
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতৃত্বের মধ্য থেকে ৬০ জন ছাত্র-নেতা চার দফা দাবি জানিয়ে রোব বারে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করা, নতুন ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, গণপরিষদ নির্বাচন ও নতুন সংবিধান প্রণয়ণ এবং সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালনে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সেগুলো হলো—১. আমরা জনগণের সাথে প্রতারণামূলক গ্রহসনের জুলাই ঘোষণাপত্র প্রত্যাখ্যান করছি। ২. আমরা শ্রেণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জনগণকে অংশীদার করে নতুন ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করতে হবে। ৩. আমরা পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা ও সংবিধানকে অস্বীকার করছি এবং শ্রোণি, পেশা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন ও প্রকৃত ঘোষণাপত্রের সাথে সঙ্গতি রেখে নতুন গণবান্ধব সংবিধান প্রণয়ণ করতে হবে। ৪. আমরা উপরোক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে গণঅভু্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা তথা পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ, নারীসমাজ, কৃষক-শ্রমিক, পেশাজীবীসহ ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালনে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, পুরোনো আমলাতন্ত্র, লুটেরা ও দুর্নীতিবাজ পুরোনো রাজনীতিবিদেরা ঘোষণাপত্র এবং জনগণের রাষ্ট্র গঠন ঠেকাতে সক্রিয় হয় এবং তাদের চাপেই ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্র পাঠ কর্মসূচি বানচাল হয়ে যায়। পরবর্তীতে জনগণের সাথে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে পুরোনো ব্যবস্থার এই অংশীদারেরা জুলাই ঘোষণাপত্রের নামে এমন একটি ডকুমেন্ট তৈরির পরিকল্পনা করে যেখানে জনআকাঙ্ক্ষার বদলে লেখা থাকবে ভাসাভাসা কিছু স্বীকৃতি ও প্রতিশ্রুতি এবং যেটা পুরোনো ব্যবস্থার প্রতি কোনো হুমকি তৈরি করবে না।
এতে বলা হয়, এ বছরের গত ৫ আগস্ট এই ঘটনাটিই ঘটেছে অর্থাৎ পুরোনো শোষণমূলক আমলাতন্ত্র, লুটেরা শক্তি ও পুরোনো দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের সমর্থনে একটি প্রতারণামূলক ও অর্থহীন ডকুমেন্টকে জুলই যোয়ণাপত্র নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, হাজারো শহীদ ও আহত গাজী ভাই-বোনদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। আদের অপরিসীম সাহস ও দেশপ্রেমকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে আমরা সত্যিকার গণবান্ধব ও জনকল্যাণমূলক বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রাম যেকোনো মূল্যে চলমান রাখবো।
হাজারো শহীদ এবং আহত ভাই-বোনের রক্তাক্ত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সংঘটিত ৫ই আগস্ট ২০২৪ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং শেখ হাসিনায় স্বৈরাচার থেকে যুক্ত করেছে। জুগাই গণঅস্থাথানে জনগণ বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়নমূলক পুলিশ, আদালত, আইন-সংবিধান তথা পুরনো ব্যবস্থার কর্তৃত্ব (Authority) চূড়ান্তভাবে অস্বীকার করে নিজেদের আণ্য নির্ধারণের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে। জুলাই গণঅস্থাযানের এই সর্বাত্মক কলের মধ্য দিয়ে এটি এই অঞ্চলে ঘটা অন্য সকল গণঅস্থামানকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে অগ্রসর হয়েছে। চব্বিশের জুলাই ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের মতো সামরিক শাসনকে মেনে নেয়নি, আবার নব্বইয়ের মতো কেবলমাত্র ব্যক্তি স্বৈরাচারীর অপসারণকেই মূল লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেনি ধরা রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে গণস্বাক্ষর রাষ্ট্র গঠনের বৈপ্লবিক চেতনাকে জাগ্রত করেছে। স্বাভাবিকভাবেই জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুসারে নতুন কল্যাণমূলক, পণবান্ধব রাষ্ট্র তৈরির দায়িত্ব পালনে অগ্রসর ভূমিকায় হাজির হয় গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃবৃন্দ যাদের ডাকে বিশ্বাস স্থাপন করে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
