- খেলাধুলা প্রতিবেদক
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের গত মৌসুমে ভরাডুবি হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের। শিরোপাখরায় শেষ হয় তাদের মৌসুম। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নতুন যাত্রা শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। লস ব্ল্যাঙ্কোসদের স্বপ্নযাত্রা ভালোই ছুটছে। জাবি আলোনসোর দল উঠেছে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে।
জুভেন্টাসের বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর রিয়াল মাদ্রিদের উল্লাস। মঙ্গলবার মিয়ামিতে। ছবি: এক্স
মঙ্গলবার রাতে মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচটিতে জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৫৪ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেন গঞ্জালো গার্সিয়া। গোলটার আর শোধ দিতে পারেনি তুরিনের বুড়িরা। তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
জয়সূচক গোলের নেপথ্যে ছিলেন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড। দারুণ এক ক্রস দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। সুযোগ কাজে লাগান গার্সিয়া। এ নিয়ে চার ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের শুরুর একাদশেই থাকলেন আরনল্ড। ম্যাচগুলোতে খারাপ করেননি তিনি। নতুন ঠিকানায় এবার আরনল্ড খুললেন অ্যাসিস্টের খাতা।
জুভেন্টাসের বিপক্ষে প্রথমার্ধটা কঠিন ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। ৫-৩-২ ছকে খেলা শুরু করান রিয়ালের নতুন প্রধান কোচ আলোনসো। প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময় রক্ষণাত্মক মেজাজে ছিল তার দল। দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বের হয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। যার সুফল হিসেবে এসেছে জয়সূচক গোল।
তুরিনের বুড়িদের অবশ্য সমতায় ফেরার একাধিক সুযোগ এসেছিল। দলের সম্ভাব্য সেরা সুযোগটা হাতছাড়া করেছেন রান্ডাল কোলো মুয়ানি। বিপরীতে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস করেছেন জুডে বেলিংহাম। তার শট ঠেকিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক মিচেল ডি গ্রেগরিও।
পুরো ম্যাচে অবিশ্বাস্য ছিলেন তিনি। ১০বার দলকে গোলের হাত থেকে বাঁচান দলকে। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টে ২৭টি সেভ হলো গ্রেগরির। যা আসরে গোলরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবু শেষ রক্ষা হয়নি জুভদের। বিদায় নিতে হলো তাদের। ইতালিয়ান ক্লাবটিকে ছিটকে দিয়ে শেষ আটে উঠে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
আগামী শনিবার সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কিংবা মনটেরি। আজ মঙ্গলবার সকালে মুখোমুখি হয়েছে দল দুটি। শেষ আটের ম্যাচটিতে হয়তো পুরোটা সময় খেলতে পারেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবারের আসরে শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন ফরাসি ফরওয়ার্ড।
কিন্তু অসুস্থতার জন্য একটি ম্যাচও খেলা হয়নি এমবাপ্পে। জুভদের বিপক্ষে অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছেন এমবাপ্পে। কিন্তু মাঠে সেভাবে প্রভাব রাখতে পারেননি তিনি।