- খেলাধুলা ডেস্ক
আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। লুয়ান্ডার এস্তাদিও ১১ দে নভেমব্রে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের জয় পেলেও, তা মোটেও সহজ ছিল না। স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণভাগের কারণে গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে লিওনেল মেসিদের।

লিওনেল স্কালোনি এই ম্যাচে মেসি, লাউতারো মার্তিনেজ ও রদ্রিগো দি পলের মতো তারকাদের নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন। তবে নিয়মিত গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে এই সফরের জন্য দলে রাখা হয়নি। তার জায়গায় গোলপোস্ট সামলান জেরোনিমো রুলি। ম্যাচের ১২ মিনিটেই দলকে বাঁচান তিনি। একটি কর্নার থেকে তৈরি হওয়া আক্রমণে বাঞ্জার নেওয়া শট রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিপদমুক্ত করেন রুলি।
ম্যাচের ২১ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের থ্রু বল থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন মেসি, কিন্তু তার চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন অ্যাঙ্গোলার গোলরক্ষক। এরপর ৩৯ মিনিটে আরও একটি সুযোগ নষ্ট হয় আর্জেন্টিনার। অবশেষে প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে, ৪৪ মিনিটে ডেডলক ভাঙে সফরকারীরা। মেসির নিখুঁত পাস থেকে নিচু শটে বল জালে জড়ান লাউতারো মার্তিনেজ।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে বেশ সংগ্রাম করতে হয় আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচের ৮২ মিনিটে আসে দ্বিতীয় গোল। এই গোলে মেসি ও মার্তিনেজের ভূমিকার অদলবদল ঘটে। প্রতিপক্ষের রক্ষণে মেসির একটি আক্রমণ শুরুতে ব্যর্থ হলেও অ্যাঙ্গোলার রক্ষণভাগের খেলোয়াড়েরা বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বলটি পেয়ে যান লাউতারো, যিনি দ্রুত বক্সের ভেতরে থাকা মেসিকে পাস দেন এবং সেখান থেকে সহজেই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এই ম্যাচটি ছিল চলতি বছরে আর্জেন্টিনার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এর আগে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ এবং পুয়ের্তো রিকোকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এই ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য আর্জেন্টিনা স্পেনে এক সপ্তাহ অনুশীলন করে। সেখানে এলচের মাঠে তাদের একটি উন্মুক্ত অনুশীলন সেশনে ২০ হাজারের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও অ্যাঙ্গোলার অবস্থান ৮৭ ধাপ নিচে। দেশটি ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও এরপর আর বিশ্বমঞ্চে ফিরতে পারেনি। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকেও তারা ছিটকে গেছে।









