ছাত্রলীগের পিটুনিতে চোখ হারাতে বসেছে ঢাবি শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮ ইং ২০:২৬ মিঃ
ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মেরে চোখসহ বিভিন্নস্থান জখম করেছে ছাত্রলীগ। আহত এহসান রফিক ঢাবির দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে মঙ্গলবার রাতভর তাকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের নির্দেশে মারধর করে তারই কক্ষে বুধবার দিনভর আটকে রাখা হয়।
আহত এহসান জানান, মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ওমর ফারুক প্রায় তিনমাস আগে তার কাছ থেকে ক্যালকুলেটর ধার নেন। এহসান ওমর ফারুকের কাছে প্রায়ই ক্যালকুলেটর দাবি করতেন। কিন্তু ওমর ফারুক ক্যালকুলেটর পরে দিয়ে দিবে বলে জানান।
সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে এহসান ক্যালকুলেটর দাবি করলে ওমর ফারুক তাকে মারধর করেন। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আরিফের (আইইআর) মাধ্যমে এহসানকে টিভি রুমে ডেকে নেন। এ সময় টিভিরুমে উপস্থিত ছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানিম (আইইআর) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিম ইরতিজা শোভন (উর্দু) ও আবু তাহের (পপুলেশন সাইন্স)। তারা এহসানকে শিবির অপবাদ দিয়ে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চেক করেন। কিন্তু তারা ফেসবুকে কিছুই না পেয়ে জোরপূর্বক শিবির স্বীকারোক্তি আদায়ে তাকে বেদম মারধর করেন। তারা মৌখিকভাবে এহসানকে হল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়ে হল গেটে বের করে দেন।
সেখানে আরেক দফা ওমর ফারুক ও রুহুল আমিন, সদস্য সামিউল ইসলাম সামী, আহসান উল্লাহ, উপ-সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের নেতৃত্বে রড, লাঠিসোটা দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। মারধরের এক পর্যায়ে এহসান জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে আরিফ রাত সাড়ে তিনটায় এহসানকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদের (১৬ নম্বর) কক্ষে তথ্য না প্রকাশের জন্য হুমকি দিয়ে আটকে রাখা হয়। সকালে এহসানের অবস্থা খারাপ হলে তাকে আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হলে এনে একই কক্ষে আটকে রাখেন তারা।
খবর পেয়ে এহসানের বাবা দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম ঢাকায় এসে তাকে উদ্ধার করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, এহসানের চোখের কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
হল শাখা সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, ক্যালকুলেটর নিয়ে মারধর করা হয়েছে। যারা মারধর করেছে তাদেরকে হল থেকে বের করে দিয়েছি।
ঘটনাটি অবহিত করা হলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আলম জোয়ারর্দার বলেন, বিষয়টি জানি না। আমি দেখছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি দেখব।
বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য হলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Chatraleague is a Mafia Sangatan. It is covered by administration and lead by the national leader. They are a threat to all cowards. A day will come when their opposion will rise above law. Then the real strength will be tested.Now no body is said to be above law. I wonder how the lawers can sleep wi their brain so much poluated.