ছাত্র-নেতৃবৃন্দ প্রথমেই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া সকল দল, সংগঠনকে সাথে নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করার উদ্দেশ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করে। কিন্তু পুরোনো ব্যবস্থার সুবিধাভোগ করতে উৎসুক রাজনৈতিক দলগুলোর একটি বৃহৎ ও শক্তিশালী অংশ এই প্রস্তাবকে অস্বীকার করে এবং নতুন গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের জনআকাঙ্ক্ষা থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে। এমতাবস্থায় নির্দলীয় এনজিও সমর্থিত অ্যাক্টিভিস্ট, বিশেষজ্ঞ ও সুশীল পরিসরের নেতৃত্বকে নিয়ে ছাত্র নেতৃত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াতেই দুটি প্রতিবিপ্লবী ঘটনা ঘটে যায়।
প্রথমত, পুরোনো শোষণ-নিপীড়নমূলক সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র গণপ্রভুত্থানকে সমর্থনের অভিনয় করে আলোচনার টেবিলে নিজেদের জায়গা করে নেয় এবং নিজেদের এজেন্ডা অনুসারে সরকার গঠন প্রভাবিত করে। দ্বিতীয়ত, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্রের প্রতারণামূলক ছলনা এবং সুশীল নেতৃবৃন্দের আপোষকামিতা ও সাহসের অভাবে প্রভাবিত হয়ে ছাত্র নেতৃত্ব পুরোনো সংবিধান, পুলিশ, আদালতসহ বিষমান শোষণ-নিপীড়নমূলক কাঠামোকে মেনে নিয়েই অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করে। ফলশ্রুতিতে প্রথমেই গণঅভু্যুথানে প্রকাশিত গণআকাঙ্ক্ষা বাধায়ান্ত হয়।
খুব দ্রুতই এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে পুরোনো আমলাতন্ত্র, লুটেরা অগিগার্ক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদদের স্যাবোটাজ, এবং আপোষকামী রীতু সরকারের দুর্বলতার ফলে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের জীবনে কোনো বাস্তবিক পরিবর্তন আসছে না। অখনই ছাত্র নেতৃত্বের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ এবং নতুন সংবিধানের দাবি জনগণের সামনে হাজির হয় এবং এই দাবি আদায়ে জনগণকে সংগঠিত করার কাজও শুরু হয়। এরই প্রতিক্রিয়ায় পুরোনো ব্যবস্থার অংশীদারেরা (আমলাতন্ত্র, অলিখার্ক ইত্যাদি) জনগণের সামনে ছাত্র নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা ঝাসে করে নতুন গণবান্ধব, জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে স্থিমিত করে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে।
এই কাজে পুরোনো ব্যবস্থার অংশীদারেরা দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রথমত, ছাত্র নেতৃত্বকে লোভ দেখিয়ে, আকৃষ্ট করে তারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অপরাধে ছাত্রদের সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টা করে বা এসব কাজ করার সকল রাস্তা আরা খোলা রাখে। অসংখ্য যাত্রা এইসব প্রলোভনকে অগ্রাহ্য করে দৃঢ়তার সাথে নিজেদের নৈতিক অবস্থান ধরে রাখলেও কেউ কেউ এই ফাঁদে পা দেয় এবং নিজেদের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে লুটেরা ব্যবস্থার অংশীদার হয়। দ্বিতীয়ত, সত্য হোক বা না হোক পুরোনো গণবিরোধী মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে ছাত্র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার ক্রমাগত চালিয়ে যাওয়া হয়। ফলশ্রুতিতে ছাত্র নেতৃত্বের সাথে জনগণের সম্পর্ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপরন্তু, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জারীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, কৃষক-শ্রমিক, বেকার যুবক ও পেশাজীবীসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নানা বর্ণের মানুষদের ক্ষমতায়িত করতে ব্যর্থ হওয়ায় যাত্রা নেতৃত্ব ক্রমেই সংকুচিত হয়ে ওঠে। এই সকল জারণে নতুন সংবিধান ও গণবান্ধব রাষ্ট্র গঠনের লবিতে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।
তবুও পুরোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনাগণের ন্যায্য ক্ষোভ নানা উপায়ে প্রকাশিত হতে থাকে। এই ক্ষোয় থেকেই গণ আকাঙ্ক্ষার স্বরূণ হিসেবে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ণের দাবি শক্তিশালী হতে থাকে। জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের সত্যিকার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা এবং এই ঘোষণা অনুসারেই নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করা নতুন কর্তব্য হিসেবে হাজির হয়।
এই বিবৃতির পক্ষে-
১. আরিফ সোহেল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২. আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩. মো: ওয়াহিদ উজ জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪. হামজা মাহবুব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫. মো: সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৬. নাহিলা বুশরা, স্বাস্থ্য অর্থনীতি কলেজ
