শামীম হোসেন 30 May 2023
রাজনীতি এটা আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। রাজনীতির সাথে সেই বাল্যকাল থেকেই সংপৃক্ত। আমার আব্বু। তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, এমনকি রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সাথেও সংপৃক্ত নয়। কিন্তু তিনি আমাকে ছোট থেকেই রাজনীতি করার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়ে এসেছেন। আব্বু বলেছিলেন, রাজনীতি করো কিন্তু নীতি ও আদর্শ থেকে পদচ্যুত হবে না। তাই সেই প্রাইমারী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়। এখন অব্দি সচ্ছ রাজনীতিতেই আবদ্ধ রয়েছি। রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বেছে নিয়েছি। মেজর জেনারেল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) এর দেশপ্রেমময় রাজনৈতিক আদর্শ ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মহানুভবতা দেখেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতি করে যাচ্ছি। বিশাল রাজনৈতিক পথ চলা। এখনো সাংগঠনিক কোনো পরিচয় পাই নি। এতে কোনো সমস্যা নেই। রাজপথ ও অনলাইন দুই প্লাটফর্মেই অতীতে যেমন যুদ্ধ করেছি,বর্তমানও করছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাবো ইনশাআল্লাহ। সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ-প্রেমিক,রমণীর ভালোবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন বুকে নিয়ে ওটা নদী,নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে-এর ঠিক ডানপাশে,অইখানে রাজনীতিকে আশ্রয় দিয়েছি। তাই কথিত রমণীর ভালোবাসা সেভাবে টানে না আমাকে। যাইহোক নিজের বেহালা না বাজিয়ে চলুন মূল বিষয়ে আলোকপাত করি।
ধরুণ আপনি একজন তরুণ শিক্ষার্থী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে ইতিহাসের কিছু বই পড়ছেন। সেখানে আপনি হয়তো জানতে পারবেন ৫২’র ভাষা আন্দোলনে পটভূমি। পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় যখন ঘোষণা করেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। তখন দলমত নির্বিশেষে সবার আগে মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করেছিলো এই দেশের ছাত্রসমাজ। আর তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলো তখনকার ছাত্রনেতারা। শুধু ভাষা আন্দোলন নয় এরপর বাঙ্গালী অধিকার আদায়ে যতগুলো আন্দোলন করেছে। তার নেতৃত্বের প্রথম সারিতে ছিলো এদেশের ছাত্রনেতারা। আপনি মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রদের ভূমিকা পড়ে অনুপ্রাণিত হবেন। আপনি স্বৈরাচার এরশাদকে হটানোর জন্য ছাত্রদলকে দাড়িয়ে সম্মান জানিয়ে বাহ বাহ দিবেন। ছাত্র রাজনীতির গৌরবউজ্জ্বল ইতিহাসগুলো পড়ার পর আপনি যখন চিন্তা করছেন আমিও এদেশের রাজনীতিতে সংপৃক্ত হব।
তখুনি টেলিভিশনের দিকে চোখ পড়লো,আপনি দেখতে পেলেন বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে একমত হয়েছে শিক্ষকরা। সারা দেশে চলছে লেজুরবৃত্তির ছাত্র রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা। আরো দেখলেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের জন্য রাজপথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ছাত্র রাজনীতির বিলুপ্তের জন্য শাহবাগে তুলকালাম। বিভিন্ন কলেজ ও বেসরকারি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দেখলেন বড় অক্ষরে লেখা রাজনৈতিক মুক্ত ক্যাম্পাস। চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে লেখা এখানে রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ! সত্যি বলতে এই প্রজন্মের ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপ্রীতিকর ঘটনা দেখে আমি এই প্রজন্মের মানুষিক চিকিৎসার দাবি জানিয়েছিলাম। আগে পরিবার রাজনীতি করলে গর্ববোধ করতো। আর এখন রাজনীতির নাম শুনলেই পরিবার বলে, এসব খারাপ! রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি ও সংগঠনের সাথে ঘেঁষবে না।
