জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার

জামায়াতে ইসলামী ও এর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধে গত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত গেজেট আজ বুধবার প্রকাশ করা হতে পারে।

১ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল গত আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়।

নির্বাহী আদেশে জামায়া‌তে ইসলামী‌কে নি‌ষিদ্ধের সিদ্ধান্ত‌কে সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে দল‌টি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। বৈধতা ফিরে পেতে আবেদন করে জামায়াত ও শিবির। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।

জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির সমকালকে জানান, যুক্তিসহ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরকে বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার জামায়াত ও শিবিরের পৃথক আবেদন পাওয়ার শুনানি হয়েছে। এতে তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কখন, কোথায় এ শুনানি হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতামত নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার ফাইল আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গেজেট প্রকাশিত হবে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গত ১ আগস্ট ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এর পরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন হয়েও ৫ আগস্ট থেকে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুযায়ী, সরকার কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। যা শুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে সরকার।

samakal