জিব্বা টাইনা ছিঁইড়া ফালামু, সমালোচকদের উদ্দেশে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

www.ajkerpatrika.com/
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানতথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান। ছবি: সংগৃহীতবিদেশে থেকে সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ কড়া বার্তা দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেন। অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বেশি বলেও দাবি করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বিডি সমাচারের তৃতীয় বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা অনেক কথা বলি। অনেক নিউজ পোর্টাল; অনেক কিছু বাংলাদেশে। ফ্রিডম অব স্পিস। ওকে, স্যালুট, হোয়াই নট! বাট, যান তো দেখি ফ্রিডম অব স্পিস একটু কানাডায় দেখেন তো। ফ্রিডম অব স্পিস, একটু সিঙ্গাপুরে যান। একটু দেখেন না ফ্রিডম অব স্পিস কেমন হয়। যান একটু আমেরিকা থেকে ঘুরে আসেন না! সো, ডেফিনিটলি, উই হ্যাব দ্য ফ্রিডম।

বিদেশে বসে ইউটিউব ও ফেসবুকে অনেকেই সরকার বিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন বলেন, চার-পাঁচটা রাজাকারের বাচ্চা, আমেরিকা-কানাড-লন্ডন, হ্যাঁ! সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত, পদবঞ্চিত, টাকা খাইয়া লম্বা লম্বা লেকচার! বাংলাদেশ-সরকার-নির্বাচন-প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধুকে নিয়া কথা বলো। জিব্বা টাইনা ছিঁইড়া ফালামু! থাকো তোমরা। কয়দিন তোমার ওই জিব্বা দিয়ে আমার সরকার, আমার বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, রক্ত দিয়ে কেনা বাংলাদেশ, এদের বিরুদ্ধে কথা বলবা! এই চার-পাঁচটা শিয়াল কুকুর তোমাদেরকে শায়েস্তা করতে বেশি সময় লাগবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা প্রস্তুত, অনেক সহ্য করেছি। ইউটিউবে লেকচার দাও, না? ইউটিউবে! কত টাকা খাইছো মানুষ বোঝে। আমরাও ভাত খাই। আমরা ফিডার দিয়ে দুধ খাই না।

অনুষ্ঠানে বিডি সমাচারের সম্পাদক মো. মহসিন হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবং যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজান মালিক প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে না। এর অন্যতম কারণ গণমাধ্যমের আধিক্য। বর্তমানে সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্য বেতন কাঠামো প্রয়োজন। আর এই পেশা ফুল বিছানো নয়। অনেক ঝুঁকি আছে, চাপ আছে, সমস্যা আছে। এর মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। তবে এই পেশায় আসার আগে অনেক ভেবেচিন্তে আসতে হবে। আমাদের গণমাধ্যম অনেক বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু গণমাধ্যমের মূল যে মূলধন, বিশ্বাস এবং আস্থা, তা কি আমরা ধরে রাখতে পেরেছি? আমার প্রকাশিত সংবাদে পাঠকের বিশ্বাস কতটা! সেদিকটা আমাদের আরও ভাবতে এবং উন্নয়নে কাজ করতে হবে।