গরু পেটানোর মতো নেতা-কর্মীদের পিটিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ গণতন্ত্র মঞ্চের

গরু পেটানোর মতো নেতা-কর্মীদের পিটিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ গণতন্ত্র মঞ্চের

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গরু পেটানোর মতো পিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে তোপখানা রোডে মেহরাব প্লাজায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

মঞ্চের নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র মঞ্চের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দ্বিতীয় এমন কোনো ঘটনা নেই। এ ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সমাবেশ শেষে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়, একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে। মঞ্চের নেতা-কর্মীরা বলছেন, এতে সংগঠনের অন্তত ৪০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘এক মাঘে শীত যাবে না। আমরা লাগাতার আন্দোলন করে যাব। যতই মার দেওয়া হোক, আমরা ঘুরে দাঁড়াব। কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলবে। আমরা এটা বন্ধ করব না।’

মাহমুদুর রহমান মান্না আরও বলেন, ‘পুলিশ বলেছে, এই বিক্ষোভ করার অনুমতি ছিল না। আমি বিক্ষুব্ধ। আমি কথা বলতে চাই—এসবের অনুমতি লাগবে কেন?’

সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, ‘গরু পেটানোর মতো নেতা-কর্মীদের পুলিশ পিটিয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়নি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না—এমন প্রশ্ন তুলেছেন সাইফুল হক। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির উদ্দেশ্যেই পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছেন—পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আরও বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে শিল্প, বাণিজ্য, কৃষি, এমনকি পারিবারিক জীবনেও এর প্রভাব পড়বে। এসবের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে যেতে হবে, তাঁদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

প্রয়োজন হলে হরতাল–অবরোধের মতো কর্মসূচি দিতে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বাধ্য হবেন। জনগণের অধিকার আদায়ে এই কর্মসূচি চলবে, বলেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ এই সরকার ব্যাংকলুটের ও বাজার সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিযোগ করেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলা ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান। তিনি বলেন, নতুন কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাল শুক্রবার বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করবেন গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতা-কর্মীরা।

prothom alo