by Farhad Mazhar 22 June 2023
সম্প্রতি গণ অধিকার পরিষদের আভ্যন্তরীণ বিবাদে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা দুঃখজনক। নিজেদের আভ্যন্তরীণ বিবাদকে ধামাচাপা দেবার জন্য জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিকে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে টেনে আনা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্খিত এবং অন্যায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমাদের কর্মসূচিতে সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানাই। সেই সুবাদে গণ অধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি এসেছেন বলে আমরা তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। এর দ্বারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়নের প্রতি তাঁর সংকল্প ও অঙ্গীকার আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
কিন্তু জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির অনুষ্ঠানে তাঁর অংশগ্রহণকে অজুহাত হিশাবে ব্যবহার করে গণ অধিকার পরিষদ তাদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলকে যে ভাবে নগ্ন ভাবে উন্মোচন করেছে তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়।
কোন কিসিমের গণবিরোধী, মানবাধিকার বিরোধী এবং ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসরের অপপ্রচারে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিকে টলানো যাবে না। ভিত্তিহীন অভিযোগ অনৈতিক এবং বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে সজ্ঞানে দ্বিধা বিভক্ত করবার তৎপরতা। আমরা এদের নিন্দা করি। ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের সকলের কাজ হওয়া উচিত, বিভক্তি ও বিভাজন নয়। আজগবি ও ভিত্তিহীন অভিযোগ জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনাকে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলার অক্ষমতা বলেই আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা বারবারই বলেছি জাতীয় ইনসাফ কমিটি কোন রাজনৈতিক দল নয়। এই সংগঠনটি ২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরণায় সম্পূর্ণ নির্দলীয় সংগঠন হিশাবে গড়ে তোলা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভাবে একটি মানবাধিকার সংগঠন। মানবাধিকার সংগঠন হিশাবে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র কোন প্রতিযোগিতা নাই। আমরা আশা করব গণ অধিকার পরিষদ তাদের বিভ্রান্তি ও আভ্যন্তরীণ কোন্দল কাটিয়ে উঠবে।
আমরা আশা করব, বর্তমান চলমান আন্দোলনে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির এই সকল অপতৎপরতার কোন নেতিবাচক প্রভাব গণ আন্দোলন গণ সংগ্রামের ওপর পড়বে না।
সকলকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
(যে সকল পত্রিকায় খবর এসেছে তা কমেন্টে দেখুন।