোনো প্রভাব পড়েনি। কোনো ফ্লাইট বাতিলও হয়নি।
গতকাল বিদেশ থেকে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা একজন যাত্রীর আত্মীয় টেলিফোনে নয়া দিগন্তে জানান, তিনি জানতে পেরেছেন রোববারের (আজ) এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিকেলের সব ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। এ তথ্য কতটুকু সত্য। তার দেয়া তথ্যের সত্যতা জানতে গতকাল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের একজন কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি খোঁজ নিয়ে নয়া দিগন্তকে জানান, এখন পর্যন্ত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের কোনো ফ্লাইট শিডিউল বাতিল করা হয়নি। সব ফ্লাইট যথাসময়ে ছাড়ার শিডিউল ঠিক রয়েছে।