গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে স্থানীয় প্রশাসনকে সাত দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আটক করতে হবে, তা না হলে সেখানকার প্রশাসনের কারও চাকরি থাকবে না।
রোববার রাজধানীতে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে ‘দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় যুব সমাজের মুক্তির সাত দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন অথচ তাঁর দোসররা এখনও সক্রিয়। তারা গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেছিল, এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তাদের শায়েস্তা করতে না পারলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে, নতুন ডিসির ৫৬ জনের ৪৯ জনই কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, তাদের প্রশাসনে রেখে দেশ সংস্কার সম্ভব না। ছাত্র-জনতা দেশকে নতুনভাবে গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে। এখন যুবকদের দায়িত্ব হবে, তাদের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা। যুব সংগঠনগুলোর উচিত এখন ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে কাজ করা। বর্তমানে সংসদ সদস্য নির্বাচন করতে ২৫ বছর বয়স হতে হয়, এটা কমিয়ে ২১ বছর করতে হবে। তরুণদের সুযোগ দিতে হবে।
সভায় বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, ফয়সাল আহমেদ, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।
samakal