জানা যায়, গভর্নরের সঙ্গে সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে তিন ডেপুটি গভর্নরও অংশ নেন। সভায় রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডির পদত্যাগের কারণ তুলে ধরেন। এ সময় তাঁরা গভর্নরকে জানান, এমডির মেয়াদে ব্যাংকটির আর্থিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
সভার বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক কোনো মন্তব্য করতে চাননি। কারণ সভাটি আনুষ্ঠানিক কোনো সভা ছিল না।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য অবসরে যাওয়া সরকারের এক প্রভাবশালী সচিবও ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ব্যাংকটির বিরুদ্ধে যাতে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সে জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে সুপারিশও করেছেন তিনি।
প্রথম আলোতে ২২ জানুয়ারি ‘এমডির পদ ছাড়লেন মেহমুদ হোসেনও’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক। প্রতিবাদপত্রে বলা হয়েছে, এমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে যে দাবি তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর বনানীর সিকদার হাউসে ন্যাশনাল ব্যাংকের ৭-৮ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সাবেক এমডি মেহমুদ হোসেন ব্যাংকের পরিচালকদের সঙ্গে ঋণ আদায় ও খেলাপি ঋণ আদায়সংক্রান্ত সভায় যোগ দেন। সেখানে এমডিকে ব্যাংকের বিভিন্ন সূচক ও সামগ্রিক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। এ সময় এমডি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। এরপর ১৮ জানুয়ারি তিনি ছুটির আবেদন করেন। একই দিনে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
প্রতিবাদপত্রে আরও বলা হয়, সিকদার হাউসেও সভা চলাকালে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও পরিচালকদের মোবাইল বন্ধ করে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়। ফলে ১৬ জানুয়ারির সভা চলাকালে মেহমুদ হোসেনসহ উপস্থিত সবাই মোবাইল বন্ধ করে সভায় অংশ নেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য: প্রকাশিত প্রতিবেদনের সব তথ্যই পর্যাপ্ত যাচাই–বাছাই করে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি সিকদার হাউসে ব্যাংকের যে সভার কথা বলা হচ্ছে, সেটি ব্যাংকের নির্ধারিত কোনো সভা ছিল না।