‘জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে কম নয়’ ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে স্থগিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার জজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। এর ফলে ডাকসু নির্বাচনের কার্যক্রমে আপাতত কোনো বাধা রইল না।

হাইকোর্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে হাতে লেখা একটি আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পর চেম্বার আদালত এ বিষয়ে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সোমবার একটি রিট আবেদনের শুনানিতে ডাকসু নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি এস কে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। শুনানিতে আদালত ডাকসু নির্বাচনকে ‘জাতীয় নির্বাচন থেকে কোনো অংশে কম নয়’ বলে মন্তব্য করে এর গুরুত্ব তুলে ধরে।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়েছিল। শুনানিতে রিটকারী আইনজীবীকে উদ্দেশ করে আদালত বলে, ‘আপনারা রাজনীতি করে ঝগড়া-মারামারি করবেন আর আমাদের এখানে আসবেন, আমরা কী করব। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে ভোটার কীভাবে হয়েছে, প্রক্রিয়া কী, প্রার্থিতা বাতিলসহ সব বিষয়ে তদন্ত হোক।’

উল্লেখ্য, ১০৪ বছরের পুরনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে। শতবর্ষের ইতিহাসে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে মাত্র ৩৭ বার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত ৫৪ বছরে এই নির্বাচন হয়েছে মাত্র সাতবার, যা এর দীর্ঘ বিরতির ইতিহাসকে সামনে আনে।

ডাকসু নির্বাচন এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। সর্বশেষ গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় গঠনতন্ত্রের সংশোধনী অনুমোদন করা হয়। এই সংশোধনীতে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বয়সসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ক্যারিয়ার বা পেশাজীবন উন্নয়ন সম্পাদক নামে তিনটি নতুন সম্পাদকীয় পদ যুক্ত করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here