ছয় মাসে বিএসএফের গুলিতে ১৩ বাংলাদেশি নিহত

চলতি বছরের ছয়মাসে (জানুয়ারি-জুন) সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক। এছাড়া আহত হয়েছেন ১১ জন নাগরিক। ২০২৩ সালের একই সময়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১০ জন, আহত ১৪ জন ।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রকাশিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে মর্টার শেলের আঘাতে ১ জন বাংলাদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশে আশ্রিত মায়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১ জন নিহত হন।

আসকের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্নার সই করা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ৬ মাসে সীমান্তে হত্যা বেড়েছে। সাংবাদিক নিপীড়নসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেওয়ার মতো ঘটনাও বন্ধ হয়নি।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যু ও নির্যাতন

গত ছয় মাসে দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে অন্তত দুজন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে যশোরের অভয়নগর থানায় পুলিশ হেফাজতে আফরোজা বেগম (৪০) নামের এক নারী মারা গেছেন।

পরিবারের অভিযোগ ঘুষের দাবিতে তাকে পুলিশ নির্যাতন করে হত্যা করেছে। আফরোজা বেগম অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জলিল মোল্যার স্ত্রী। গত ১ জুন শনিবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।

পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, ২ জুন সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে আফরোজা বেগম থানাহাজতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সুস্থ বোধ করলে তাঁকে থানায় ফিরিয়ে আনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে পুনরায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আফরোজা বেগমের ছেলে অভিযোগ করেন, তার মাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এমনকি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে নির্যাতনের কারণে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগেই আফরোজা বেগম মারা গেছেন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‌্যাবের হেফাজতে থাকাকালীন সুরাইয়া বেগম (৫২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বক্তব্য এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে পরিবারের অভিযোগ, তাকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের সময় শারীরিক নির্যাতনের ফলে তার মৃত্যু ঘটেছে।

বরুণাকান্দি গ্রামের আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম, পুত্রবধূ রেখা বেগম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। এই মামলায় ১৬ মে ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) রাতে সুরাইয়াকে নান্দাইল এবং তাঁর ছেলে রেখার স্বামী তাজুলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছিলেন ভৈরবের র‌্যাব সদস্যরা। র‌্যাবের দাবি, শুক্রবার বুকে ব্যথা উঠলে তাদের মহিলা সেন্ট্রিকে সকাল ৬ টায় সুরাইয়া বিষয়টি জানান। ১৫ মিনিটের মধ্যে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় র‌্যাব। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, এদিন সকাল ৭টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সুরাইয়াকে মৃত অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানা এলাকার ফিরোজ হোসেন নামের এক তরুণকে গত ৯ জুন শৈলকুপা থানা পুলিশ মারধর করে এবং এক পর্যায়ে গুলি করে। গুলির ঘটনায় ফিরোজ হোসেন গুরুতর আহত হন এবং ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তার হাত কেটে ফেলতে হয়।

এ সময়কালে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে ঢাকার লালবাগ এলাকায় মো. ফারুক হোসেনের কারাগারে মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। পরিবারের পক্ষ থাকে এ ঘটনায় আদালতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ২০১৩ এর ৬/৮/৯ এবং ১৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামে পুলিশের নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে কারা হেফাজতে রুবেল দে’র মৃত্যুর অভিযোগ করেছে পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আদালতে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে ২০১৩ এর ১৫(২) ধারায় দায়ের করা হয়েছে। এ দুটি ঘটনাতেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিবারের দাবি অস্বীকার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অনেক সময় বলা হয় বাহিনীতে কর্মরত যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উত্থাপন হলে তা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়। এ ধরনের বিষয়ে যদি যথাযথ তদন্ত করা হয় তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নিয়ে থাকে কিংবা ইতিপূর্বে নিয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য কিন্তু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। নিজ বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিজ বাহিনী কতৃর্ক তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য কিংবা বিশ্বাস যোগ্য তথ্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে না। কাজেই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা আবশ্যক।

