- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ জুন ২০২২
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু রক্ষা করতে চাইলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে তাদের বৈধতা দেয়া।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই দেখেছেন কুমিল্লার নির্বাচনে কি হয়েছে। বহু আগে থেকেই বলছি, আমরা এ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাচ্ছি না।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৬ জুন শুধুমাত্র সাংবাদিক বা সংবাদ জগতের জন্য কালো দিন নয়। সমগ্র জাতির জন্য একটা কালো দিন। এদিন সমস্ত সংবাদপত্রকে নিষিদ্ধ করে দিয়ে শুধুমাত্র চারটি সংবাদপত্রকে চালু রাখা হয়েছিল এবং তা সরকারি তত্ত্বাবধানে চলবে এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল গণতান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠা করার। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্রের চরিত্রকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল যে এটা আওয়ামী লীগের একদলীয় রাষ্ট্র। সেদিন যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমরা গত এক যুগ ধরে দেখছি, ধীরে ধীরে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে আমাদের তফাৎ হচ্ছে তারা গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। বিএনপি সেই গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মাধ্যমে। আজকে যারা ব্যবসায়ী আছেন তারা সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের থেকে তো আমরা গণতন্ত্র আন্দোলন করার ব্যপারটা পাবো না। আজকে অনেকেই বলেছেন সেখানে ব্যক্তি সাংবাদিকদের ভূমিকা অবশ্যই থাকবে। সেটা কতোটুকু সম্ভব আমি তাও জানি না। সেই লক্ষ্যে আমাদের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সব পেশা ও শ্রেণির মানুষকে আমাদের জাগিয়ে তুলতে হবে। যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তার চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে। এ আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই আমরা দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনবো।’
বিএফইউজে’র সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও কামাল উদ্দিন সবুজ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সহ-সভাপতি বাসিত জামান, ডিইউজের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক লাবিন রহমান, বিএফইউজের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান সাজু, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনরে সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রমুখ।