- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ অক্টোবর ২০২২, ১০:৩৬, আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২, ১২:১৩
চাল, ডাল, তেলের পর এবার গরম চিনির বাজার। গত দেড় মাস ধরে সরবরাহ সঙ্কটের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে।
সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। যা ২০২১ সালে একই সময় ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও আদার দাম বেড়েছে আরেক দফা। পাশাপাশি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জুরাইন, কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতার সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার পণ্যমূল্য তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনি ২.৭০ শতাংশ বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশ। লিটারে খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ, পাম তেলের (সুপার) দাম বেড়েছে ৩.১১ শতাংশ। পাশাপাশি ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩১.২৫ শতাংশ। আর ১৫.২২ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হয়েছে আদা।
খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। যা ৭ দিন আগে ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর ১ মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা। ২ মাস আগে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর গত বছর একই সময়ে এ চিনি বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে দেশের ব্যবসায়ীরা যৌক্তিকভাবে বাড়িয়েছেন কিনা তা দেখতে হবে। কারণ বিক্রেতাদের অতি লাভ করার প্রবণতা আছে। তারা সুযোগ পেলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ভোক্তার পকেট কাটে। চিনির দাম বাড়ার পেছনে এমন কিছু আছে কিনা তা দেখতে হবে। পাশাপাশি বাজারে অন্য একাধিক পণ্যের দাম বেড়েছে। সে সব পণ্যের দাম কমাতে সংশ্লিষ্টদের সজাগ ভূমিকা রাখতে হবে।