- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ মে ২০২৩, ১২:৫৮
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পাঁচ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীকে মর্যাদাপূর্ণ মরনোত্তর ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ প্রদান করেছে জাতিসঙ্ঘ।
বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘ সদরদফতরে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের কাছ থেকে বাংলাদেশের পক্ষে এ মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।
উক্ত সম্মাননা অনুষ্ঠানে ২০২২ সালে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্তব্যরত অবস্থায় ৩৯টি দেশের নিহত ১০৩ জন শান্তিরক্ষীকে তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য এ মেডেল প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের পাঁচজন জীবন উৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন সার্জেন্ট মোহাম্মদ মনজুর রহমান আবেই-তে ইউনিসফা মিশনে, ল্যান্স কর্পোরাল কফিল মজুমদার দক্ষিণ সুদানের আনমিস মিশনে, সৈনিক মোহাম্মদ শরিফ হোসেন, সৈনিক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সৈনিক মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের মিনুসকা মিশনে কর্তব্যরত ছিলেন।
আত্মোৎসর্গকারী শান্তিরক্ষীদের পক্ষে মেডেল গ্রহণের পর এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সাধারণ পরিষদ হলে রক্ষিত শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।
শোকবার্তায় তিনি শান্তিরক্ষায় জীবন দানকারী সকল শান্তিরক্ষীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং অপূরণীয় এই ক্ষতির জন্য তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রায় সাত হাজার ৫০০ জন শান্তিরক্ষী বিশ্বের নয়টি মিশনে কর্তব্যরত রয়েছেন।
দায়িত্বরত অবস্থায় এ পর্যন্ত ১৬৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন।
উল্লেখ্য, ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’ জাতিসঙ্ঘের দ্বিতীয় মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড-এর নামে প্রবর্তিত হয়।
সূত্র : ইউএনবি