চলার পথের ভুলভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখবেন

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়- এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন যোগাবেন না। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে। আমাদের সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে তিনি এ ভাষণ দেন।

ভাষণে ভোট প্রার্থনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই দীর্ঘ চলার পথে যতটুকু অর্জন, তার সবটুকুই আপনাদের অবদান। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এ অর্জন করা সম্ভব হতো না। চলার পথে যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন- এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগ পাবো। ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে ‘নৌকা’ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন। তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতেই আমরা বিশ্বাস করি। এই নীতি নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করে উন্নত করেছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। প্যালেস্টাইন ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হোক- আমরা সেটাই চাই। প্যালেস্টাইনে যে গণহত্যা চলছে, আমরা তার অবসান চাই। বাংলাদেশ সব সময় প্যালেস্টাইনের জনগণের পক্ষে আছে।
আমি বাবা, মা, ভাই সব হারিয়ে দুঃখ-বেদনাকে সম্বল করে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। আপনাদের মাঝে খুঁজে পেয়েছি- আমার বাবার স্নেহ, মায়ের মমতা এবং ভাইয়ের মায়া। আপনারাই আমার পরিবার, আমার ওপর ভরসা রাখুন। আসুন, সকলে মিলে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন পূরণ করি। তিনি বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত টানা ৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে জনকল্যাণমুখী ও সুসমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে একটি সমতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক দেশ বিনির্মাণের পথে জাতিকে অগ্রসরমান রেখেছে। ইতিমধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি টেকসই ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার যে সুযোগ পাওয়া যাবে তা কার্যকর করা এবং যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে; তা একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই মোকাবিলা করতে পারবে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ সমাজ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর। তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গত ২৭শে ডিসেম্বর আপনাদের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছি। বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছি কী অবস্থায় দেশকে পেয়েছিলাম, আর আপনাদের জীবনমান উন্নয়নে কতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। দেশের যে উন্নয়নের ধারা সূচিত হয়েছে, তা টেকসই করে আরও উন্নত জীবন যাতে আপনারা পান- আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে আগামী ৫ বছরে আমরা কি কি কাজ করবো সেই ব্যাখ্যা তুলে ধরেছি। আজকে আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হাজির হয়েছি। এই উন্নয়নকে টেকসই করা, আপনাদের জীবনমান উন্নত করা, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সমালোচনা করেন- দুঃখের বিষয় যে, তারা সঠিক তথ্যটা জাতির সামনে তুলে ধরেন না।

দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা তাদের চরিত্র। মনে হয়, বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নতি দেখলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ’৭৫-পরবর্তী সময়ে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে যাচ্ছে।

নির্বাচন যাতে না হয়, সে চক্রান্ত এখনো আছে
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে থেকে: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন যাতে না হয়, সে চক্রান্ত এখনো আছে। এ সময় তিনি সবাইকে ভোট দিয়ে দেশে গণতন্ত্র আছে, তা প্রমাণ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে শেষ নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এই জনসমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’। তো বাংলাদেশকে কেউ দাবায়া রাখতে পারবে না। নির্বাচন ঘিরে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছিল। নির্বাচন যাতে না হয়, সেই চক্রান্ত এখনো আছে। যেহেতু নিজেরা নির্বাচন করে জিততে পারবে না, কাজেই দেশের মানুষকে বঞ্চিত করতে চায় ভোটের অধিকার থেকে।  তিনি বলেন, ৭ তারিখের নির্বাচনে আমি দেশের সবার কাছে অনুরোধ করবো, সবাই শান্তিপূর্ণভাবে থাকবেন।

আমরা আওয়ামী লীগই জনগণকে নিয়ে জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। এই অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, সে অধিকার আমরা সংরক্ষিত করেছি। সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। ২০০৯ থেকে ২০২৩ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আজ আমরা ২০২৪ সালে পা দিয়েছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের এত উন্নতি হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন মানুষ সেবা পাচ্ছে, বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর বিএনপি সেখানে কী করে, আপনারা দেখেছেন। ২৮শে অক্টোবর তারা কী ভয়ঙ্করভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে, রোগী নিয়ে এম্বুলেন্স যাচ্ছে, সে এম্বুলেন্সে আক্রমণ করেছে এবং সেখানে অনেক পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে। ঠিক ২০১৩ সালে যেভাবে হত্যা করেছিল, ঠিক একইভাবে আবারো করেছে।