নাশকতায় মামলায় কারাবন্দি বাগেরহাট জেলা যুবদল নেতা কামাল হোসেন এবং কারাবন্দি নাটোর জেলা যুবদল নেতা এ কে আজাদের মৃত্যু হয়। আটকের পরে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ করেছে পরিবার। অন্যদিকে, যশোর জেলার একজন যুবদল নেতা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, বলে অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানি

গত ছয় মাসে ১৪৫ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি, মামলা ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন ।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বাধার শিকার হওয়ার ঘটনা ছিল উল্লেখ করার মত। সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানা জাতীয় দৈনিক “দেশ রূপান্তর” এর নকলা উপজেলা সংবাদদাতা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রকল্পের কম্পিউটার ও ল্যাপটপ ক্রয়-সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক শফিউজ্জামান। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মার্চ ২০২৪ (মঙ্গলবার) দুপুরে ঐ তথ্য না পাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ইউএনও মোবাইল কোর্ট বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদ বলে বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন পেশাদার সাংবাদিককে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত। ইতঃপূর্বেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক শাস্তি ঘোষণা করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনা প্রকৃতপক্ষে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংকুচিত করবে, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভীতি ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

রাজনৈতিক সহিংসতা

জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, বিগত ছয় মাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতাসহ বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪০টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪১ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩৭৩৬ জন।

কারা হেফাজতে মৃত্যু

এই সময়কালে কারা হেফাজতে মারা গেছেন ৪৬ জন। এর মধ্যে কয়েদি ২০ জন এবং হাজতি ২৬ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১৩ জন হাজতি এবং ১০ জন কয়েদির মৃত্যু হয়।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন

বছরের এ সময়কালে ২৭ টি ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২০ টি বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর, ৫ টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ২১টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ১টি মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

নারীর প্রতি সহিংসতা

এ সময়কালে যৌন হয়রানি ও সহিংসতা, ধর্ষণ ও হত্যা, পারিবারিক নির্যাতন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহকর্মী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

গত ছয় মাসে যৌন হয়রানি কেন্দ্রিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন ১৪৬ জন নারী-পুরুষ, যাদের মধ্যে হামলার শিকার হয়েছেন ১১৩ জন নারী ও ৩৩ জন পুরুষ। এর মধ্যে বখাটেদের কর্তৃক লাঞ্ছিত ১০১ জন নারী, বখাটেদের উৎপাতকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন। যৌন হয়রানির কারণে ১ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটে কর্তৃক ৪ জন পুরুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মোট ২৫০ নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জন নারীকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন নারী। এছাড়া ৫৮ জন নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ২৬৯ জন নারী। এর মধ্যে ৮৪ জন নারী স্বামী কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন। পারিবারিক নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা হয়েছেন ৯৪ জন নারী। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন মোট ২৯৪ নারী।

যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩৩ জন নারী। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে এবং যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ৪ জন নারী। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১৬ জন। এ সময়কালে মোট ১০ জন গৃহকর্মী বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যুু হয়েছে।

শিশু নির্যাতন ও হত্যা

দেশের বিভিন্নস্থানে গত ছয় মাসে মোট ৬৩১ শিশু বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। এরমধ্যে হত্যার শিকার হয়েছে ২৩৯ শিশু এবং ৩ জন ছেলে শিশুকে বলাৎকারের পর হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ৫০ শিশু, বিভিন্ন সময়ে মোট ৭৭ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, এছাড়া বলাৎকারের শিকার হয়েছে ২৩ ছেলে শিশু।

গণপিটুনিতে নিহত 

ছয় মাসে গণপিটুনির ঘটনায় নিহত হন মোট ৩২ জন। এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১, ময়মনসিংহ বিভাগে ২ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নিহত হন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন মাসে গণপিটুনির ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৪।

আসক মনে করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা অত্যাবশ্যকীয়। অন্যথায় বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। আসক রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকের সব ধরনের মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার দ্রুততার সাথে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছে।

(উল্লেখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের এ সংখ্যাগত প্রতিবেদনটি ১০টি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ ও আসক এর নিজস্ব সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।)

bangla outlook