- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ নভেম্বর ২০২০
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আজকে আমরা কোন অবস্থায় আছি। বর্তমান সরকার একটা অবৈধ সরকার। যে সরকার করোনার সময়ে জনগণকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা করে না। বরং বর্তমান অবৈধ সরকারকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে সময় এসেছে জনগণকে বাঁচাবার, তাই জনগণকে বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা তখনই সফল হবো যখন আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারবো এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবো।’
তিনি বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ ‘দুটি নামের দিকে তাকিয়ে আছে। একটি নাম হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর আরেকটি নাম তারেক রহমান। যে তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির নীতিনির্ধারক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান মধ্যে প্রথম হল নির্বাচনী ব্যবস্থা সেটিকে বর্তমান অবৈধ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের এখন আর নিজের পছন্দমত ভোট দেয়ার অধিকার নাই। আজকে এভাবে দেশ আর চলতে পারে না।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘বেগম জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাকে আজকে বর্তমান অবৈধ সরকার জোর করে কারাগারে অন্তরীণ করে রেখে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাকে রাজনীতি করতে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। কারণ বেগম জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে লুটের রাজনীতি এটি করা সম্ভবপর হবে না। তাই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে গৃহবন্দি করে রেখেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাস যখন শুরু হয় তখন বর্তমান সরকারের অনেক অবৈধ মন্ত্রী-এমপিরা বলেছিলেন আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী। অথচ করোনার চেয়েও শক্তিশালী এই সরকার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোনো কাজই করতে পারেনি। তারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফেলে দিয়েছিল মৃত্যুর দিকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা পায়নি, চিকিৎসকরা পায়নি তাদের সুরক্ষা সামগ্রী। আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য ছুটে চলেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। তারপরও তারা সঠিক চিকিৎসা পায়নি। এমন সময়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।’
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও আহ্বায়ক ডা. পারভেজ রেজা কাকনের সভাপতিত্বে ও কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন ও ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী প্রমুখ।
পবিত্র কোররআন তেলাওয়াত করেন অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম। অনুষ্ঠানের সার্বিক শৃংখলার দায়িত্বে ছিলেন ভলান্টিয়ার্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম, শিরিন সুলতানা, ড্যাবের জহিরুল ইসলাম শাকিল, অধ্যাপক ড. আবদুল করিম, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা. মাসুদ আখতার জীতু, ডা. মেহবুব উল কাদির, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, ডা. মো. ফখরুজ্জামান, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, শামীমা রাহিম, মো. আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মো. সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, বিপ্লব উজ-জামান বিপ্লব, দবির উদ্দিন তুষার, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাবি ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আমানউল্লাহ আমান, বুয়েট আসিফ হোসেন রচি, ছাত্রদলের ইডেন কলেজ ছাত্রদলের রেহানা আক্তার শিরিন প্রমুখ।
এসময় মেডিসিন, হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, শিশুরোগ, শিশু সার্জারি, গ্যাস্ট্রো এন্ট্রালোজি, পেইন ম্যানেজমেন্ট, অর্থপোডিক্স, চর্ম ও যৌন, গাইনেকোলোজি, নাক-কান-গলা, চক্ষু বিজ্ঞান, দন্ত রোগের বিভিন্ন সমস্যায় শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের ফ্রি চেকআপ ও ওষুধ প্রদান করা হয়।