বাংলাদেশ ক্রনিক্যাল ডেস্ক :
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান। গতকাল শনিবার আরব লীগ ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার যৌথ সম্মেলনে তিনি এই আহ্বান জানান। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ও ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে। ১৯৬৭ সালের আগের মতো জেরুসালেমকে রাজধানী করে প্রতিষ্ঠা করতে হবে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র। এ সময় তিনি আরব লীগ ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার নেতাদেরকে গাজার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
সম্মেলনে মোহাম্মাদ বিন সালমান বলেন, আজ গাজা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার। ইসরাইল সেখানে মুহুর্মুহু বোমা বর্ষণ করছে। এর মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে। পশ্চিমা বিশ^ সেখানে দ্বিচারিতা অবলম্বন করেছে। এটি জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদেরই ব্যর্থতার প্রমাণ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান বলেছেন, ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল সব সময়ই ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে, তাদের বাড়ীঘর ও সহায়-সম্পদ ধ্বংস করছে। কিন্তু কখনোই এজন্য ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেনা। ইসরাইলকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এরদোয়ান বলেন, ইসরাইল পশ্চিমা বিশে^র বখে যাওয়া সন্তানের মতো আচরণ করে অসছে বরাবরই। গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ওআইসি ও আরব লীগের বিশেষ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ইসরাইলের একজন মন্ত্রী গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা করার সম্ভাবনার কথা বলেছেন। এধরণের বক্তব্য এই অঞ্চল ও পুরো বিশে^র নিরাপত্তার জন্যই মারাত্মক হুমকি। ইসরাইল আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে পরমানু বোমা তৈরি করেছে কি না তা অবিলম্বে তদন্ত করে দেখারও দাবি জানান এরদোয়ান।
গাজায় ট্যাঙ্ক ব্রিগেডের কমান্ডারসহ কয়েকজন ইসরইলি সেনাকে হত্যা করেছে হামাস
গাজা উপত্যকায় হামাসের যোদ্ধাদের সাথে ইসরাইলি বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। আল কাসসাম ব্রিগেড গতকাল শনিবার দখলদার ইসরাইলি সেনাদের সাথে যুদ্ধের দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। আল কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা জানিয়েছেন গত ৪৮ ঘন্টায় তারা ২৫ টি ইসরাইলি সামরিক যান ধ্বংস করেছেন। উত্তর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর একটি সামরিক যানে ইয়াসিন ওয়ান জিরো ফাইভ রকেট হামলায় ৫ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।
এছাড়া গাজা উপত্যকার উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের সাথে হামাস যোদ্ধাদের লড়াই চলছে। এরমধ্যে উত্তর-পূর্ব গাজার বেইত হানুনে একটি বাড়ীতে ইসরাইলি সেনারা অবস্থান করছিল। সেখানে হামাস যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন সেনাকে হত্যা করেছে। সেই বাড়ীতে হামলা চালানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে হামাস।
এদিকে, ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সামরিক শাখা আর কুদস ব্রিগেডস গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা সিটির পশ্চিমে তাল আল হাওয়া এলাকা ও আল শাতি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি সেনাদের সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে তাদের হামলায় বেম কিছু ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্থল যুদ্ধে হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলি ট্যাঙ্ক ব্রিগেডের কমান্ডার কর্ণেল শেলদাগ জিওর সহ বেশ কয়েকজন সেনাকে হত্যা করেছে বলে আরেকটি সূত্রে জানা গেছে। গাজায় ইসরাইলের সাথে চলমান যুদ্ধে কর্ণেল শেলদাগ জিওর হচ্ছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা যিনি এই যুদ্ধে নিহত হলেন। তবে ট্যাঙ্ক ব্রিগেডের কমান্ডার কর্ণেল শেলদাগ জিওরকে ঠিক কোথায় হত্যা করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি হামাস।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে
ইসরাইলের বিরুদ্ধে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ হিজবুল্লাহর প্রধান সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ। আল জাজিরা ও বিবিসি জানিয়েছে, হামাসের সাথে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনের সমর্থনে নতুন ধরনের অস্ত্র বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নাসরুল্লাহ । চলতি মাসের শুরুর দিকে দেওয়া প্রথম ভাষণে বলেছিলেন, লেবানন ফ্রন্টে ইসরাইলের সাথে চলমান লড়াই ‘পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গতকাল শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, গত কয়েক দিনে হিজবুল্লাহর সশস্ত্র শাখা ইসরাইলের ভেতরে নতুন লক্ষ্যবস্তুতে আগের চেয়ে উন্নতমানের অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।
হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, লেবানন ফ্রন্টে ইসরাইলের সাথে হিজবুল্লাহর লড়াইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। হামলার সংখ্যা, আকার এবং লক্ষ্যবস্তুর পাশাপাশি অস্ত্রের ধরনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ইসরাইলে হামলায় হিজবুল্লাহ বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ৩শ থেকে ৫শ কেজির বিস্ফোরক পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। হিজবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ইসরাইলে হামলায় সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
হিজবুল্লাহ প্রধান বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে তিন শিশু ও তাদের দাদিকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনায় হামলা করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর এই ফ্রন্ট ইসরাইলের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে, হিজবুল্লাহর উপ-মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বিবিসিকে বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে রৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হবে। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।
গাজা দখলের ইঙ্গিত দিলেন নেতানিয়াহু
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সেখানে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ বা কর্তৃত্ব প্রতিষ্টার বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজাকে আগে অস্ত্রমুক্ত করা হবে। এরপর ভূখন্ডটি ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের অধীনে আনা হবে। আজ ভোরে মিডল ইষ্ট আই এর এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পশ্চিম তীরের মতো গাজা উপত্যকাও ইসরাইলের নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আসবে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু তার এই পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পশ্চিমতীরের মতো গাজাতেও এরকম কিছু করা হবে। তিনি বলেন, গাজায় এমন কোন বেসামরিক কর্তৃপক্ষ থাকবে না যারা তাদের শিশুদেরকে ইসরাইল রাষ্ট্রকে ঘৃণা করতে শেখাবে।’ নেতানিয়াহু তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে গাজা দখল করার যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতাকে নাকচ করে দিলেন। একইসাথে তিনি গাজায় অস্ত্রবিরতির আহবানও প্রত্যাখ্যান করেন।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানে হলো হামাসের কাছে আত্মসমর্পণ। যেকোনো রকমভাবে বেসামরিক মানুষের ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে হামাস, ইসরাইল নয়।
ম্যাক্রোঁ এর আগে গতকাল বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, গাজার সাধারণ মানুষের ওপর বোমা হামলার পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সব শিশু, নারী, প্রবীণ মানুষদের ওপর বোমা হামলা করে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে নিহতের সংখ্যা বিরক্তির সৃষ্টি করছে। গাজায় ব্যাপকহারে বোমা হামলা ইসরাইলকে সুরক্ষিত রাখার সবচেয়ে উত্তম পন্থা, এমন ধারণার সঙ্গে একমত নন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
আল-শিফা হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫ শিশু
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালের জেনারেটর ব্যবস্থা। ফলে এই হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রোগীরা। জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা ৪৫ শিশু মৃত্যুর প্রহর গুনছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র গতকাল শনিবার বলেছেন, আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা এক শিশু ইতোমধ্যে মারা গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
গাজার হামাস শাসিত সরকারের উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউসেফ আবু আলরিশ বলেছেন, আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে ইনকিউবেটরে ৪৫টি নবজাতক রয়েছে। এই হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। তাদের স্নাইপাররা হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে। হাসপাতালের উপর ড্রোন উড়ছে। হাসপাতাল থেকে কেউ বের হওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে গুরি করছে সৈন্যরা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, আল-শিফা হাসপাতাল থেকে কয়েকজন রোগী বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। নিহতদের লাশ হাসপাতাল চত্বরে পড়ে আছে।
এদিকে ইসরাইলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজায় একজন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে গুলি করার পর গাড়ীচাপা দিয়ে হত্যা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখা গেছে। ভিডিওতে ভয়াবহ এই দৃশ্য দেখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইউরো-মেড। আজ রবিবার মিডল ইষ্ট আই এর প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বেসামরিক ঐ ফিলিস্তিনি ব্যক্তি গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিনে যাওয়ার সময় সালাহ আল দীন সড়কে তাকে এভাবে হত্যা করে ইসরাইলি সেনারা।
লন্ডনে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কয়েক লাখ মানুষের মিছিল
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে কয়েক লাখ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। গতকাল শনিবার হায়ডে পার্ক থেকে মিছিল করে ভক্সহলের নাইন এলমসের কাছে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পর্যন্ত যান তারা। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে হওয়া এ মিছিলে ৩ লাখের বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন। তারা সবাই গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছেন। তবে এ মিছিলে ঝামেলা করতে চেয়েছিল যুক্তরাজ্যের উগ্র ডানপন্থি কয়েকটি দলের সমর্থকরা। ঝামেলা এড়াতে এদের মধ্য থেকে অন্তত: ১২৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর এটি ছিল লন্ডনে ফিলিস্তিনের পক্ষে সবচেয়ে বড় মিছিল। গত এক মাস ধরে লন্ডনসহ বিশ্বের সব বড় শহরগুলোতে ইসরাইলের বিপক্ষে মিছিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে।
গতকালের এই মিছিলে হামাসের পক্ষে কয়েকজন ব্যক্তিকে শ্লোগান দিতে শোনা যায়। এছাড়া দুজন হামাস যোদ্ধাদের সাজে এতে অংশ নেন। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, যারা হামাসের সাজে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, লন্ডনসহ বিশে^র অন্যান্য নগরীর তো বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গতকাল শনিবার প্রায় ২১ হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আয়োজিত মিছিলে অংশ নিয়েছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহবান জানান।