- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ মে ২০২১
চীন থেকে কেনা করোনার টিকা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। তবে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর বিষয়টি ‘খুবই ইতিবাচকভাবে’ দেখছে।
সোমবার ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
লি জিমিং বলেন, “টিকা নিয়ে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর বিষয়টি চীন ‘খুবই ইতিবাচকভাবে’ দেখছে। কিন্তু সমস্যা হলো, বাংলাদেশ সরকার চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মাত্র এক সপ্তাহ আগে। এখন টিকা পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতাদের দীর্ঘ কিউ তৈরি হয়েছে। আর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ টিকার জন্য সেই লাইনের সম্মুখভাগের খুব কাছাকাছি অবস্থানে নেই।”
‘আমি বলতে চাইছি, সরকারি পর্যায়ে চীন থেকে কেনা টিকার প্রথম চালান হাতে পেতে আমাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।’
অপেক্ষার সময়ের ধারণা দিতে গিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপাতত আমি যেটুকু বলতে পারি, বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশের টিকা কেনার জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা আমি করব। বেইজিংয়ে আমার সহকর্মীরা প্রথমে আমাকে যেটা বলেছে, ওই লাইন এত বেশি দীর্ঘ যে ডিসেম্বরের আগে টিকা পাওয়ার আশা না করাই ভালো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাদের বলেছি- যত দ্রুত সম্ভব এখানে টিকা দরকার। এরপর আমার মনে হচ্ছে, ডিসেম্বরের অনেক আগেই আমরা পারব, তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ বছরের প্রথমার্ধে সেটা হবে না।’
প্রশ্নোত্তর পর্বের শুরুতে চীনা রাষ্ট্রদূত জানান, তার সরকারের উপহারে ৫ লাখ ডোজ টিকার চালান ১২ মে বাংলাদেশে আসবে।
তিনি বলেন, ‘টিকা উপহার দেওয়ার জন্য চীন যোগাযোগ করেছিল এ বছর ৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার টিকার জরুরি অনুমোদনের সময় নিয়েছে প্রায় তিন মাস। ফলে বাংলাদেশে টিকা বিক্রির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার বিষয়টি নানাভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।’