‘গুম নিয়ে প্রতিবেদন করায় বাংলাদেশে মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে’

 

ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

https://www.ittefaq.com.bd/660111

জাতিসংঘ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সরকার ৭০টি গুমের অভিযোগের বিষয়ে প্রকৃত অবস্থা এখনো জানাতে পারেনি। বরং গুম নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করায় মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

 

সংস্থাটির ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অর ইনভলেন্টারি ডিসাপিয়ারেন্সের (ডব্লিউজিইআইডি) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গুম নিয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলছে। যেখানে ৩৬ দেশের তিন হাজারের বেশি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা পর্যালোচনা করছে বিশেষজ্ঞরা। অধিবেশনে গুম নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন জানায়, বর্তমানে গুম নিয়ে জেনেভায় কাউন্সিলের ৫৪তম অধিবেশন চলছে। ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশন ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। বিশেষজ্ঞরা ৩৬ দেশের তিন হাজারের বেশি গুমের ঘটনা পর্যালোচনা করছেন। এতে গুম নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ১৩০তম অধিবেশনে গুমের ঘটনাগুলোর উত্তর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হলেও গুম নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করায় দেশের মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যদের হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এই বিষয়ে ডব্লিউজিইআইডি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ডব্লিউজিইআইডির বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুমের শিকার ব্যক্তিদের আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ এবং তথ্য তুলে ধরার অধিকার রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যারা ডব্লিউজিইআইডির পক্ষে কাজ করছে, বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই তাদেরকে সকল প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি থেকে সুরক্ষা দিতে হবে।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, গুমের অভিযোগগুলো তদন্তে ২০১৩ সালের ১২ মার্চ প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ডব্লিউজিইআইডি প্রথম যোগাযোগ করেছিল।  একাধিকবার যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

তবে খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ইতিবাচক উত্তর পাওয়া যাবে বলে আশা সংস্থাটির।

ইত্তেফাক/এবি