বই ঘেটে যতদূর জেনেছি, তাহলো উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলার রাজনীতিতে ছাত্র রাজনীতি যোগ করে নতুন মাত্রা৷ পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ছাত্রদের সক্রিয় রাজনীতিতে পূর্ণতা পায় বিশ শতকে৷ তবে জাতীয় রাজনীতিতে ছাত্রদের মোটামুটি অংশগ্রহণ থাকলেও ১৯২৮ সালে আগে বাঙালি ছাত্রদের কোনো নিজস্ব সংগঠন ছিল না। তখন কংগ্রেসের উদ্যোগে নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি নামে ছাত্রদের একটি সংগঠন গঠিত হয়৷ তারই ধারাবহিকতায় ১৯৩০ সালের ১২ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত মুসলিম ছাত্রদের একটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্কে একটি মুসলিম ছাত্র সমিতি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয় এবং ১৯৩২ সালে নিখিলবঙ্গ মুসলিম ছাত্র সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ ১৯৪৭ এ দেশ ভাগে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের জন্ম হওয়ার পর পশ্চিম পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতির সূচনা হয়। বিশেষত ১৯৪৮ সালে রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে জিন্নাহর ঘোষণার পর ওই বছর পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম স্টুডেন্টস লীগ গঠন করা হয়৷ এ বছরই শুরু হয় ভাষা আন্দোলন এবং তাতে নেতৃত্ব দেয় ছাত্রদের এ সংগঠনটি৷ এ জাতীয় আন্দোলনে ছাত্রদের অবদান সুজ্ঞাত ও সর্বজনস্বীকৃত। ওই সময়ে ভাষা সমস্যার সমাধান হলেও ছাত্র আন্দোলন থামেনি৷ তখনও প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল ও উপদল নিজস্ব ছাত্রফ্রন্ট গড়ে তুলতে চাইত। যার ফলে ১৯৫২ সালে পূর্ববাংলায় বাম রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গড়ে ওঠে ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন৷ তবে এটা স্পষ্ট ষাটের দশকের ছাত্র রাজনীতির এদেশের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়৷
১৯৭১ সালের পঁচিশ মার্চের মধ্যরাতে জনগণের উপর পাকবাহিনীর আক্রমণে দিশাহারা জনগণ। ২৬ মার্চে বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল এই জাতির মুক্তির পয়গাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বসে থাকা ছাত্র জনতা যখন রেডিয়োতে শুনতে পেলেন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। তখন ঢাবি সহ সমগ্র দেশের ছাত্রসমাজ যুদ্ধে সামিল হোন। স্বাধীনতার দীপ্ত ঘোষণা যখন মেজর জিয়ার মুখ থেকে সবাই শোনে তখন ছাত্র জনতা আশায় বুক বেধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে ছাত্রলীগে আসে বিভক্তি৷ তৈরি হয় জাসদ ছাত্রলীগ৷ আর ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সামরিক শাসকেরা ক্ষমতায় আসলে উল্টোপথে চলতে থাকে এদেশের সামগ্রিক রাজনীতি৷ জাতি যখন পথহারা। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যখন দেশটার অবস্থা অর্থহীন। তখনই জিয়াউর রহমান গঠন করেন ছাত্রদল৷ সামরিক সরকারের ধর্মীয় রাজনীতি শুরুর অনুমতি পাওয়ার পর জামায়াত ইসলামী গড়ে তোলে তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির৷
নব্ববইয়ে ছাত্রদলের মাধ্যমে এরশাদের পতনের পর থেকে এদেশে প্রকৃত গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ছাত্রদল হয়ে উঠে উপমহাদেশের সনামধন্য শক্তিশালী আদর্শিক ছাত্র সংগঠন । কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, ছাত্র রাজনীতিকে বড় দলগুলো তাদের উপাঙ্গ ভাবার ফলে বেড়ে যায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, সিট দখলের রাজনীতি, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা ধরনের বাণিজ্য- ভর্তি, নির্মাণ, উপকরণ সরবরাহ ইত্যাদি শুরু হয়৷ প্রশাসনের নাগালের মধ্যে এগুলো ঘটলেও প্রশাসন রাজনৈতিক কারণেই হয়ে যায় নিশ্চুপ। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠে যে দল ক্ষমতায় থাকে অথাৎ ক্ষমতাশীন দলের ছাত্রনেতারা। হলগুলো হয়ে যায় টর্চারসেল। বাড়তে থাকে শিক্ষাঙ্গনে হত্যা কান্ড। যার সর্বশেষ শিকার বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার। এমন নির্লজ্জ ঘটনার সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগ।
এক সময়ের ঐতিহ্যময় ও গৌরবউজ্জ্বল ছাত্র রাজনীতি ধীরে ধীরে দলীয় প্রভাবে কলংকিত হয়েছে। এরজন্য ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ একা দায়ী নয়! সকল রাজনৈতিক দলই দায়ী। সর্বশেষ গত ২১ বছরে বাংলাদেশে যতগুলো ছাত্র আন্দোলন হয়েছে, তাতে ছাত্র নেতাদের অংশগ্রহন ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। বরং সে আন্দোলন দমন করতে সক্রিয় ছিল ক্ষমতাসীন ছাত্র নেতারা। বিশেষ করে ছাত্রলীগের চাপাতি, হেলমেট, হকিস্টিক ও একে-৪৭ বাহিনী। ছাত্রলীগ নামক জঙ্গি সংগঠন এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঁধা দিয়ে প্রতিপক্ষকে অদৃশ্য করে দিয়েছে।
