- ইকবাল মজুমদার তৌহিদ, বরিশাল থেকে
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান ভারতের অভ্যন্তরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেননি মন্তব্য করে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রথম শ্রেণীর সৈনিকদের সাথে থেকে রণাঙ্গনে বীরত্বের সহিত যুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন, যারা দেশের জন্য প্রাণ বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন তারাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যারা যুদ্ধকালীন সময় হিন্দুদের ঘরবাড়ি লুটপাট-নির্যাতন করেছে, নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেছে, তারা তো মুক্তিযোদ্ধা হতে পারো না।
মেজর হাফিজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হবে জিয়াউর রহমানের মতো। যার একটা বাড়ি নেই, গাড়ি নেই ও ব্যাংক ব্যালেন্স নেই। আমরা কি তার সেই আদর্শ ধরে রাখতে পেরেছি আজকে? নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করি কিনা? আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম সততা আছে কিনা।
সেনাবাহিনীর প্রধানের সমালোচনা করে মেজর হাফিজ বলেন, সেনা প্রধানের ভাই আলজাজিরাতে কি বলেছেন? আমার আর আমার আর গুন্ডার দরকার নাই পুলিশের তো গুণ্ডার দরকার নেই। পুলিশইতো আমার বড় গুণ্ডা। লজ্জা হয় না আপনাদের ইউনিফর্ম পরতে কিসের দেশ কোন দেশে চাকুরী করছেন। এই দেশ আমরা রক্ত দিয়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন করেছি। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেছি।
মেজর হাফিজ বলেন, এখানে যারা এসেছেন তারা নিজ নিজ এলাকায় বযাপক জনপ্রিয়, আমি দেখেছি। তাদের যে জনপ্রিয়তা তা আমরা দেখেছি। এজন্য আজকে তাদের সমাবেশ করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। আমাদের ভোটাধিকারের মূল্য নাই সেই মূল্য প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছি। যারা যারা শরণার্থী ছিল তারা এসে বাংলাদেশ দখল করে সেখান থেকে হারিয়ে গিয়েছে স্বরনার্থী ছিলো তারা এসে বাংলাদেশ দখল করেছে। আর মুক্তিযোদ্ধারা হারিয়ে গেছে। এই হলো আজকের বাংলাদেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হওয়া খুব সোজা। একটা কালো কোর্ট পরলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায়। তাদের আমাদের মত কামান গুলি খেতে হয়না।
হাফিজ বলেন, এই সরকারের ১৫-১৬ জন সচিব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা একটি নিকৃষ্ট সরকারের অধীনে বসবাস করছি। এখানে আমাদের কোন অধিকার নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের অনেক বক্তব্য আমরা শুনেছি। এই সেনাবাহিনী আমরা গঠন করেছিলাম মাত্র ২৫ জন সেনা পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বিদ্রোহ করে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। প্রত্যেক বাঙালীর কাছে অত্যন্ত প্রিয় এই সেনাবাহিনী। এসময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানে স্লোগান দেয়ার জন্য আসবেন না। স্লোগান দিয়ে আমাদের মিটিং নষ্ট করবেন না। স্লোগান দেয়ার জন্য রাজপথ। আর যদি প্রতিরোধ করতে হয় রাজপাথে গিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনীকে প্রতিরোধ করুন। আগুন জ্বালাতে হলে শেখ হাসিনার গদিতে আগুন জ্বালান। আমাদের এখানে আগুন জ্বালিয়ে সমাবেশ নষ্ট করার দরকার নেই।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা হাবিব উর রহমান হাবিব, ছয় সিটি করপোরেশন নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, তাবিথ আওয়াল, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান,বযুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোস্তাফিজুল কবির বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মামুন খান, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম মাহমুদ আলম সর্দার, সহ সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কেএম সাখওয়াত হোসাইন, এজাজ শাহ, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক হুমায়ুন কবির, সিনিয়র সহ সভাপতি তরিকুল ইসলাম তরিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিন শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ সভাপতি সুমন ভঁইয়া, ছাত্রদল নেতা সালেহ আদনান, মোঃ রুবেল (আদিব), বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরিদ জোমাদার প্রমুখ।