৭. মো রাসেল মাহমুদ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৮. মো: রাকিব, সাকা কলেজ
৯. আসাদ বিন রনি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়
১০. সানজান্য আফিফা অদিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১১. ইব্রাহীম নিরব, শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
১২. মো: সুজন মিয়া (নিরব হাসান সুজন), সরকারি তিতুমীর কলেজ
১৩. আবু উবাইদা আব্দুল্লাহ বন্দকার, জাভা বিশ্ববিদ্যালয়
১৪. মোঃ আসিফ ইমতিয়াজ যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১৫. সাকিব হোসাইন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
১৬. মো: মেহেদী হাসান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ
১৭. লিটন আকন্দ, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. রিয়াদ হাসান, জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
১৯. সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ
২০. মেহেদী হাসান বাবু খান, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভ্রাসিটি
২১. মেহেরাজ হাসন শিশির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২২. মেঃ আরমানুল ইসলাম, একা বিশ্ববিদ্যালয়
২৩. স্বর্ণা রিয়া, জগন্নান বিশ্ববিদ্যালয়
২৪. এস আই শাহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৫. মিন্ড আলী সুহাস, স্টেট ইউনিভার্সিটি
২৬. মো. সোহাগ মিয়া (প্রীতম সোহাগ), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৭. আনজিনা তামিম হাপসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৮. রোকন উদ্দিন রানা (ছরনাম কাউসার মিয়া), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২৯. তাহসীন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩০. এস এম সুইট, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
৩১. তৌহিদ আহমেদ আশিক, শের-এ-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
৩২. সাব্বির উদ্দিন রিয়ণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৩. কুবরাতুল আইন ক্যানিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪. আরমান হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৫. মুমতাহহীনা মাহজাবীন মোহনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৬. আকরাম হোসাইন রাজ (হয়নাম আদনান আবির), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৩৭. সাজিদুল ইসলাম বাজি, বিএল কলেজ (বুলনা।
৩৮. সালমান সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদালায়
৩৯. রিফাত রিদওয়ান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪০. জহুরুল তানভীর, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
৪১. তারেক রেজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪২. তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৩. নুরুল ইসলাম নাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪. রাইয়ান ফেরদৌস, ঢাজা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৫. তসলিম ইসলাম অভি, হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)
৪৬. দিলরুবা আক্তার পলি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
৪৭. খালেদ হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৮. মো. মহিউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৪৯. মো. মোক্তার হোসেন, ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদালয় (ডুয়েট)
৫০. মিনহাজ ফাহিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫১. আনিকা তাহসিনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫২. রেজওয়ান আহম্মেদ রিফাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৩, সামিয়া আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৪. আজিজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৫. মো. আরিফ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালায়
৫৬. আহমেদ আল সাবাহ, মাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৭. মো. রাসেল আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
৫৮. কে এম জাদিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
৫৯. নাজিফা জান্নাত, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি
৬০. শিবলী সাদি (ছদ্মনাম তানিম আহমেদ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়