নব্বইয়ের পর থেকে ছাত্র সংগঠনগুলোর নির্বাচন না দেয়ার ফলে ছাত্র রাজনীতি অনেকটা বেকার হয়ে গেছে। নির্বাচন জিততে হলে ছাত্র নেতাদের সাধারণ ছাত্রদের কাছে আসতে হতো। নির্বাচণ বন্ধ হওয়ার পর ছাত্র নেতাদের সেই প্রয়োজনীয়তা না থাকায় ক্ষমতা বা পদ পেতে তারা দলের সাথে যোগাযোগ বাড়ায়। দলীয় নেতারা ছাড়া ছাত্রনেতাদের জবাবদিহিতার আর কোনো জায়গা তখন থাকে না৷ শুধু ডাকসু বাদে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া হয়নি। আর ডাকসুর নির্বাচন যা হলো তা পূণরায় না বলি। জঙ্গি ছাত্রলীগ ও মুখোশধারী অধিকার পরিষদের দালালদের হাতেই এখন ছাত্র রাজনীতির চাবিকাঠি। অতীতে মেধাবী ও নিয়মিত ছাত্ররা রাজনীতি করতো এবং ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করার একটা নৈতিকতা কাজ করতো। পরবর্তীতে পেশি শক্তির রাজনীতিতে মেধাবীরা অনেকটা মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অনিয়মিত ছাত্ররা রাজনীতির দিকে ঝু্ঁকে পড়ে। পদবাজির নোংরামি লবিং নামক গোলামী, ত্যাগি ও রাজপথের ছাত্রদের অবমূল্যায়ন। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে ছাত্র নেতাদের বেশি ব্যবহার করা। রাজনীতিকে ব্যবহার করে অবৈধ অর্থ উপার্জনের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়া। যার ফলে বেড়ে যায় চাঁদা বাজি, টেন্ডারবাজিসহ পেশি শক্তি প্রদর্শন।
সর্বশেষ অবৈধ আওয়ামী স্বৈরাচারকে হটানোর জন্য ছাত্রদল অতীত কমিটি ও বর্তমান কমিটি তেমন কিছু করতে পারেনি। শুধু দলীয় সভা-সমাবেশ এটা সেটা কমিটি এসব আজাইরা বিষয়। এমনকি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবৈধ বন্দীর বিষয়ে তৃণমূল ছাত্রদল সক্রিয় থাকলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বরাবরই নিস্ক্রিয় থেকেছে। আগে নেতা নির্বাচন করা হতো নেতৃত্ব দেখে, আর এখন করা হয় গোলামী দেখে। ভাইয়ের পা চাটলেই নেতা। এখন চিরচেনা আবর্জনাময় রাজনীতি হয়ে দাড়িয়েছে ছাত্র রাজনীতি। অমুক ভাই সমর্থক গোষ্ঠী, তমুক ভাই পা চাটা গোষ্ঠী দিয়ে রাজনীতি এখন বন্দী। রাজনীতি হলো দল,দেশ ও জনগণের জন্য। তথাকথিত ভাইয়ের গোলামীর জন্য নয়! বড়নেতা কর্মীকে মনে করে চাকর, আর কর্মী নেতাকে মনে সিঁড়ি। এই হলো বর্তমান নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্টতা।রাজনীতির র বোঝে না, রাজনীতির ইতিহাস পড়া নেই এক পাতা। নিজ দলের গঠনতন্ত্র, ইতিহাস, জন্ম, আন্দোলন-সংগ্রাম কিছুই জানে না। জানে না দলের প্রতিষ্ঠাতার সম্মন্ধে। রাজনীতি মানে কী? সেটাই বোঝে না! যে পদ নিয়ে নেতা হয়েছে সেই পদের গুরুত্ব ও দায়িত্ব বোঝে না। তারাই হয়ে গেছে বড়নেতা। এসব অযোগ্য অথর্বদের জন্যই আজ ছাত্র রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ। কেউ আর রাজনীতি করতে আগ্রহ দেখায় না। এসব কিছুসংখ্যকের জন্য এদেশের জনগণ সমগ্র ছাত্র রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
যে দেশের স্বাধীনতাসহ সকল আন্দোলনে ছাত্র রাজনীতির গৌরবউজ্জ্বল ভূমিকা রয়েছে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নয় বরং জাতীয় রাজনীতিসহ সার্বিক রাজনীতিতে বড়সর সংস্কার দরকার। লেজুড়বৃত্তির চক্র থেকে বেড়িয়ে ছাত্র রাজনীতিকে দলীয় হেলমেট বাহিনীর বদলে ছাত্রদের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে। ছাত্র নেতাদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে মূল দলকে। তবেই হয়তো সুদিন ফিরে পাবে বর্তমানে পথ হারা ছাত্র রাজনীতি। সমৃদ্ধ হবে জাতীয় রাজনীতি। রাজনীতিতে যোগ্যদের স্থান ও অযোগ্যদের পরিত্যাগ। আর দেশের একমাত্র কলুষিত জঙ্গি সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আর সকল সংগঠন থেকে অযোগ্যদের ছাঁটাই করতে হবে। এরপর যোগ্য নেতৃত্বের হাতে নেতৃত্ব তুলে দিতে হবে। তবেই এদেশের সকল তরুণ রাজনীতি আগ্রহী হবে এবং রাজপথে নেমে সকল অনিয়ম ভেঙে স্বৈরাচারের পতন ঘটাবে। পরিশেষে; ছাত্র রাজনীতির দীর্ঘায়ু কামনা করি। সকলেই হোক রাজনৈতিক আদর্শবান দেশপ্রেমে উদ্বেলিত মানুষ। আমি শামীম হোসাইন এই আশা ব্যক্ত করে আজকের মতো লেখায় ইতি টানছি। জাযাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ।