গাজায় কেয়ামতের মতো যেসব দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি

অ্যান্ড্রু মিত্রভিসসা : আমরা গাজায় যে বিপর্যয় ঘটতে দেখছি, তা গণহত্যার দিকে মোড় নিচ্ছে। এটা কোনো ‘আক্রমণ’ নয়। দখল নয়। কোনো যুদ্ধ নয়। পুরোদস্তুর গণহত্যা। গাজায় কেয়ামতের মতো যেসব দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা দখলদার নিষ্ঠুর সেনাবাহিনীর আসল উদ্দেশ্য কী, তার প্রমাণ। তারা আগেই বিপর্যস্ত এই একটুকরা জমির দখল চায়। এ জন্য নির্বিচারে অসহায়, বিপর্যস্ত শিশু, নারী ও পুরুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে।

দশকের পর দশক পশ্চিমা দেশগুলোর সম্মতি ও অনুপ্রেরণায় ইসরায়েল সরকার এবং তাদের উন্মত্ত সহযোগী বসতি স্থাপনকারীরা একটু একটু করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছিল। এই নির্মম স্বভাবের মিত্রের প্রতি সংহতি জানিয়ে পশ্চিমারা তাদের পর্যটনস্থলগুলো নীল-সাদা অথবা স্টার অব ডেভিডে সজ্জিত করেছে।

এগিয়ে যাও, কাপুরুষ আর তাদের দোসরেরা। পৃথিবীকে তোমাদের প্রকৃত রং-রূপ দেখাও। আমরা তোমাদের মনে রাখব। ভুল করবেন না। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর জাতিবিদ্বেষী মন্ত্রিসভার সদস্যরা বহুদিন ধরেই ‘চলো ফিলিস্তিনিদের প্রাণঘাতী সহিংসতার মজা দেখাই’, এই পথ ছেড়ে গাজাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে চাইছিলেন।

এই দানবীয় পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর। তাঁর মতো ঘৃণিত মানুষই পারেন পৃথিবীর বুক থেকে গাজাকে মুছে দিয়ে গাজা শেষ করা। যে কেউ যেকোনো জায়গা, যেকোনো ফোরামে যদি এই কথা অস্বীকার করেন, তাহলে বলতে হবে তিনি মিথ্যাবাদী, অন্ধ অথবা দুই-ই। এটা ন্যায়সংগত কোনো জবাব বা প্রতিশোধ নয়, যাঁরা কখনোই ফিলিস্তিনিরা যে অন্তহীন দুর্দশা দেখেননি বা গ্রাহ্য করেননি, আমি আবারও সেই সব সেনাসদস্যের উদ্দেশে বলতে চাই, এটা গণহত্যা।

আমার এই কাঠখোট্টা অভিযোগ যদি আপনাদের বিঁধে থাকে, তাহলে আমি আমেরিকার মূর্খ সংবাদ তারকা, কলাম লেখকদের চ্যালেঞ্জ করতে চাই। সাংবাদিকেরা যাঁরা সেজেগুজে ইসরায়েলে যান ও নিজেদের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংবাদদাতা বলে প্রচার করেন তাঁদের বলি, আমাকে ও দেশের বাইরে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী ও তাদের মিত্রদের ভুল প্রমাণ করুন। তাঁরা বলছেন, অবরুদ্ধ গাজায় গণহত্যা শুরু হয়েছে। এই ভণ্ডরা আবার ফিলিস্তিনিদের হানাদার আর ইসরায়েলিদের সন্ত বলে আখ্যা দিচ্ছে। কারণ, গণহত্যার আগে তারা গাজাবাসীকে আগাম বার্তা দিয়েছে।