মুদ্রিত সংস্করণ

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসাথে নিবন্ধন ও অন্যান্য বিষয়ে দলটির করা আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ থাকবে কি না সে বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জামায়াতের প্রতীকের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অবিলম্বে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় ঘোষণা করেন। গত ১৪ মে দলটির করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য গতকাল দিন ধার্য করেছিলেন। আদালতে জামায়াতের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন ও ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।
আদালতে জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মোবারক হোসাইন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দিনসহ অনেকে।
রায়ের পর জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে তার নিবন্ধন ফিরে পেল। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ের করা মামলার মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন কেড়ে নেয়া হয়েছিল। আজকের এই রায়ের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক এবং অংশগ্রহণমূলক সংসদ প্রাপ্তি নিশ্চিত হলো।
শিশির মনির বলেন, আমরা আশা করি এই রায়ের পর বাংলাদেশে সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রাণবন্ত সংসদ গঠিত হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে সবাই তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের বেছে নেবে এটা আমরা প্রত্যাশা করি। আমরা এটাও প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশের আগামী সংসদে ইন্টারেস্টিং এবং কনস্ট্রাকটিভ বিতর্ক হবে, যার মাধ্যমে ডেমোক্র্যাসি একটি স্থায়ী রূপ লাভ করবে। তিনি আরো বলেন, আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের যে রায় ছিল সে রায়কে বাতিল ঘোষণা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রেজিস্ট্রেশন এবং অন্য যেসব ইস্যু কমিশনের সামনে আসবে সেগুলো যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করে তারা। এর মাধ্যমে আজকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পেল এবং প্রতীকের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের সামনে রেফার করা হলো ‘আদার ইস্যু’ হিসেবে। এজন্য আমরা মামলার শর্ট অর্ডার চেয়েছি। আমরা আশা করি সোমবারের মধ্যেই মামলার সংক্ষিপ্ত আদেশ হাতে পাবো। এই আদেশ আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অ্যাপ্রোচ করব এবং কমিশন অতিদ্রুত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক দাঁড়িপাল্লা বুঝিয়ে দেবেন-এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মো: তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য (জামায়াতের নিবন্ধন দিতে) বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত। তবে আপিল বিভাগ রায়ে আদার্স বিষয় বলতে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীকের সিদ্ধান্তের কথা বোঝাননি বলে জানান তিনি। মো: তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রায় হাতে পাওয়ার পর আমি নির্বাচন কমিশনে দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করব, তারপর এ বিষয়ে ইসি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল দুপুরে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীকের ব্যাপারে আদালতের কোনো অবজারভেশন আমরা পাইনি। পর্যবেক্ষণ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগতভাবে যা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জামায়াত প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা পাবে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রতীকের ব্যাপারে বলেছি আইনগতভাবে যা প্রাপ্য সেটাই তারা পাবে। প্রতীকের ব্যাপারে কী অবজারভেশন আছে বা তাদের নিবন্ধনের ব্যাপারে কী অবজারভেশন সেটার কোনো ডকুমেন্ট না থাকলে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার কিছু বলার সুযোগ থাকে না।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সব প্রক্রিয়া মেনে নিবন্ধিত হয়। রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি রিট করেন তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ। একই সাথে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াত। একইসাথে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দলটি আবেদন করে, যা ২০১৩ সালের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর চেম্বার জজ আদালত। এরপর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামায়াতে ইসলামী। গত বছরের নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বিভাগ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজের আদেশ দেন। ফলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল থাকে। গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়। গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর গত ২৮ আগস্ট জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে জারি করা আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়।
জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত রায়ের আদেশ ইসিতে পাঠালেন আপিল বিভাগ : জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশ প্রকাশ করে গতকাল বিকেলে সেটি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ সই করার পর এ সংক্ষিপ্ত রায় পাঠানো হয়। আদেশের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী শিশির মনির।
দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বহাল : এদিকে জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে লেখেন, সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত আদেশ অনুযায়ী (ঝঃধঃঁং ছঁড় অহঃব) জামায়াতের নিবন্ধন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বহাল।
আপিল বিভাগের রায়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হলো : জামায়াত আমির
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় মহান রবের শুকরিয়া আদায় করেছেন দলটির আমির ডা: শফিকুর রহমান। রায়ের পর গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক সর্বসম্মত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় আমরা মহান রবের শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময়জুড়ে আইনি লড়াই-সংগ্রাম শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল হিসেবে আজ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পেল। এই রায়ের মাধ্যমে আরো একটি জুলুম-নিপীড়নের অবসান হল। আপিল বিভাগের এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮’ এর আগে ও পরে যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণমূলক সব জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছিল। ডা: শফিক বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ইসির সব প্রক্রিয়া মেনে যথারীতি নিবন্ধিত হয়। এ অবস্থায় একটি বিশেষ মহল ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল চেয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা দায়ের করে। হাইকোর্ট বিভাগ ২০১৩ সালের পয়লা আগস্ট এক বিভক্ত রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করে। আপিল বিভাগ আজ সর্বসম্মত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দায়েরকৃত আপিলটি মঞ্জুর করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়ার আদেশ প্রদান করেন। আমরা আরো একবার মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। এ দীর্ঘ সময়জুড়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সমস্ত বিজ্ঞ আইনজীবী ও সুধী-শুভাকাক্সক্ষী বিভিন্নভাবে আমাদেরকে সহায়তা করেছেন, আমরা তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরো বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হলো এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হলো। আমরা আশা করছি, এই রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি এক নতুন মাত্রা লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।
আমিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর নিন্দা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানকে বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মা’ছুম। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ডা: শফিকুর রহমান অতি সম্প্রতি গোপনে কাতারের রাজধানী দোহা সফর করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে, তা সত্য নয়। আমাদের বক্তব্য হলো আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান অতি সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহা কিংবা অন্য কোনো দেশ সফর করেননি। তিনি দেশেই ছিলেন।
ছড়ানো মিথ্যা তথ্যানুযায়ী আমিরে জামায়াত যদি দেশের বাইরে গিয়ে থাকেন, তবে তার সকল তথ্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগে থাকার কথা। কেউ চাইলে সেটি যাচাই করে দেখতে পারেন।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি বলেন, আমরা মনে করি, আমিরে জামায়াতকে জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার হীন উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানকে বিতর্কিত ও হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।