তিনি বলেন, ঠিক প্যালেস্টাইনে (ফিলিস্তিন) ইসরাইল যেভাবে হামলা করছে, হাসপাতালের ওপর বম্বিং (বোমাবর্ষণ) করছে, ঠিক বিএনপিও সেই ইসরাইলকে অনুসরণ করে পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ, এম্বুলেন্সে আক্রমণ করছে। ওদের মনুষ্যত্ব বলে কিছু নেই। আজকে নির্বাচনে তারা আসেনি, সেটি তাদের ইচ্ছা। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকারে বাধা দেয়া কখনোই দেশের জনগণ মেনে নেবে না। এ অধিকার মানুষের অধিকার। সুতরাং ৭ই জানুয়ারির নির্বাচন ইনশাআল্লাহ্‌ হবে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলেই আপনাদের সেবা করতে পেরেছি। সারা দেশে আমরা উন্নয়ন, অগ্রগতি করেছি। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি আমরাও পারি। তিনি বলেন, আমরা ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রথম বেসরকারি খাতে ৩৬০ মেগাওয়াট  হরিপুরে এবং মেঘনাঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র করি। আমরা মাত্র ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছিলাম। পরে সাড়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে শুরু করি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে দেখি সেই বিদ্যুৎ কমে গেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ পেছনের দিকে যায়?। বিএনপি’র দুঃশাসন, দুর্নীতি, মানুষ খুন, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা এবং ভোট চুরির জন্য এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারের লিস্ট তৈরি করার কারণে মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সাল থেকে সরকার গঠন করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। যা আর কেউ বাড়াতে পারেনি। আগামীতে দেশের  কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে তিনটি মেট্রোরেল তৈরি করার পরিকল্পনা আছে। নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমরা তিনটি মেট্রোরেলের লাইন তৈরি করবো। এমআরটি লাইন ১, ২ ও ৪। এমআরটি লাইন ওয়ান ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল চলবে। এমআরটি লাইন ওয়ান এমআরটি লাইন ২ ও ৪ এগুলো সবই যাবে নারায়ণগঞ্জের উপর দিয়ে। এছাড়া আমরা নারায়ণগঞ্জে স্পেশালি ইকোনমিক জোন করবো।’

নারায়ণগঞ্জকে স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথাও জানান শেখ হাসিনা। বলেন, নারায়ণগঞ্জকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তুলবো। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ আমরা নির্মাণ করে দিচ্ছি। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দলকে বিজয়ী করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের মার্কা নৌকা মার্কা, এ নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, এ  নৌকা আজ উন্নয়ন দিয়েছে, এই নৌকা-ই আগামীর উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের আপনারা জয়যুক্ত করবেন। আপনাদের কাছে সে আহ্বান জানাই।

দেশি-বিদেশি শত্রুর মুখে বাংলাদেশ: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচণ্ড শত্রুতার মুখে, দেশে শত্রু, বিদেশেও শত্রু, এই শত্রুদের বিরদ্ধে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। এ সময় তিনি ৭ তারিখ সবাইকে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, খেলা শুরু হয়ে গেছে। চরম উত্তেজনা, ৭ তারিখে ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপি কোথায়, পালিয়ে গেছে। খেলার মধ্যে বেশি ফাউল করে লাল কার্ড পেয়ে বিদায় নিয়েছে। ফাইনালে নাই।

তিনি বলেন, এইবার ইলেকশনে ভোট দিয়ে আপনাদের প্রমাণ করতে হবে বাংলার মাটিতে স্বাধীনতা বিরোধী, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদ, অর্থপাচারকারী লুটেরা বিএনপি’র কোনো স্থান এই দেশে নাই। তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র আন্দোলন, অবরোধ, হরতাল ভুয়া, মানুষ মানে না, বিএনপি একদফা ৩২ দল সবই ভুয়া। বঙ্গবন্ধুর বালাদেশে হাওয়া ভবন, তারেক রহমানের মতো খুনি দুর্নীতিবাজকে আমরা আর দেখতে চাই না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ এখন আলোকিত নারায়ণগঞ্জ। শেখ হাসিনা ১৫ বছরে নারায়ণগঞ্জকে বদলে দিয়েছেন। শীতলক্ষ্যার পাড়ে আজ জনজীবনে শান্তির সুবাতাস বইছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশ মঞ্চে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জের ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান, গোলাম দস্তগীর গাজী, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, জাতীয় পাটির মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

মানব জমিন